সংক্ষিপ্ত
- করোনা ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৩৯
- নতুন করে আরও ৫ জনের শরীরে মিলল এই করোনা ভাইরাস
- কেরলের একই পরিবারে পাঁচজনের শরীরে মিলেছে এই করোনা ভাইরাস
- কেরলেই সবথেকে বেশি সংখ্যক মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন এই রোগে
করোনা ভাইরাসের আক্রান্তের সংখ্যা ক্রমশই যেন বাড়ছে। সারা বিশ্ব জুড়ে দাঁপিয়ে বেড়াচ্ছে এই করোনা ভাইরাস। মুহূর্তের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ছে এই ভাইরাস। ভারতেও হানা দিয়েছে এই মারণ ভাইরাস। এর আগে এতদিন পর্যন্ত করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ৩১ । নতুন করে আরও ৩ জনের শরীরে মিলেছিল এই ভাইরাস। যা বেড়ে দাঁড়িয়েছিল ৩৪। এবার নতুন করে আরও ৫ জনের শরীরে মিলল এই করোনা ভাইরাস। ইতিমধ্যেই তাদের শণাক্ত করা হয়েছে। রবিবার স্বাস্থ্য মন্ত্রকের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। এই নিয়ে উদ্বেগ শুরু হয়েছে সকলের মধ্যে। মোট আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৩৯।
আরও পড়ুন-করোনা ভাইরাস আতঙ্ক, মাস্কের কালোবাজারি রুখতে কড়া পদক্ষেপ পুলিশের...
কেরলের একই পরিবারে পাঁচজনের শরীরে মিলেছে এই করোনা ভাইরাস। পরিবারের সকলেই কিছুদিন আগে ইতালি থেকে ফিরেছেন। ভারতে কেরলেই সবথেকে বেশি সংখ্যক মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন। কেরলের স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, পরিবারের কেউই তাদের ট্রাভেল সংক্রান্ত কোনও কথা জানায়নি এমনকী তাদের স্ক্রিনিংও হয়নি। তারা হাসপাতালেও ভর্তি হতে রাজি হননি। তবে বিদেশি নাগরিককে এ দেশে ঢুকতে গেলে মেডিক্যাল স্ক্রিনিং-এর মধ্য দিয়েই যেতেই হবে বলে সাফ জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রক। ইরাক, ইতালি, ইরান, আমেরিকাও থাবা বসিয়েছে করোনা।
আরও পড়ুন-করোনা ভাইরাসের থাবা এবার কলকাতাতে, হাসপাতালে ভর্তি যাদবপুরের প্রৌঢ়...
লাদাখের দুই ব্যক্তির শরীরে মিলেছে এই করোনা ভাইরাস। এবং তামিলনাডুর এক ব্যক্তি শরীরে মিলেছে এই ভাইরাস। সম্প্রতি তারা ইরানে গিয়েছিলেন। তামিলনাডুর ওই ব্যক্তিও ওমান থেকে ফিরেছেন।করোনা ভাইরাসের নামটা শুনলেই প্রত্যেকেই যেন আতঙ্কিত। যত দিন যাচ্ছে মহামারির আকার ধারণ করছে এই রোগ। যার জেরে জেরবার প্রশাসন। করোনা আতঙ্কে ইতিমধ্যেই ভয়ে কাঁপছে চিন। শুধু চিন নয়, চিনের পাশাপাশি ভারত সহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তে মুহূর্তের মধ্যে প্রবেশ করছে এই ভাইরাস। একজনের থেকে আরেকজনের শরীরে ছড়িয়ে পড়ছে এই ভাইরাস। মানুষের নিঃশ্বাস প্রশ্বাসের সঙ্গেই ছড়িয়ে যাচ্ছে এই রোগের জীবানু। কোনওভাবেই আটকানো যাচ্ছে না এই ভাইরাসকে। নোবেলা করোনা প্রকৃতির এই করোনা ভাইরাস। বিশেষজ্ঞরা বলছেন এটি আসলে ফ্ল্যাবিও ভাইরাস, যা খুব দ্রুত ছড়িয়ে যাচ্ছে। হু হু করে বাড়ছে মৃত্যু সংখ্যা। সার্সের মতোই ভয়ঙ্কর এই ভাইরাস ।