সংক্ষিপ্ত
বাজারে নানান ধরনের বা ব্লেন্ডেড অ্যালকোহল পাওয়া গেলেও কেন মানুষ শীতের সময় রম বা ব্র্যান্ডির প্রতি ঝোঁক বেশি থাকে বা পান করতে বেশি পছন্দ করেন জেনে নিন।
রম সম্পর্কে বলার আগে, আমরা আপনাকে বলে রাখি যে অ্যালকোহল পান করা স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকারক। এশিয়ানেট নিউজ বাংলার এই প্রতিবেদন মদ্যপান-কে উৎসাহিত করার জন্য নয়।
প্রায়শই আপনারা নিশ্চয়ই দেখেছেন যে যখনই শীতকাল আসে, যারা অ্যালকোহল পান করেন তাদের রম বা ব্র্যান্ডির দিকেই বেশি ঝোঁক থাকে। আবার পাহাড়ের কোথাও বেড়াতে গেলে যারা ড্রিঙ্ক করতে পছন্দ করেন তারা রম খেতে পছন্দ করেন। বাজারে নানান ধরনের বা ব্লেন্ডেড অ্যালকোহল পাওয়া গেলেও কেন মানুষ শীতের সময় রম বা ব্র্যান্ডির প্রতি ঝোঁক বেশি থাকে বা পান করতে বেশি পছন্দ করেন জেনে নিন।
রমে এমন কি থাকে যে শীতে এর চাহিদা বাড়ে তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। এই পরিস্থিতিতে আজ আমরা আপনাদের জানাচ্ছি কিভাবে তৈরি হয় এই রম। তো চলুন জেনে নিই রম সম্পর্কিত কিছু প্রশ্নের উত্তর, যা এর আগে কখনও সেভাবে ভাবতেই পারেননি।
মানুষ কেন শীতে রম পছন্দ করে-
প্রথমত, আমরা আপনাকে বলি যে রম হল একটি ডিস্ট্রিল্ড ড্রিঙ্ক, যার মধ্যে জিন, ব্র্যান্ডি, হুইস্কি ইত্যাদিও রয়েছে। আমরা যদি রম সম্পর্কে কথা বলি, তাহলে জেনে রাখা প্রয়োজন রম-এৎ উৎস কোথা থেকে। রম সাধারণত তৈরি করা হয় গাঁজানো আখ ইত্যাদি থেকে। এতে ৪০ শতাংশ পর্যন্ত অ্যালকোহল রয়েছে। কিন্তু এমন অনেক রমও আছে, যেগুলোতে অ্যালকোহলের মাত্রা বেশি এবং এতে ৬০-৭০ শতাংশ পর্যন্ত অ্যালকোহল থাকে। ঠাণ্ডা কম অনুভব করার অন্যতম কারণ হল অ্যালকোহলের মাত্রা। এছাড়া অনেক গবেষণায় জানা গিয়েছে, রম ও ব্র্যান্ডি শরীরে তাপ সৃষ্টি করে। এর ফলে এই পানীয় পানের ফলে শরীরে ঠাণ্ডা কম অনুভূত হয়।
বাইরের শীতপ্রধান দেশগুলোতে তাই মাঝে মাঝে ছোটদের মধুর সঙ্গে কিছু ব্র্যান্ডি মিশিয়ে দেওয়া হয়, যাতে তারা ঠান্ডা হওয়ার হাত থেকে বাঁচতে পারে। রিপোর্ট অনুযায়ী, রম পান করলে শরীর গরম হয়, খুব কম সময়ের জন্য হলেও শরীরে তাপ বৃদ্ধি হয়।
রম কিভাবে তৈরি হয়?
আখ থেকে রম তৈরি করা হয়, যার জন্য প্রথমে আখের রস তৈরি করা হয়। এরপর একটি নির্দিষ্ট সূত্র অনুযায়ী চিনি এবং প্রয়োজনীয় রাসায়নিক ইত্যাদি যোগ করা হয় এবং এই মিশ্রণটি বিভিন্ন তাপমাত্রায় স্টেরেলাইসড করা হয়। তারপর ঠাণ্ডা করা হয়। এই প্রক্রিয়াটি কয়েকবার করা হয়। এর পরে, এটি দিয়ে গাঁজন প্রক্রিয়া করা হয় এবং অ্যালকোহল ইত্যাদি মিশ্রিত করার পরে, এটি আবার সিদ্ধ করা হয়। এছাড়াও, একটি ডিস্টিলারের সাহায্যে, এটি কখনও কখনও প্রক্রিয়ায় নেওয়া হয়। তারপর এতে অনেক ধরনের ফ্লেভার এবং কিছু রাসায়নিক যোগ করে তারপর প্যাকেজ করা হয়।
আরও পড়ুন- এই একটি শালের দাম প্রায় ১৫ লক্ষ টাকা, তবে কেন ভারতে নিষিদ্ধ এই মহার্ঘ পোশাক
আরও পড়ুন- বড়দিন পালনের আগে জেনে নিন ক্রিসমাসের বিষয়ে আকর্ষণীয় এই তথ্যগুলি
আরও পড়ুন- ব্লাড প্রেসার থেকে ব্রণর সমস্যা সমাধানে, কাজে লাগান কলার খোসা