সংক্ষিপ্ত
- হিন্দুকুশ হিমালয় অঞ্চলে জলের তীব্র সঙ্কট আরও বৃদ্ধি পাচ্ছে
- হিমালয়ে পার্বত্য অঞ্চল সংলগ্ন ক্রমশ শুকিয়ে যাচ্ছে
- নেপালের বেশ কিছু অঞ্চল অন্তর্ভুক্ত রয়েছে এই তালিকায়
- নাম রয়েছে বাংলাদেশের সিলেট ও চট্টগ্রাম শহরগুলির
ভারত, নেপাল, পাকিস্তান এবং বাংলাদেশের ১৩ টি অঞ্চল ইতিমধ্যেই জলের সঙ্কট চলছে। এর মধ্যে মুসৌরি, দেবপ্রয়াগ, সিংতম, কালিম্পং এবং দার্জিলিং সহ ভারতের আরও বেশ কিছু অঞ্চল আশঙ্কার তালিকায় রয়েছে। বিজ্ঞান জার্নাল 'ওয়াটার' পত্রিকায় প্রকাশিত এক গবেষণায় এটি এই তালিকা প্রকাশিত হয়েছে। গবেষণা বলছে যে হিন্দুকুশ হিমালয় অঞ্চলে জলের তীব্র সঙ্কট আরও বৃদ্ধি পাচ্ছে। হিমালয়ে পার্বত্য অঞ্চল সংলগ্ন ক্রমশ শুকিয়ে যাচ্ছে। গবেষণায় রয়েছে নেপালের কাঠমান্ডু, ভরতপুর, তানসেন এবং দামৌলি অন্তর্ভুক্ত রয়েছে এই তালিকায়।
আরও পড়ুন- সন্তানদের রক্ষা করতে বিষাক্ত সাপের সঙ্গে লড়াই, মায়ের মমতায় ভাসলো সোশ্যাল মিডিয়া
আরও পড়ুন- অনর্গল ইংরেজিতে মহাত্মা গান্ধীর কথা, নেট দুনিয়ায় ভাইরাল 'দেশি দাদি'
পাকিস্তানের মুরি, হাভেলিয়ানস এবং বাংলাদেশের সিলেট ও চট্টগ্রাম শহরগুলির নামও উঠে এসেছে। ওয়াটার পত্রিকা উল্লেখ করা হয়েছে যে, দ্রুত নগর উন্নয়ন ও মানুষের বসবাসের চাহিদা বৃদ্ধির কারণে জলের সরবরাহ প্রচুর পরিমানে বৃদ্ধি পেয়েছে। এর ফলে এই অঞ্চলগুলিতে ভূগর্ভস্থ জলের পরিমান দ্রুত শেষ হয়ে আসছে। যার ফলে আগামী দিনে প্রবল জল সঙ্কটের আশঙ্কা রয়েছে।
আরও পড়ুন- দেশের তৃতীয় মহিলা লেফটেন্যান্ট জেনারেল, মাতৃত্ব থেকে ভারতীয় সেনাবাহিনীতে মাধুরী কানিতকার
শুরু করবে, জলবায়ু পরিবর্তন সম্পর্কিত আন্তঃসরকারী প্যানেল (আইপিসিসি) এর সম্পাদক আনজাল প্রকাশ বলেছিলেন - 'তিনটি চতুর্থাংশ শহরের জলের সরবরাহ বেশিরভাগ ভূগর্ভস্থ জলের উপর নির্ভর করে। বর্তমান জলের ব্যবহারের উপর নির্ভর করে চাহিদা ও সরবরাহের ব্যবধান ২০৫০ সালে-এর দ্বিগুণ হতে পারে। অন্যদিকে, গবেষণা রিপোর্ট করেছে যে হিন্দুকুশ অঞ্চলের জনসংখ্যার মাত্র ৩ শতাংশ বড় শহরে বাস করে, এবং ৮ শতাংশ ছোট ছোট শহরে বাস করে। একই সময়ে, ২০৫০ সালের মধ্যে গ্রামীণ জনসংখ্যার ৫০% শহরে বসবাস শুরু করবে। ফলে জনবসতিপূর্ণ অঞ্চলগুলিতে দ্রুত জলের সঙ্কট দেখা দেবে।