সংক্ষিপ্ত
- ফারাক্কাতে শরু হয়েছে নতুন নেভিগেশন লক লাগানোর কাজ
- সম্পূর্ণ হলে গঙ্গা নদীতেই মিলবে বাংলাদেশের ইলিশ
- ১৯৭৬ সাল থেকে ফারাক্কা নেভিগেশন লক কাজ করছে
- ২০২১ সালের জুন থেকে খোলা হবে এই লক
কলকাতা থেকে ২৮০ কিলোমিটার দূরে ফারাক্কা ব্যারেজে নতুন নেভিগেশনাল লক তৈরির কাজ শুরু হয়েছে। নতুন নেভিগেশনাল লকটি এলএন্ডটি (L&T) নির্মাণ করছে। এর ফলে জাহাজগুলি দ্রুত নির্ঝঞ্ঝাটভাবে যাত্রা করতে পারবে। বিদ্যমান লকটি জাহাজ চলাচল পরিচালনা করতে অক্ষম হওয়ায়, জাহাজগুলির লকটি পাস করার জন্য যথেষ্ট সময় লাগে। ১৫০০-২০০০ টন ক্ষমতার জাহাজ চালনার জন্য বিশ্ব ব্যাংকের সহায়তায় জল মার্গ বিকাশ প্রকল্প এখানে বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। ভারতীয় কর্তৃপক্ষ ফারাক্কা ব্যারেজে স্লুইস গেটটি প্রতিদিন চার ঘন্টার জন্য বর্তমান স্তরের চেয়ে বেশি উচ্চতায় খোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এটি ইলিশকে ডিম পাড়ার জন্য পদ্মা নদীর নোনতা জল থেকে গঙ্গা নদীর মিষ্টি জলে সাঁতার কেটে আসতে সাহায্য করবে।
আরও পড়ুন- ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হলে এই ৩ খাবার কখনই ডায়েটে নয়, ফল হতে পারে মারাত্মক
১৯৭৬ সালে ফারাক্কা নেভিগেশন লক তৈরির পরে প্রয়াগরাজ অবধি ইলিশ মাছের চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। ফারাক্কায় সম্প্রতি একটি নতুন নেভিগেশন লক স্থাপনের কথা ঘোষণা করা হয়েছিল যা নির্মাণ শেষ হওয়ার পরে ২০২১ সালের জুন থেকে খোলা হবে। এর ফলে চার দশকের পরে গঙ্গায় ইলিশ মাছ ডিম্ পাড়তে পারবে। লারসেন অ্যান্ড টুব্রোর জিওস্ট্রাকচারস ব্যবসায়ের একটি অনন্য প্রকল্পের জন্য, মৎস্য প্রেমীরা, বিশেষত বাঙালিরা গঙ্গা নদীতেও তাজা ইলিশ এর স্বাদ উপভোগ করতে সক্ষম হবেন। এই প্রকল্পের ফলে মাছ বাংলাদেশ থেকে সাঁতার কেটে গঙ্গা নদীতে প্রবেশ করতে সক্ষম হবে ফলে উত্তর প্রদেশের প্রয়াগরাজ পর্যন্ত গঙ্গার ধারে মৎস্য প্রেমীরা এই প্রকল্পের সুফল হিসেবে তাজা সুস্বাদু ইলিশের মজা উপভোগ করতে পারবেন।
আরও পড়ুন- গর্ভাবস্থায় করোনার টিকা কি মা এবং শিশুর পক্ষে নিরাপদ, কি বলছে নয়া গবেষণা
এই সাইটটি পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদ জেলার ফারাক্কা ব্যারেজের ফিডার ক্যানালে অবস্থিত। ১৯৭৮ সাল থেকে ফারাক্কার বর্তমান লক গেটটি কর্মরত, তবে তার অদক্ষতার কারণে আইডাব্লুএআই আধুনিক প্রযুক্তির নতুন লক প্রস্তাব করেছে যাতে থাকবে মিটার গেটস, সিজন গেটস, বাল্ক হেড গেটস এবং রেডিয়াল গেট যা কালভার্টস গুলিতে জল ভরে এবং যা একটি কন্ট্রোল রুম থেকে সমস্ত গেটগুলিকে নিয়ন্ত্রিত করা যায় । নতুন এই প্রকল্প শুরু হলেই আবার বাংলায় থেকেই উপভোগ করা যাবে পদ্মার ইলিশের স্বাদ।