পুজো আসার আগেই মন চায় পুজোয় কোথায় ঘুরতে যাবো, তার প্ল্যানিং করতে। আর যদি সন্ধান পাওয়া যায় প্রকৃতির কোলে নির্জন স্বর্গের, যেখানে পাহাড় আপ্যায়ন করবে আপনাকে, আর ফিরতে কি মন চাইবে?

বাঙালির পাহাড় মানেই এখন সবার আগে মাথায় আসে দার্জিলিং, কালিম্পং কিংবা সিকিম। কিন্তু ভিড়, যানজট আর পর্যটকদের কোলাহলে প্রকৃতির সঙ্গে সেই নিরিবিলি সময় কাটানো প্রায় অসম্ভব হয়ে উঠেছে। বরং এই কোলাহল কাটিয়ে ঘুরে আসতে পারেন কালিম্পংয়ের নির্জন, ছোট্ট স্বর্গ—ফুরুং গাঁও।

কালিম্পং জেলার একটি স্বল্পপরিচিত গ্রাম ফুরুং গাঁও, যা সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে প্রায় ৪৫০০ ফুট উচ্চতায় অবস্থিত। সবুজ পাহাড়, সিঁড়ির মতো সাজানো চাষের জমি, আর অজস্র রঙিন পাখির কিচিরমিচিরে মন শান্ত হতে বাধ্য। প্রকৃতির কোলে লুকোনো এক ছোট্ট স্বর্গ যেন এই অফবিট ফুরুং।

এখানে এখনও পর্যটকের ভিড় নেই, তবে পাখিদের ভিড় আপনাকে ব্যতিব্যাস্ত করবে না। গ্রামে চোখে পড়ে ময়ূর, স্কারলেট মিনিভেট, পার্পল সানবার্ড, বার্ন সোয়ালোডের মতো পাখিদের আনাগোনা।

কীভাবে যাবেন?

শিয়ালদহ কিংবা হাওড়া থেকে নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশনে নামবেন। সেখান থেকে গাড়ি ভাড়া করে ১০নং জাতীয় সড়ক ধরে পৌঁছে যেতে পারেন ফুরুং গাঁও। এখানে যেতে সময় লাগবে ৪-৫ঘন্টা। আপনি নিউ জলপাইগুড়ি থেকে এক গাড়ি ভাড়া করে যেমন ফুরুং গাঁও যেতে পারেন।

এছাড়া কালিম্পং শহর থেকে শেয়ার জিপ বা ছোট গাড়িতেও ফুরুং পৌঁছনো যায়।

কোথায় থাকবেন?

ফুরুং গাঁওতে কিছু লোকাল হোমস্টে রয়েছে, এখনো এখানে কমার্শিয়াল হোটেলের ভিড় হয়নি। স্থানীয় হোমস্টেতে থাকলে আপনি গ্রামবাসীদের উষ্ণ আতিথেয়তা, পাহাড়ি সুখাদ্য দুইই উপভোগ করতে পারবেন।

কোথায় কোথায় ঘুরবেন?

ফুরুং গাঁও ঘুরতে গেলে দেখে নিতে পারেন আশেপাশের কিছু সুন্দর অফবিট জায়গা, যেমন-

* মুংসং – ছোট্ট পাহাড়ি গ্রাম, প্রকৃতির টানেই পর্যটকরা যান।

* পেডং – ঐতিহাসিক গুম্ফা এবং দৃশ্যের জন্য পরিচিত।

* আলগাড়া ও ডুকা ভ্যালি – নিসর্গপ্রেমীদের জন্য আদর্শ স্থান।

এছাড়াও আপনি চাইলে এখান থেকে পূর্ব সিকিমের পরিচিত গন্তব্য রোলেপ, রংলি, আরিতার ও আগামলোক ঘুরে নিতে পারেন, বেশ ভরপুর ভ্রমণ হবে।