সংক্ষিপ্ত
কলকাতা থেকে খুব কাছে মিলবে এমনই এক নির্জন সৈকত। কিন্তু কোথায় এই জায়গা? জেনে নেওয়া যাক।
শীতের শুরুতে রোজনামচার একঘেয়েমি কাটাতে অনেকেই কাঠেপীঠে বেড়াতে যেতে চান। তবে সদাব্যস্ত জীবনে ছুটি পাওয়া ভার। তাই খুব কাছেপীঠে দু'দিনের ছুটিতে ঘুরে আসার মত জায়গা অনেকেই খোঁজেন। তাঁর উপর আবার কালীপুজো-দিওয়ালির ছুটি পড়েছে উইকেন্ডে। তবে বাঙালির কাছে কাছেপীঠে বেড়াতে যাওয়া মানেই দিঘা, পুরী, দার্জিলিং। তবে দিঘা বা পুরীর সৈকতে ছুটির দিন মানেই তিল ধারণের জায়গা থাকে না। তাই ছুটি কাটাতে একটু অফবিট জায়গার খোঁজ অনেকেই করে থাকেন। এবার আর চিন্তা নেই। কলকাতা থেকে খুব কাছে মিলবে এমনই এক নির্জন সৈকত। কিন্তু কোথায় এই জায়গা? জেনে নেওয়া যাক।
নভেম্বরের হালকা শীতের আমেজে কনক্রিটের জঙ্গল থেকে মুক্তি পেতে অনেকেই দু'দিনের ছুটি কাটাতে রওনা হয় পাহাড় বা সমুদ্রের দিকে। তবে এবার দিঘা পুরীর বদলে ঘুরে আসতে পারেন একেবারে অফবিট দাগারা সৈকত থেকে। কলকাতার অনতিদূরে অবস্থিত নির্জন, নিরিবিলি এই সৈকতে সমুদ্রের অপরূপ শোভা থেকে শুরু করে পেয়ে যাবেন অসাধারণ ঝাউ বনের সৌন্দর্য।
সোনালি বালি আর লাল কাঁকড়ার দল, ওড়িশার এই দাদ্রা সৈকত মানেই দুয়ের মিশেল। দূর থেকে দেখলে মনে হয় বালির উপর কেউ লাল গালিচা বিছিয়ে রেখেছে। কাছে গেলে দেখতে পাবেন সার দেওয়া কাঁকড়ার দল।
কীভাবে যাবেন দাদরা সৈকত?
এই সৈকতে পৌঁছন যেমন সহজ, তেমনই পকেট উপোযোগীও। হাওড়া থেকে ট্রেনে জলেশ্বর কিংবা বাস্তা যেতে হবে। সেখান থেকে অটো কিংবা গাড়ি ভাড়া করে পৌঁছে যেতে হবে গন্তব্যে। হোটেল বুক করার সময় বলে রাখলে হোটেল থেকেই গাড়ি পাঠিয়ে দেওয়া হবে আপনার জন্য।
কোথায় থাকবেন?
এই সৈকতে আপনি পেয়ে যাবেন নানান বাজেটের একাধিক হোটেল। নিজের বাজেট ও পছন্দ অনুযায়ী বুক করে নিতে পারবেন হোটেল। ঊল্লেখ্য আগেভাগে ফোনেও হোটেল বুক করে নিতে পারেন আপনি।