সংক্ষিপ্ত
- ডায়েটিশিয়ান থেকে ডাক্তার, পেট খালি রাখতে বারণ করেন সবাই
- কিন্তু দু-তিন ঘণ্টা অন্তর অন্তর কী খাওয়া যেতে পারে, সেটাই প্রশ্ন
- অনেকেই মনে করেন, মাঝেমধ্য়েই টুকটাক বিস্কুট খেয়ে মুখ চালালেই চলে
- কিন্তু দেখা গিয়েছে, কিছু সমস্য়া ছাড়া, বিস্কুটের চেয়ে মুড়ি অনেক বেশি ভাল
পেট খালি রাখতে বারণ করেন অনেকেই। ডায়েটিশিয়ানরা বলেন, দু-ঘণ্টা অন্তর অন্তর কিছু একটা খান। আবার পেটের সমস্য়া থাকলে ডাক্তারবাবুরা বলেন, পেট খালি রাখবেন না, অম্বল হবে। আবার মাইগ্রেনের সমস্য়া থাকলেও বলা হয়, দু-তিন ঘণ্টা অন্তর মুড়ি হোক, বিস্কুট হোক কি লজেন্স হোক, কিছু একটা খান।
পেট খালি রাখা যে ঠিক নয়, তা নয় বোঝা গেল। কিন্তু তাই বলে কী খাওয়া উচিত আমাদের। বিস্কুট তো খাওয়াই যায়, কিন্তু তাতে কিছু সমস্য়া দেখা দিতে পারে। যেমন, মিষ্টি বিস্কুট বেশি খেলে শরীরের ওজন বেড়ে যাওয়ার সমস্য়া হতে পারে। আপনি চাইলে মেরি বা ক্রিম ক্য়াকার খেতেই পারেন। তবে তা -ও যদি খুব বেশি হয় তাহলে মুশকিল। কারণ, বিস্কুকে থাকে ময়দা আর অ্য়ারারুট। যা কোষ্ঠকাঠিন্য়ের সমস্য়া বাড়িয়ে তুলতে পারে।
কিন্তু দিনে দু-একবার বিস্কুট খেয়ে যদি বাকি সময়ে একটু-আধতু মুড়ি খাওয়া যায়, তাহলে কিন্তু সব দিক থেকেই সুবিধে। প্রথমত, মিস্টি বিস্কুট খেলে ওজন বাড়ার যে সমস্য়া দেখা দিতে পারে, মুড়ি খেলে তার সম্ভাবনা নেই। মুড়ি পরোক্ষভাবে অম্বলকেও কমাতে পারে। মুড়িতে যেহেতু ময়দা থাকে না, তাই কোষ্ঠকাঠিন্য়ের সমস্য়াও হয় না এটি খেলে।
যদিও মুড়ির আবার অন্য় কিছু সমস্য়া আছে। যাঁদের উচ্চ রক্তচাপ রয়েছে, তাঁদের অনেক সময়ে মুড়ি খেতে বারণ করা হয়। কারণ মুড়িতে ভাল পরিমাণে থাকে নুন। তবে এই সমস্য়া এড়াতে আজকাল নুন ছাড়া মুড়িও ভাজা হয়। সেই মুড়ি খেতে পারেন। তবে মুড়িতে ক্য়ালোরি একেবারেই যে কম, তা কিন্তু নয়। তাই ডায়াবেটিকরা খেয়াল রাখবেন একটু। মুড়ি খান, কিন্তু পরিমাণ মতো, হিসেব করে।
তাহলে দাঁড়ালটা কী?
মুড়ির কিছু সমস্য়া থাকলেও, বিস্কুটের চেয়ে মুড়ি অনেক নিরাপদ। বিস্কুট যদি খান, তবে মেরি বা ক্রিমক্র্য়াকার খেতে পারেন। চকোলেট বিস্কুট, ক্রিম বিস্কুট বা কুকিজের মতো বিস্কুটে কিন্তু প্রচণ্ড ক্য়ালোরি থাকে। তাই ওজন কমাতে চাইলে, ভুলেও এগুলো খাবেন না। আর তাছাড়া, বেশি বিস্কুট খেলে কোষ্ঠাকাঠিন্য়ের সমস্য়া যে দেখা দিতে পারে, তা তো আগেই বলেছি।