বড়দিনের ছুটি পর্তুগিজ পাড়ায় দিন কাটানোর সুযোগ। কারণ স্থানীয়দের উদ্যোগে তৈরি হচ্ছে হোম-স্টে! শীতকালীন পর্যটন মরশুমে পর্যটকদের কাছে জনপ্রিয় হয়ে উঠবে বলে অভিমত স্থানীয়দের!
বড়দিনের ছুটিতে দীঘা ভ্রমণ দারুণ একটা আইডিয়া।কারণ ডিসেম্বর মাস এখানকার আবহাওয়া খুব মনোরম থাকে (ঠান্ডা ও রোদ ঝলমলে), যা সমুদ্র সৈকতে ঘোরাঘুরি, সূর্যাস্ত দেখা, ওয়াটার স্পোর্টস আর সি-ফুড উপভোগের জন্য আদর্শ। নিউ দীঘার অ্যাকোয়ারিয়াম, অমরাবতী লেকে বোটিং, ওল্ড দীঘার শান্ত সৈকত, মোহনা পয়েন্টে টাটকা মাছের বাজার দেখা, আর ঝিনুক ও শাঁখের গয়না কেনা—এই সব অভিজ্ঞতা বড়দিনের ছুটিতে দীঘাকে আরও আনন্দময় করে তুলবে।
বড়দিনের ছুটিতে দীঘা ভ্রমণের কিছু আকর্ষণ:
ডিসেম্বর মাস ঠান্ডা ও আরামদায়ক থাকে, যা বিচ ও অন্যান্য দর্শনীয় স্থান ঘুরে দেখার জন্য সেরা সময়। মেরিন অ্যাকোয়ারিয়াম ও সায়েন্স সেন্টার এবং অমরাবতী লেক (বোটিং-এর জন্য) এখানে আছে। ওল্ড দীঘাতে শান্ত ও নিরিবিলি সৈকতের জন্য পরিচিত, যেখানে সূর্যোদয় ও সূর্যাস্ত দেখা যায়। চম্পা নদীর সঙ্গমস্থল, যেখানে টাটকা মাছের বাজার যায়।
এছাড়া এই শীতের ছুটিতে বড়দিনে ঘুরে আসতে পারেন দীঘার পর্তুগিজ পাড়া থেকে। বড়দিন থেকে বছরের প্রথম দিন পর্যন্ত আনন্দ উৎসবে মেতে ওঠে এই পর্তুগিজ গ্রাম! সেই আনন্দে সামিল হয় পর্যটকেরা। প্রতি বছর বড়দিনে মেতে ওঠে পূর্ব মেদিনীপুরের মহিষাদলের গেঁওখালির মীরপুর গ্রামের পর্তুগিজ পাড়া। ২৫ ডিসেম্বর-১ জানুয়ারি পর্যন্ত হয় নানা রকমারি অনুষ্ঠান। সেই অনুষ্ঠান দেখতে পর্যটকরা। কিন্তু দিনের দিনে ফিরে আসতে হয় তাদের। মহিষাদল থানার অন্তর্গত গেঁওখালির কাছে মীরপুরে রোমান ক্যাথলিক ও সিএনআই, দু'টি চার্চ রয়েছে। প্রতি বছর বড়দিনে এখানে বহু পর্যটক আসেন ভিন জেলা থেকে। কিন্তু রাত্রিযাপনের সুযোগ না থাকায় তাদের সন্ধের মধ্যেই ফিরতে হত। তাই পর্যটকেরা খানিকটা হতাশ হয়ে এই বাড়ি ফিরতেন। ওই এলাকায় কোনও হোম-স্টে নেই। তাই কয়েকজন গ্রামবাসী পর্যটকদের কথা মাথায় রেখে হোম-স্টে তৈরির সিদ্ধান্ত নিলেন।
প্রসঙ্গত , ১৭৭৬ সালে রানী জানকী দেবী মহিষাদল রথযাত্রার সূচনা করেন, যা বিশাল মেলা ও জনসমাগমের জন্য বিখ্যাত। মহিষাদল ছিল দিঘার কাছে একটি সমৃদ্ধ জমিদারী। দিঘার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য এবং মহিষাদলের এই রাজকীয় ঐতিহ্য এই অঞ্চলকে ঐতিহাসিক ও পর্যটনগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ করে তুলেছে।


