সংক্ষিপ্ত
পড়া মনে রাখার কতগুলি সহজ উপায় রয়েছে। যেগুলি আপনাকে সহজেই নম্বর পেতে সাহায্য করবে। পরীক্ষার সময় শুধু নয় , সারাবছরই এগুলি মেনে চলুন।
পড়ছেন, কিন্তু তা ভুলেও যাচ্ছেন। পরীক্ষার সময় বা ক্লাসে বিপদে পড়ছেন অনেক সময়। পড়া মনে থাকছে না। ইতিহাস, ভূগোল, বিজ্ঞান- সবকিছুই কেমন যেন গুলিয়ে যাচ্ছে- তাইতো? যাদের এমন অবস্থা তাদের জন্যই রইল পড়া মনে রাখার সহজ উপায়গুলিঃ
১ বিরতির পর রিসভিশন
জার্মান মনোবীদ হারমান এবিনঘাসের মতে কোনও কিছু পড়ার মাত্র এক ঘণ্টা পরে তার মাত্র ৪৪ শতাংশই আমাদের মনে থাকে। তাই কোনও কিছু পড়া হয়ে গেলে সেটি অবশ্যই পরপর বেশ কয়েক দিন পড়তে হবে। অনেক বিষয় পড়ার চাপ থাকলে পরপর কয়েক দিন অনত্ত একবার করে চোখ বুলিয়ে নিতে হবে। বিশেষ করে কোটেশন বা পয়েন্ট গুলি দেখতেই হবে।
২. সহজ করে বোঝা- কোনও বিষয় মুখস্ত করার আগে সেটিকে সহজ করে নিজের মত করে বুঝে নিতে হবে। একবার যদি সেই বিষয়টি বুঝে নেওয়া সম্ভব হয় তাহলে সেই পড়াটি অনেক সহজেই মুখস্ত করা যায়।
৩. সময় গেজেট নয়- পড়ার সময় কখনই সেলফোন, ট্যাব, বা ল্যাপটপ নিয়ে পড়তে বসা চলবে না। তাহলে বারবার মনোসংযোগে ব্যাঘাত ঘটে। যা পড়া মনে রাখার ক্ষেত্রে বাধা হয়ে দাঁড়ায়। বিজ্ঞানীদের কথায় কোনও মানুষ টানা ২৫ মিনিট কোনও কাজ করবেন। তারপর টানা পাঁচ মিনিট বিশ্রাম নিতে পারবেন। তবে এই সময় শুধু বিশ্রামই নেবেন। অন্য সেলফোন বা মুঠোফোনে সময় নষ্ট করতে পারবেন না। এই পাঁচ মিনিট যা পড়বেন তা নিয়েই চিন্তা করবেন। তাহলে সেই বিষয়টি দীর্ঘসময় মনে থাকবে।
৪. ঘুম- পড়া মনে রাখার জন্য রাতের বেলায় প্রয়োজনীয় ঘুম দরকার। কারণ আমরা যে সময়টা ঘুমাই সেই সময়ই মস্তিষ্ক নিজের মত করে কাজ করে। মস্তিষ্ক আমাদের সারাদিনের সব কাজগুলি নির্দিষ্ট কোষে সংরক্ষিত রাখে। তাই পর্যাপ্ত ঘুম পড়া মনে রাখার অন্যতম শর্ত। তবে বিজ্ঞানীরা রাজ গেজে পড়ার পরিবর্তে দিনের বেলা পড়ার ওপর বেশি জোর দিয়েছেন।
৫. বিষয়েক সঙ্গে বাস্তবের যোগ- আপনি যে বিষয়টি পড়ছেন বা কাউকে পড়চ্ছেন সেটির সঙ্গে বাস্তবের যোগ খুঁজে বার করুন। যেমন গঙ্গার গতিপত বোঝানোর সময় ছবি এঁকে পড়ান। ভারত বা কোনও দেশের সীমানা পড়ার সময় ম্যাপের ব্যবহার করুন। সেই ছবিটাকে মনে গেঁথে নিন। তেমনই আবার বিজ্ঞানের বিষয়গুলি পড়ার সময় ছবি এঁকে তারপর পড়ুন তাহলে অনেকটাই সুবিধে হবে।
কিন্ত ইতিহাস বা যে কোনও সজ্ঞার ক্ষেত্রে এই পদ্ধতি কার্যকর নয়। কারণ সজ্ঞা মুখস্ত করতেই হবে। আর তা মনে রাখার জন্য ছোট ছোট কাগজে লিখে পড়ার টেবিল বা ডেস্কে লাগিয়ে রাখুন । তাহলে সুবিধে হবে। ইতিহাসের জন্য আপনি অবশ্যই বিষয়গুলিতে নিজের মত করে ছোট ছোট করে একটি খাতায় লেখে রাখুন। সব সাল একজায়গায় লিখে রাখুন। তাহলে পড়তে সুবিধে যেমন হবে মনে রাখাও সহজ হবে।
৬. সঙ্গে লেখা- কোনও একটি বিষয় পড়লেই হবে না। তার সঙ্গে সেটি বারবার লেখার প্রয়োজন রয়েছে। একটা পড়া কতটা তৈরি হয়েছে সেটি পরীক্ষা করার জন্য বাড়িতেই লেখার অভ্যাস করুন। যে জায়গাটা ভুলে যাচ্ছেন সেই জায়গাটায় জোর দিন।