যে কোনও সমস্যায়, যে কোনও বিষয়ে সাহায্য চাইলেই সঙ্গে সঙ্গে জবাব দেয় AI। কিন্তু সব পরিস্থিতিতে সত্যিই কি এই কৃত্তিম মেধা বন্ধু হিসেবে সেরা? উত্তর একটাই তা হলো না। কারণ এআই কৃত্রিম বুদ্ধিমতা সম্পন্ন সম্পন্ন হলেও এ আই এর কোন আবেগ নেই। বা মন নেই। 

বর্তমান সময়ে AI বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা আমাদের জীবনের অন্যতম অংশ হয়ে দাঁড়িয়েছে। ChatGPT, Meta AI, Grok, Gemini, Claude-এর মত প্ল্যাটফর্মগুলো এখন আমাদের পড়াশোনা, চাকরি, ব্যবসা এমনকি দৈনন্দিন জীবনকেও সহজ করে তুলেছে।ধরুন সম্পর্ক নিয়ে প্রশ্ন করলে কি কি উত্তর পেতে পারেন আসুন জানা যাক।

ভারতে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই দেখা যায় আমাদের যৌথ পরিবার। তাই পরিবারের মধ্যে কোন সমস্যা বাধলে বা দুই সঙ্গীর মধ্যে কোন রকম সমস্যা বাঁধলে সে ক্ষেত্রে যদি এআইকে প্রশ্ন করা হয় অনেকক্ষেত্রেই উত্তর মেলে, ‘পছন্দ না হলে সরে যান’, কিন্তু ভারতীয় সমাজে তা কার্যত সম্ভব নয়। প্রেমের ক্ষেত্রেও বিষয়টা একই। এআই সর্বদা টক্সিক সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেয়। কিন্তু পারিপার্শ্বিক পরিস্থিতি বিবেচনা করে তা অনেক সময় হয়ে ওঠে না। তবে এর অর্থ কখনই অন্যায়ের সঙ্গে মানিয়ে নেওয়া নয়। তবে যে পদ্ধতিতে বা যতটা সহজে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা সম্পর্কে ইতি টানার কথা বলে, তা আদতে সম্ভব নয়।

প্রেমিকের কোনও আচরণে আপনি বিরক্ত, সেটাই আপনি জানাচ্ছেন এআইকে, কিন্তু আপনার প্রেমিকেরও কিছু বক্তব্য থাকতে পারে। মু্দ্রার উলটো দিকের কথা কিন্তু জানে না এআই। সবক্ষেত্রেই আমরা রাগের ভ্যালিডেশন চাই। যদি আপনি বিচ্ছেদ নিয়ে নিশ্চিত থাকেন, স্রেফ চান যে কেউ আপনাকে বলুক যে আপনিই ঠিক, তাহলে এআইকে প্রশ্ন করতে পারেন। অন্যথায়, এপ্রশ্ন বৃথা। সম্পর্কের যে কোনও সমস্যার সমাধানের পথ কিন্তু একটাই, মুখোমুখি বসে কথা বলা।

মানব বন্ধু যে পরামর্শ দেয় সে জানে এর পর কী ঘটতে পারে। সেটা বিবেচনা করেই পরামর্শ দেয়। কিন্তু এআই কিন্তু তা জানে না। তাই পরবর্তী পরিস্থিতি বিবেচনা না করেই পদক্ষেপের পরামর্শ দেয়। তা মেনে চললে কেলেঙ্কারির সম্ভাবনা প্রবল।