সংক্ষিপ্ত
- অবশেষে মিলল সুবিচার
- চিটফান্ড মামলায় সাজা ঘোষণা আদালতের
- যাবজ্জীবন কারাদণ্ড আটজনের
- খুশি আমানতকারীরা
সঞ্জীব কুমার দুবে, পূর্ব মেদিনীপুর: অবশেষে মিলল সুবিচার। রাজ্যে এই প্রথম চিটফান্ড সংক্রান্ত মামলার রায় ঘোষণা করল আদালত। বেআইনি অর্থলগ্নি সংস্থা পিনকন-এর কর্ণধার মনোরঞ্জন রায় ও মৌসুমী রায়-সহ আটজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিলেন তমলুক অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা আদালতের বিচারক।
আরও পড়ুন: নেপথ্যে কি বিবাহ-বর্হিভূত সম্পর্ক, পুরুলিয়ায় সিভিক ভলান্টিয়ার খুনে আটক এক সন্দেহভাজন
তখন সদ্য ক্ষমতায় এসেছে তৃণমূল। মুখ্যমন্ত্রীর কুর্সিতে বসেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সারদা চিটফাণ্ড কেলেঙ্কারি নিয়ে ঝড় উঠেছিল রাজ্যে। বেআইনি অর্থলগ্নি সংস্থার পিনকন-এ টাকা রেখেও কিন্তু প্রতারিত হয়েছিলেন অনেকেই। ২০১৭ সালে সংস্থার বিরুদ্ধে পূর্ব মেদিনীপুরের খেজুরি থানায় অভিযোগ দায়ের করেন আমানতকারীদের একাংশ। এরপর রাজস্থান থেকে পিনকনের কর্ণধার মনোরঞ্জন রায়-সহ বেশ কয়েকজনকে গ্রেফতার করেন আর্থিক অপরাধ দমন শাখার আধিকারিকরা। একে একে গ্রেফতার হন মনোরঞ্জনের স্ত্রী-সহ আরও কুড়িজন।
আরও পড়ুন: একুশের আগেই মুর্শিদাবাদে বেসামাল ঘাসফুল শিবির, প্রশ্নের মুখে পিকের স্ট্যাটিজি
তিন বছর ধরে পিনকন চিটফাণ্ড মামলার শুনানি চলে তমলুক অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা আদালতে। মামলায় অভিযুক্ত ছিল ২০ জন। দোষী সাব্যস্ত সংস্থার কর্ণধার মনোরঞ্জন রায়-সহ আটজন। তাদের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিলেন বিচারক। আদালত থেকে বেকসুর খালাস পেয়েছেন ১০ জন। মামলা চলাকালীন মারা গিয়েছেন দু'জন। এদিকে শনিবার যখন মামলা রায় ঘোষণা করছেন বিচারক, তখন এজলাসে হাজির ছিলেন মূল অভিযুক্ত, পিনকন সংস্থার মনোরঞ্জন রায় ও তাঁর স্ত্রী মৌসুমী। কেন? বিচার প্রক্রিয়া দীর্ঘায়িত করার জন্য নিজেদের অসুস্থ বলে দাবি করে আদালতে চিকিৎসকের সার্টিফিকেটও দেয় বলে অভিযোগ। বিচারক অবশ্য প্রয়োজনে মেডিক্যাল সাপোর্ট নিয়ে আদালতের হাজির হওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন। কিন্তু তাও মনোরঞ্জন ও তার স্ত্রী আদালতে হাজির হননি। সাজা শোনানো হয় টেলি কনফারেন্সের মাধ্যমে।