সংক্ষিপ্ত

কার্তিক মাসের শুক্লপক্ষের দ্বিতীয় তিথিতে পালিত হয় ভাইফোঁটার উৎসব। বাঙালি পরিবার ছাড়াও সারা দেশেই নান রকম নামে পালিত হয় উৎসব। কর্নাটকে (Karnataka) এই অনুষ্ঠানকে বলা হয় সোদারা বিদিগে। নেপালে (Nepal) ভাই টিকা, মহারাষ্ট্রে (Maharashtra) ভাউবীজ, উত্তর ভারতে (North India) ভাইয়া দুজ বা ভাই দুজ। আর গুজরাটে (Gujrat) ভাই বেজ। দক্ষিণ ভারতের (South India) অনেক জায়গায় যম দ্বিতীয়া নামে পরিচিত এই উৎসব।  

রাত পোহালেই ভাইফোঁটা (Bhai Phota)। বাঙালির আরও এক শ্রেষ্ঠ উৎসব (Hindu Festival)। কার্তিক মাসের শুক্লপক্ষের দ্বিতীয় তিথিতে পালিত হয় ভাইফোঁটার উৎসব। কালীপুজোর (Kali Puja) একদিন পর এই উৎসব হয়। অর্থাৎ ৬ নভেম্বর এবছর উদযাপিত হবে ভাইফোঁটা। বাঙালি পরিবার ছাড়াও সারা দেশেই নান রকম নামে পালিত হয় উৎসব। কর্নাটকে (Karnataka) এই অনুষ্ঠানকে বলা হয় সোদারা বিদিগে। নেপালে (Nepal) ভাই টিকা, মহারাষ্ট্রে (Maharashtra) ভাউবীজ, উত্তর ভারতে (North India) ভাইয়া দুজ বা ভাই দুজ। আর গুজরাটে (Gujarat) ভাই বেজ। দক্ষিণ ভারতের (South India) অনেক জায়গায় যম দ্বিতীয়া নামে পরিচিত এই উৎসব।  

আরও পড়ুন: Gold Price Today - দিওয়ালির দিনই একধাক্কায় দাম বাড়ল সোনার, রূপোর দর কোনদিকে, জেনে নিন আজকের দর

ভাইফোঁটা বা ভাই দুজে অনুষ্ঠানের অর্থ নামের মধ্যেই লুকিয়ে হয়েছে। এই উৎসব (Festival) ভাই এবং বোনের মধ্যে ভালোবাসা উদযাপন করে। এই দিনে, সকল বোনেরা তার ভাইয়ের সাফল্য, সমৃদ্ধি এবং দীর্ঘায়ুর জন্য প্রার্থনা করেন। এই অনুষ্ঠানে মিষ্টি বিনিময়, একে অপরকে উপহার দেওয়ার রীতি সারা ভারতে প্রচলিত। এদিন শুভ তিথিতে ভাইকে চন্দনের তিলক (Tilak) লাগিয়ে মন্ত্র উচ্চারণ করে তার দীর্ঘায়ু ও সাফল্য কামণা করা হয়। ধান-দুব্বো দিয়ে আশীর্বাদ করা হয়। এই সময় মিষ্টি (Sweet), ফল (Fruits) সাজিয়ে দেওয়া হয়। অন্যান্য রাজ্যে চাল কিংবা সিঁদুরের টিকা পরানোর রীতি আছে। কোথাও, একটি চৌকো তৈরি করে ভাইকে বসিয়ে তিলক লাগিয়ে আরতী করার রীতি আছে। 

আরও পড়ুুন: Govardhan Puja: উত্তর ভারতে পালিত হচ্ছে গোবর্ধন পুজো, জেনে নিন এই পুজোর মাহাত্ম্য

ভাইফোঁটা নিয়ে দুটি পৌরাণিক কাহিনি রয়েছে। কথিত আছে, ভগবান শ্রীকৃষ্ণ (Shree Krishna)  নরকাসুর নামে এক রাক্ষসকে বধ করার পর তাঁর বোন সুভদ্রার তাঁকে আরতি করে তিলক লাগিয়ে গৃহে আহ্বান জানান। আর এই থেকে ভাইফোঁটা (Bhai Fota) রীতি চালু আছে। অন্যদিকে, জানা যায় সূর্য দেবতা সূর্য সমজ্ঞা নামে একটি মেয়েকে বিয়ে করেছিলেন। তাদের যমজ সন্তান ছিল যম ও বর্ণী। সমজ্ঞা সূর্যের তাপকে অসহ্য মনে করতেন। তাই পৃথিবীতে চলে আসেন। এমন সময় ছায়ার সঙ্গে সূর্যদেবের বিয়ে হয়। ছায়া তাঁর সন্তানদের জন্ম দেন এবং সূর্যদেবের প্রথম পক্ষের সন্তান যম ও বর্ণীর সাথে খারাপ ব্যবহার শুরু করে। এতে বিরক্ত হয়ে বর্ণি পৃথিবীতে চলে আসেন। কয়েক বছর পর যম বর্ণীকে দেখার সিদ্ধান্ত নেন। আর ভাইকে স্বাগত জানাতে একটি বড় ভোজ প্রস্তুত করেছিলেন। যম চলে যাওয়ার সময় বোনকে কিছু উপহার দিতে বর্ণীর কাছে তাঁর ইচ্ছে জানতে চান। বর্ণী, দাবি করেন যে, এই দিন মানে দীপাবলির (Diwal) পরে দ্বিতীয় দিন, সমস্ত ভাই তাদের বোনদের সাথে দেখা করুক এবং বোনেরা তাদের ভাইয়ের সুখ এবং দীর্ঘায়ুর জন্য প্রার্থনা করুক। সেই থেকেই ভাইফোঁটার রীতি চালু হয়েছে। 

YouTube video player