সংক্ষিপ্ত

  • সাবু খুব উপকারী খাবার, নানাভাবে খাওয়া যায় এই সাবু
  • এটি মূলত কার্বাহাড্রেটসমৃদ্ধ, তবে রয়েছে প্রোটিনও
  • এতে রয়েছে বিভিন্ন ভিটামিন ও মিনারেল
  • এর বিশেষ ধরনের স্টার্চ অন্ত্রের উপকারী ব্য়াকটেরিয়াকে চাঙ্গা রাখে

সাবু বলতেই চোখের সামনে ভেসে ওঠে সাবুর পাঁপড় আর সেইসঙ্গে জলে ভিজিয়ে রেখে তা দুধকলা দিয়ে  মেখে খাওয়া ডালিয়ার খিচুড়ির মতো সাবুর খিচুড়িও কিন্তু কম উপাদেয় হয় না দেখে নেওয়া যাক, এই সাবুতে কী পরিমাণ পুষ্টিগুণ রয়েছে

কার্বোহাইড্রেট সমৃদ্ধ সাবুদানায় কম পরিমাণে থাকে প্রোটিন, ফ্য়াট, ফাইবার, ভিটামিন ও মিনারেল১০০ গ্রাম সাবুতে থাকে ৩৩২ ক্য়ালোরিপ্রোটিন ১ গ্রামেরও কমফ্য়াট ১ গ্রামেরও কমফাইবার ১ গ্রামেরও কমকার্বোহাইড্রেট ৮৩ গ্রাম

জিঙ্ক ছাড়া অন্য়ান্য় মিনারেল বা ভিটামিন থাকে কম পরিমাণে পরীক্ষায় দেখা গিয়েছে, সাবুতে ট্য়ানিন ও ফ্ল্য়াবনয়েডের মতো পলিফেনল থাকে, যা অ্য়ান্টি অক্সিডেন্ট হিসেবে কাজ করে শরীরে প্রদাহ কমায় হার্ট ডিজিজের ঝুঁকি কমায় আর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়  এই সাবুতে ৭.৫ শতাংশ রেজিসটেন্স স্টার্চ থাকে, যা আমাদের অন্ত্রে  থাকা উপকারী ব্য়াকটেরিয়াকে চাঙ্গা রাখে যাতে করে হজম ভাল হয় এই বিশেষ ধরনের স্টার্চ, ডায়াবেটিক ও প্রিডায়াবেটিক রোগীদের জন্য় উপকারী তবে সাবু রক্তে শর্করার পরিমাণ কতটা নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারে, তা নিয়ে পরীক্ষানিরীক্ষা চলছে এখনও

রক্তে বেশি পরিমাণ কোলেস্টেরল ও ট্রাইগ্লিসারাইড, হার্ট ডিজিজের ঝুঁকি বাড়ায় বিভিন্ন পরীক্ষায় দেখা গিয়েছে, সাবুতে থাকা অ্য়ামাইলোজ নামক স্টার্চ কোলেস্টেরল এবং রক্তে ফ্য়াটের পরিমাণ কমাতে ও রক্তে ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণে সাহায্য় করে ফলে হার্টের রোগের ঝুঁকি কমে যায় অনেকটাই

গবেষণায় দেখা গিয়েছে, ব্য়ায়ামের আগে বা পরে সাবুর মতো কার্বোহাইড্রেটসমৃদ্ধ খাবার খাওয়া যায়, তাহলে শরীর চাঙ্গা থাকে আর ব্য়ায়ামের পরে শরীরের ক্লান্তি দূর করতেও সাবুর মতো খাবার খুব দরকারি

বিভিন্নভাবে খাওয়া যায় সাবু জলে মিশিয়ে খেতে পারেন সাবুর গুঁড়ো বেকিংয়ে কাজ করে সাবুদানা সাধারণত ডেজার্ট ডিশেও ব্য়বহার করা হয় এছাড়া সাবুর পাঁপড় বা উপোসের পর সাবুর দানা জলে ভিজিয়ে দুধ-কলা দিয়ে মেখে খেলে তা অত্য়ন্ত উপাদেয় হয়