সংক্ষিপ্ত
কর্মজীবনের সঙ্গে ব্য়ক্তিগত জীবনকে সামাল দিতে গিয়ে রীতিমতো হিমশিম খেতে হয়। তার উপরে কর্পোরেট দুনিয়ার শিফটিং কাজে অবস্থা আরও নাজেহাল। ফলে স্ট্রেস বাড়তে থাকে। আর একবার স্ট্রেসের কবলে পড়লে তার থেকে বেরনো মোটেই সহজ কাজ নয়। কিন্তু মাত্র ২০ মিনিটেই নাকি কমতে পারে স্ট্রেস।
প্রযুক্তির যুগে ব্যস্ত নয় এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া মুশকিল। কর্মজীবনের সঙ্গে ব্য়ক্তিগত জীবনকে সামাল দিতে গিয়ে রীতিমতো হিমশিম খেতে হয়। তার উপরে কর্পোরেট দুনিয়ার শিফটিং কাজে অবস্থা আরও নাজেহাল। ফলে স্ট্রেস বাড়তে থাকে। আর একবার স্ট্রেসের কবলে পড়লে তার থেকে বেরনো মোটেই সহজ কাজ নয়। কিন্তু মাত্র ২০ মিনিটেই নাকি কমতে পারে স্ট্রেস।
মিচিগাং বিশ্ববিদ্য়ালয়ের গবেষকরা জানাচ্ছেন, প্রকৃতি-গাছপালাই কমাতে পারে স্ট্রেস। দিনে অন্তত ২০ মিনিটের মধ্য়ে সবুজ গাছপালা, প্রকৃতির সংস্পর্শে থাকতে পারলেই কমতে পারে স্ট্রেস। রোজ নিয়ম করে গাছের তলায় বসে থাকলে বা বাগানে হাঁটলে স্ট্রেস হরমোন অনেকটাই কমে। একটি নতুন গবেষণার মাধ্যমে এই সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। ফ্রন্টিয়ারস ইন সাইকোলজি জার্নালে এই গবেষণার রিপোর্ট প্রকাশ হয়েছে।
বিশেষজ্ঞ ম্যারিক্যারল হান্টার জানাচ্ছেন, আমরা মোটামুটি সকলেই জানি প্রকৃতির সংস্পর্শে থাকলে স্ট্রেস কমে। কিন্তু ঠিক কতক্ষণ প্রকৃতির সঙ্গে কাটালে স্ট্রেসমুক্ত হওয়া যায়,এ সম্পর্কে আমাদের ধারণা স্পষ্ট নয়।
গবেষকদের দল ৩৬ জনের উপরে এই সমীক্ষা চালান। সপ্তাহে তিনদিন ১০ মিনিট করে প্রকৃতির মধ্য়ে থাকতে বলা হয় তাঁদের। টানা ৮ সপ্তাহ ধরে এই প্রক্রিয়া চলে।
এই প্রক্রিয়া শেষ হওয়ার আগে ও পরে প্রত্যেকের লালা পরীক্ষা করে স্ট্রেস হরমোন ‘কর্টিসোল’ পরিমাপ করা হয়। ফলাফল হিসেবে দেখা যায়, স্ট্রেস হরমোন অনেকটাই কমেছে।
১০ মিনিটেই এমন ফলাফল আসায় বিশেষজ্ঞরা এই সিদ্ধান্তে উপনীত হন যে, রোজ ২০ মিনিট করে প্রকৃতির মধ্য়ে বসে থাকলে এই স্ট্রেস হরমোন আরও অনেক কমতে পারে।
তাই রোজ না হলেও সপ্তাহে অন্তত তিন দিন ২০ মিনিটের জন্য প্রকৃতির সঙ্গে সময় কাটাতেই পারেন। সারাদিনের কাজের ভারে যা স্ট্রেস তৈরি হয়, তা অনেকটাই কমে এতে। বাডি়র বাগানকে বা ছোট্ট বারান্দাকেও সবুজ গাছপালায় ভরিয়ে তুলতে পারেন। তা হলে হাতের কাছেই পেয়ে যাবে স্ট্রেস হরমোন কাটানোর ওষুধ।