Travel Tips: উত্তরবঙ্গের দার্জিলিং, কার্শিয়াং, কালিম্পং অথবা ডুয়ার্সে ইতিমধ্যে ঠান্ডা পড়তে শুরু করে দিয়েছে। এবার এই শীতের মরশুমে আপনার মন চাইছে পাহাড়ি কোথাও ঘুরতে যেতে। 

Travel Tips: কালিম্পং-এর অদূরে অবস্থিত একটি শান্ত ও মনোরম গ্রাম হল রেশমগাঁও। শান্ত, নির্জন এবং প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরপুর এই গ্রামটি শীতকালে ভ্রমণের জন্য একটি আদর্শ স্থান হতে পারে। আপনি এখানে নিরিবিলি পরিবেশে পাহাড়ের সৌন্দর্য উপভোগ করতে পারেন।

* রেশমগাঁও এর সম্ভাব্য আকর্ষণ: প্রাকৃতিক সৌন্দর্য: পাহাড়ের কোলে অবস্থিত এই গ্রামটি সবুজ এবং শান্ত পরিবেশে ঘেরা, যা শহুরে জীবনের কোলাহল থেকে মুক্তি দেবে।

নির্জনতা: জনবসতি কম থাকায় এবং পর্যটকদের ভিড় না থাকায়, যারা নিরিবিলি পরিবেশে সময় কাটাতে চান, তাদের জন্য এটি একটি আদর্শ জায়গা।

স্থানীয় জীবনযাপন: এখানে আপনি স্থানীয় মানুষজনের জীবনযাত্রা দেখতে পারবেন, যা শহুরে জীবনের থেকে সম্পূর্ণ ভিন্ন।

শীতের অভিজ্ঞতা: শীতকালে এখানকার আবহাওয়া মনোরম থাকে, যা এই গ্রামটির সৌন্দর্য আরও বাড়িয়ে তোলে।

কীভাবে যাবেন রেশমগাঁও :

* বিমান: নিকটতম বিমানবন্দর হল বাগডোগরা বিমানবন্দর। সেখান থেকে কালিম্পং হয়ে রেশমগাঁও যাওয়া যেতে পারে।

* ট্রেন: নিকটতম রেল স্টেশন হল নিউ জলপাইগুড়ি (NJP)। সেখান থেকেও গাড়ি ভাড়া করে কালিম্পং-এর পথে রেশমগাঁও পৌঁছানো যায়।

* থাকার ব্যবস্থা: রেশমগাঁও-এর মতো ছোট গ্রামগুলোতে বড় হোটেল না থাকলেও, স্থানীয় হোম-স্টে-এর ব্যবস্থা থাকতে পারে। কালিম্পং শহরে থাকার অনেক বিকল্প রয়েছে। আপনি সেখানে থেকে একদিনের জন্য রেশমগাঁও ঘুরে আসতে পারেন।

শীতকালে রেশম গাঁও আসলে অবশ্যই পর্যাপ্ত পরিমাণের গরম পোশাক নেবেন। কারণ এখানে নভেম্বর ও ডিসেম্বরে বেশ ঠান্ডা পড়ে। আর আপনার কপাল যদি ভালো থাকে এখান থেকেই আপনি কাঞ্চনজঙ্ঘা কে স্পষ্টভাবে দেখতে পাবেন। আক্ষরিক অর্থে সাইডসিনের মতন এখানে বিশেষ কিছু জায়গা নেই। তবে কয়েক দিন প্রকৃতির সান্নিধ্যে থাকতে হলে এখানে একবার আসতেই পারেন।

বিশেষ দ্রষ্টব্য: রেশম গাওয়ের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য সম্পর্কে বিস্তারিত আরও জানতে যে কোন ট্যুর এন্ড ট্রাভেল এর সাথে যোগাযোগ করতে পারেন

আরও খবরের আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।