সংক্ষিপ্ত

মানুষ সকালে ঘুম থেকে উঠে গরম জল পান করে যাতে শারীরিক কাজ সুচারুভাবে চলতে পারে। ঘুমানোর আগে এক গ্লাস গরম জল পান করলে স্বাস্থ্য ও সৌন্দর্যের উপকারিতা রয়েছে। 

জল পান করা স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী, এটি আপনার তৃষ্ণা নিবারণের পাশাপাশি আপনাকে সতেজ রাখতে সাহায্য করে। কিন্তু গরম জল আপনার স্বাস্থ্যের জন্য আরও বেশি উপকারী। মানুষ সকালে ঘুম থেকে উঠে গরম জল পান করে যাতে শারীরিক কাজ সুচারুভাবে চলতে পারে। ঘুমানোর আগে এক গ্লাস গরম জল পান করলে স্বাস্থ্য ও সৌন্দর্যের উপকারিতা রয়েছে। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে, রাতে ঘুমানোর আগে জল পান করলে শুধু ভালো ঘুম হয় না, স্বাস্থ্যের জন্যও অনেক উপকার হয়।

* বিষণ্ণতা
একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শরীরে জলের অভাবে বিষণ্নতার সমস্যা দূর হয়। এটি ঘুমের চক্রের উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। রাতে ঘুমানোর আগে এক গ্লাস কুসুম গরম জল পান করলে শরীরে জলের ভারসাম্য বজায় থাকে, যার ফলে আপনার মেজাজ ভালো থাকে।

* টক্সিন দূর করে
হালকা গরম জল শরীরের তাপমাত্রা বাড়ায়। যার কারণে অতিরিক্ত ঘাম হয়। রক্ত সঞ্চালন উন্নত করে এবং শরীর থেকে বিষাক্ত পদার্থ বের করে দেয়, তাই রাতে হালকা গরম জল পান করুন।

* হজম
গরম জল খেলে খাবার দ্রুত হজম হয়। আমাদের পরিপাকতন্ত্র দিনের তুলনায় রাতে দুর্বল থাকে। তাই রাতে গরম জল পান করলে খাবার দ্রুত হজম হয়।

* ওজন কমানো
গরম জল পান করলে ওজন দ্রুত কমে। ওজন কমাতে বেশিরভাগ মানুষই সকালে ঘুম থেকে উঠে হালকা গরম জল পান করেন। যদি আপনার ওজন দ্বিগুণ দ্রুত বাড়তে থাকে, তবে আপনার সকালে এবং রাতে হালকা গরম জল পান করা উচিত।

সকালে উঠে যদি ঈষদষ্ণু গরমজলে একটু লেবু মিশিয়ে খান, সঙ্গে একটু মধুও দিতে পারেন, তাহলে উপকার পাবেন অনেক।  বাড়তি মেদ ঝরে যাবে। সেইসঙ্গে শরীরও চাঙ্গা থাকবে।

সকালে উঠে বাথরুমে যাওয়ার জন্য় অনেকেই চা খান। বলেন, চা না-খেলে নাকি পেট পরিষ্কার হয় না। সেক্ষেত্রে বলব, চা না-খেয়ে ঈষদষ্ণু গরম জল খেলেও ওই একটি কাজই হবে। কোষ্ঠ পরিষ্কার হবে।

মনে করা হয়, সাত থেকে আটঘণ্টা ঘুমের পর শরীরে জলের অভাব তৈরি হয়। সেক্ষেত্রে সকালে উঠে এক গ্লাস জল খেতে পারলে সেই ঘাটতি  পূরণ হয়। চাইলে আপনি গরম জলও খেতে পারেন আবার স্বাভাবিক তাপমাত্রার জলও খেতে পারেন।

এমনটাও মনে করা হয়, শরীর থেকে টক্সিন বের করে দিতে সকালে জলের প্রয়োজন  হয়। কারণ, জলই কিডনির মাধ্য়মে  শরীরের টক্সিন ছেঁকে বার করে দেয়। তাই সারাদিনে মোটের ওপর তিন থেকে চারলিটার জল খেতে বলা হয়। দিনের শুরুতেই এক গ্লাস  বড় কাপের এক কাপ জল খেয়ে নিতে পারলে, সেই প্রয়োজন অনেকটাই পূরণ হয়।