সংক্ষিপ্ত
- ঘটনাটি ঘটেছে মেঙ্গালুরুর বক্কালা গ্রামের শিরিষ তালুক অঞ্চলে
- এলাকায় নেটওয়ার্কের প্রচুর সমস্যা রয়েছে
- ফলে অনলাইনে ক্লাস করতে সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে শ্রীরামকে
- তাই বাড়ির থেকে ১ কিলোমিটার দূরে গাছের মগডালে উঠে ক্লাস করছেন তিনি
করোনা আবহে লকডাউনের ফলে বাড়ি থেকেই চলছে সমস্ত কাজ। অফিস, পড়াশুনো-সহ প্রায় যাবতীয় কাজ চলছে বাড়ি থেকেই। অনলাইন ক্লাসরুম শুরু হয়েছে লকডাউন শুরুর সময় থেকেই। তবে অনলাইন ক্লাস করার জন্য শিক্ষক থেকে ছাত্র সকলকেই পড়তে হচ্ছে নানান সমস্যায়। কারণ নেটওয়ার্কিং এর সমস্যা। সম্প্রতি এমনই কর্ণাটকের এক ঘটনা সামনে এসেছে, যা নজর কেড়েছে সকলের।
আরও পড়ুন- সন্তানকে বাঁচানোর তাগিদ, মায়ের মমতায় ভাসলো সোশ্যাল মিডিয়া
ঘটনাটি ঘটেছে মেঙ্গালুরুর বক্কালা গ্রামের শিরিষ তালুক অঞ্চলে। এই গ্রামের বাসিন্দা পোস্ট গ্রাজুয়েটের এক ছাত্র নাম শ্রীরাম হেজ। সেই এলাকায় নেটওয়ার্কের প্রচুর সমস্যা রয়েছে। যার ফলে অনলাইনে ক্লাস করতে প্রচুর সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে তাঁকে। তাই অধ্যাপকের অনলাইন ক্লাসে যোগদান করার জন্য বাড়ির থেকে প্রায় ১ কিলোমিটার দূরে গাছের মগডালে উঠে পড়েন। যাতে প্রায় ৩ ঘন্টার ক্লাসটি নির্বিঘ্নে করা যায়। এর জন্য এতটা সময় গাছে ঝুলে থেকে ক্লাস করেছেন তিনি।
আরও পড়ুন- সোশ্যাল মিডিয়া মজেছে শাশুড়ি বৌমার যুগলবন্দী, দেখে নিন ভাইরাল হওয়া এই ভিডিও
প্রতিদিন তিনি ক্লাস শুরু হওয়ার আগে বাড়ির থেকে ১ কিলোমিটার দূরে গাছে উঠেই ক্লাস করা শুরু করেন। ডিজিটাল ভারতের স্বপ্ন দেখলেও এখনও এই রকম বহু প্রত্যন্ত গ্রামে থেকে ওনলাইনে ক্লাস করার সমস্যায় ভুগতে হচ্ছে বহু শিক্ষক ও ছাত্র-ছাত্রীদের। শ্রীরাম হেজ জানিয়েছেন, "গ্রামে কেবলমাত্র বিএসএনএল-এর নেটওয়ার্ক পাওয়া যায়। আর তা ব্যবহার করার জন্য আমাকে ওই গাছে উঠতে হয়। প্রতিদিন তিনটে করে ক্লাস করতে হয়, যা শুরু হয় ভোরবেলা থেকে ১০ অবধি আবার বেলা ৩ টে থেকে। এই দুপুর রোদে গাছে উঠে ক্লাস করা খুব কষ্টকর তবুও কোনও প্রতিবন্ধকতাই আমাকে আটকাতে পারেনি।"
তবে শ্রীরামের চিন্তা গরমে না হয় এইভাবে সে ক্লাস করে নিচ্ছে, কিন্তু বর্ষা নামলে তাঁর ক্লাস করার ক্ষেত্রে সমস্যা হবে। তাই এখন থেকেই সেই বিষয়ে চিন্তাভাবনা শুরু করে দিয়েছেন তিনি। কীভাবে বর্ষাকালেও একইভাবে করা যায় ক্লাসগুলি। শ্রীরাম হেজ-এর এই একাগ্রতা ও আগ্রহ দেখে এসডিএম কলেজের কর্তৃপক্ষরা বাহবা জানিয়েছেন। ইচ্ছে থাকলেই যে সমস্ত বাধা কাটানো যায় তা প্রমান করে দিলেন কর্নাটকের এই গ্রামের ছাত্র।