সংক্ষিপ্ত
বর্ষাকালে কিছু বিশেষ ধরনের জামা পরলে আপনি খুব সহজেই জলকাদার মধ্যেও বহাল রাখতে পারবেন আপনার মনের মতো লুক। একনজরে দেখে নেওয়া যাক বর্ষার উপযুক্ত পরিধান কী কী...
মে, জুন মাসের তীব্র দাবদাহের পর বর্ষার প্রথম বৃষ্টি বয়ে নিয়ে আসে স্বস্তির খবর। সোদা মাটির গন্ধ, গাছের কচি পাতার রং আর ইতিউতি ব্যাঙের ডাক শুধু রোমাঞ্চই জাগায় না নস্টালজিয়াও বয়ে আনে। বৃষ্টি প্রিয় মানুষের কাছে এই মরশুম সোদা মাটির গন্ধের, এই মরশুম গরম চায়ের সঙ্গে পকোরা খাওয়ার, ব্যালকনিতে বসে ঠান্ডা বৃষ্টির ছাট উপোভোগ করার মরশুম। তবে আপনি যদি ফ্যাশন প্রিয় হন তবে বর্ষাকাল আপনার কাছে বেশ অপছন্দের হতেই পারে। এই সময় বাতাসে প্রচুর আর্দ্রতা বেরে যাওয়ায় জামা কাপড় শুকোতে রীতিমত হিমশিম খেতে হয়। বর্ষার শত্রু সাদা জামা। আপনি যদি সাদা পোশাক পরতে ভালোবাসেন তাহলে এই মরশুম মোটেই আপনার জন্য নয়। তাই বলে কি ফ্যাশন আটকে থাকবে? একেবারেই নয় বরং বর্ষাকালে কিছু বিশেষ ধরনের জামা পরলে আপনি খুব সহজেই জলকাদার মধ্যেও বহাল রাখতে পারবেন আপনার মনের মতো লুক। একনজরে দেখে নেওয়া যাক বর্ষার উপযুক্ত পরিধান কী কী...
বৃষ্টি বর্ষার দিনে বাইরে বেরোলে জলকাদায় জামা নষ্ট হবে না তা ভাবাই যায় না। জিন্স বা অন্য কোনও প্যান্টে কাদার দাগ লেগে নষ্ট হতে পারে। এই পরিস্থিতি থেকে বাঁচার একটাই সহজ উপায় হাটু পর্যন্ত দৈর্ঘের জামাকাপড় পরা। হাফ জিন্স বা মিনি স্কার্ট অথবা হাটু অব্দি দৈর্ঘের ফ্রক। এই পোশাক আপনাকে একটা কুল লুকও দেবে পাশাপাশি আপনার জামা নষ্টও হবে না।
জলকাদার দিনে ট্যাডিশানাল ইন্ডিয়ান লুক এড়িয়ে চলাই ভালো। শাড়ি বা চুড়িদার পড়া এই সময় অত্যন্ত ঝক্কির, তাই এই মরশুমে কুর্তি লেগিন্স বা সর্টস জাতীয় পোশাকই পরা ভালো।
হালকা টি-শার্টের উপর স্রাগ চাপিয়েও মিলতে পারে একটা ট্রেন্ডিং লুক। স্রাগের বদলে ব্যবহার করা যেতে পারে নানা ধরনের শার্ট। এছাড়া কিমোনো বা কাফতান জাতীয় স্রাগও এই মরশুমের উপযুক্ত।
মোটা কাপড় বর্ষার দিনে শুকোতে যথেষ্ট ঝক্কি পোহাতে হয়। তাই জিন্সের বদলে এই মরশুমে যে কোনও সুতির প্যান্ট পরতে পারেন। যেমন, পালাজো।
শুধু জামাকাপড় নয় বর্ষার দিনে ট্রেন্ডিং ফ্যাশন হতেই পারে কুল লুকের রবারের জুতো সঙ্গে নানা ধরনের রঙিন ছাতা।