সংক্ষিপ্ত

  • রাজ্যে সীমান্তের জেলা পশ্চিম মেদিনীপুর
  • রোজই হাজারের বেশি পরিযায়ী শ্রমীকের প্রবেশ
  • বহিঃরাজ্যের সংক্রমণ প্রবেশ করেছে জেলাতে
  • তাই একসঙ্গে এলাকাতে ৩২টি নমুনা পরীক্ষার কিয়স্ক 

রাজ্যে সীমান্তের জেলা পশ্চিম মেদিনীপুর ৷ একদিকে ঝাড়খণ্ড, অন্যদিকে ওড়িশা ৷ দুই প্রান্ত দিয়েই রোজই হাজারের বেশি পরিযায়ী শ্রমীক ও চিকিৎসা করতে যাওয়া রোগীরা প্রবেশ করছেন ৷তারপরও রয়েছে খড়্গপুরের মতো রেল জংশন ৷ এই প্রান্তগুলি দিয়ে বহিঃরাজ্যের সংক্রমণ প্রবেশ করেছে জেলাতে ৷ তাই জেলার নিরাপত্তার স্বার্থে করোনা নমুনা গ্রহণ বাড়ানো হয়েছিল ৷  এবার সেগুলিতে নিরাপত্তা বাড়াতে কিয়স্ক বসাচ্ছে জেলা প্রশাসন ৷ একসাথে জেলার বিভিন্ন এলাকাতে বসছে ৩২ টি স্যাম্পেল কালেকশন কিয়স্ক ৷ 

এমনিতেই পশ্চিম মেদিনীপুর জেলাতে মোট ১৬ টি স্থান থেকে করোনা নমুনা সংগ্রহ করা হয়ে থাকে ৷ কিন্তু তা খোলা স্থান থেকে নয়তো বা কোনো স্বাস্থ্যকেন্দ্রের খোলা কক্ষে বসে ৷ কোথাও আবার বাইরে গাছের তলায় বসিয়েও নমুনা সংগ্রহ করা হচ্ছে  ৷ তারপর পাঠানো হচ্ছে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজের ভিআরডিএল ল্যাবে ৷  মুখ্যস্বাস্থ্য আধিকারিক ডাঃ গিরিশচন্দ্র বেরা জানিয়েছেন, জেলাতে এমনিতেই ১৬ টা যে নমুনা গ্রহণ কেন্দ্র রয়েছে সেগুলি এতোখানি ঘেরাটোপের মধ্যে নেই ৷ সেখানে থাকা স্বাস্থ্যকর্মীদের ও রোগীদের ক্ষেত্রে সুবিধার্থে এবার নমুনা গ্রহণ কিয়স্ক বসানো হচ্ছে ৷ 

জেলার ১৬ টি স্থানেই দুটি করে এটিএম কাউন্টারের ন্যায় দেখতে কিয়স্ক বসানো হচ্ছে ৷ যেখানে কাঁচের রুমের ভেতরে বসেই নিরাপদে নমুনা সংগ্রহ করতে পারবেন ল্যাব কর্মীরা ৷ একসাথে এমন ৩২ টি কিয়স্ক বসানো হবে পশ্চিম মেদিনীপুরে৷ জেলার ওড়িষ্যা দাঁতন সীমান্ত দিয়ে রোজই কয়েকহাজার লোকজন এই রাজ্যে প্রবেশ করছেন ৷ তাদের করোনা পরীক্ষার জন্য চাপ এমনিতেই তৈরী হয়েছিল ৷ কড়া সতর্কতা সত্বেও সীমান্ত লাগোয়া দাঁতনে করোনা সংক্রমন পাওয়া গিয়েছে ৷

 দাঁতনের বামনাসাই গ্রামের এক গাড়ির চালকের শরীরে শনিবার করোনা সংক্রমণ পাওয়া যেতেই আরও নড়ে বসেছে স্বাস্থ্যদফতর ৷ এমনিতেই নমুনা গ্রহনের পরিমান বাড়ানো হয়েছিল ৷ এবার সেটাকে নিরাপদ ও দ্রুত করার উদ্যোগ সোমাবার থেকে ৷ অতিরিক্ত জেলাশাসক উত্তম অধিকারি জানিয়েছেন- সোমবার ওড়িষ্যার দাঁতন সীমান্তে একসঙ্গে কয়েকটি কিয়স্ক বসানো হবে ৷ যার উদ্বোধন করবেন জেলা শাসক রেশমি কমল নিজে ৷    স্বাস্থ্যদফতর সূত্রে খবর, পশ্চিম মেদিনীপুরে প্রতিদিনই কমপক্ষে ছ-শো নমুনা পরীক্ষার প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে ৷ যার চারশোটি পরীক্ষা করা হবে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ৷ বাকি একশোটি করে কলকাতার দুটি বেসরকারি ল্যাবরেটরিতে পরীক্ষা করানো হবে ৷