সংক্ষিপ্ত
- মরশুম বদলের এই প্রভাব শরীরের ওপর পড়ে ভীষণভাবে
- শীতকাল মানেই পা ফাটার সমস্যা
- অনেকেই আবার সারা বছরই ভোগেন পা ফাটার সমস্যায়
- ঠাণ্ডা পড়ার আগে থেকেই যত্ন নিন পায়ের
সুন্দর একজোড়া জুতোর সঙ্গে পা ফাঠা খুবই বিরক্তিকর একটি সমস্যা। আর শীতকাল মানেই পা ফাটার সমস্যা। অনেকের আবার শুধু শীতকালই নয়, সারা বছরই ভোগেন পা ফাটার সমস্যায়। দিনে দিনে পরিবর্তন হচ্ছে আবহাওয়ার। মরশুম বদলের এই প্রভাব যে শুধু শরীরের ওপরই পড়ে তা নয়, পায়ের ওপরও পড়ে ভীষণভাবে। শীতের ঠান্ডা হাওয়া ছাড়াও আরও কিছু বিষয় আছে, যা পা ফাটার এই সমস্যা আরও বাড়িয়ে দেয়। যেমন থাইরয়েডের সমস্যা, সোরিয়াসিস, একজিমা, অনিয়ন্ত্রিত ডায়াবেটিস, ছত্রাক সংক্রমণ ইত্যাদি।
আরও পড়ুন- খাওয়া শেষে মিষ্টির প্রয়োজন, জেনে নিন এই বিষয়ে কি বলছেন বিশেষজ্ঞরা
এ ছাড়া খুব ঠান্ডা শুষ্ক আবহাওয়া, খোলা জুতা বা স্যান্ডেল, জুতোর পেছন দিকে ঘষা, জুতা ঠিকমতো ফিট না করা এই সমস্ত সমস্য়াও ফলেও বাড়তে পারে পা ফাটা বা ক্রাক হিলের মত সমস্যা। তাই ঠাণ্ডা পড়ার আগে থেকেই যত্ন নিন পায়ের। জেনে নিন ঘরোয়া পদ্ধতিগুলি।
আরও পড়ুন- শুষ্ক ত্বক, হারাচ্ছে জেল্লা, শীতের মরসুমে মোক্ষম দাওয়াই অ্যালোভেরা
শীত পড়ার আগে থেকেই ব্যবহার করুন নারকেল তেল। এতে স্যাচুরেটেড ফ্যাট থাকার ফলে পা ফাটায় দারুন উপকার পাওয়া যায়। একটি কন্টেনারে সম পরিমান ওলিভ ও ল্যাভেন্ডার ওয়েল নিয়ে মিশিয়ে রাখুন। পা ড্রাই হয়ে এলেই কয়েক ফোঁটা এই তেল মেখে নিন, তফাৎ টা নিজেই বুঝতে পারবেন। প্রতিদিন দিনে দুবার করে পা পরিষ্কার করে ময়শ্চারাইজার ব্যাবহার করুন। রাতে ভালো ফুট ক্রীম দিয়ে ম্যাসাজ করুন। এতে পায়ে রক্ত চলাচল বৃদ্ধি পাবে।
শুধু ঠোঁট ফাটায় নয় পেট্রোলিয়াম জেলি পা ফাটাতেও দারুন কজ দেয়। পা ফাটার সমস্য়া অতিরিক্ত পরিমানে থাকলে পেট্রোলিয়াম জেলির সঙ্গে লেবুর রস মিশিয়ে ব্যবহার করলে রাতারাতি ফল পাবেন। এছাড়া সপ্তাহে দু বার হালকা গরম জলে পাতি লেবুর রস দিয়ে ১৫ মিনিটের মত পা ভিজিয়ে রাখুন। এরপর ব্রাশ দিয়ে পা ঘষে ডেড সেল তুলে ফেলে ময়শ্চারাইজার লাগিয়ে নিন। পায়ের যত্নের জন্য এই কয়েকটি নিয়ম মেনে চললেই দ্রুত মুক্তি পাবেন পা ফাটার সমস্যা থেকে।