সংক্ষিপ্ত
- জন্ম থেকেই হাঁটতে পারে না
- তবু মনের জোর কমেনি এতটুকু
- ইচ্ছা শক্তিতেই ভর করে উচ্চশিক্ষিত হতে চায় মজিবুর
- একমাত্র লক্ষ্য, বাবা-মায়ের স্বপ্নপূরণ
জন্ম থেকেই হাঁটতে পারে না। তবু মনের জোর কমেনি এতটুকু। এই ইচ্ছা শক্তিতেই ভর করে উচ্চশিক্ষিত হতে চায় মজিবুর। একমাত্র লক্ষ্য, বাবা-মায়ের স্বপ্নপূরণ।
আরও পড়ুন- হাঁটতে পারে না,'ইচ্ছেডানায়' ভর করে বাবা-মায়ের স্বপ্নপূরণ চায় মাধ্য়মিক পরীক্ষার্থী মজিবুর
পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার চন্দ্রকোনা ২ নং ব্লকের ভগবন্তপুর ১ নং গ্রাম পঞ্চায়েতের কৃষ্ণপুর বাসিন্দা মজিবুর সরকার। হাঁটাচলা তো দূর অস্ত, শরীরের ক্ষমতা নেই, এক জায়গা থেকে অন্য জাগায় একটু সরে যাবার। ৮৫ শতাংশ প্রতিবন্ধী এবারের মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী মজিবুর সরকার। বাড়ি থেকে দূরে কৃষ্ণপুর রহমানিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্র। বাবা দিনমজুর। পরিবারে বাবা,মা ও দুই ভাই নিয়েই সংসার। বাবা অহিদুর সরকার গরিব হলেও বিশেষভাবে সক্ষম ছেলের পড়াশোনায় দাঁড়ি পড়তে দেননি। ছেলের লেখাপড়ায় আগ্রহ দেখে আর্থিক প্রতিবন্ধকতা কাটিয়ে ছেলের পড়াশোনা চালিয়ে যাচ্ছেন।
আরও পড়ুন- সাধের চুল দান করলেন রায়গঞ্জের ছাত্রী, মেয়েকে নিয়ে গর্বিত মা
ছেলেকে কোলে করে স্কুলে দেওয়া, আনা সবটাই করেন মা জাহানারা বিবি। তবে বসে থাকে না মহিবুরও। সংসারের কাজের মধ্যেও ছেলের পড়াশোনায় সব রকম সহযোগিতা করেন বাবা-মা। পরীক্ষার অ্যাডমিট কার্ড পাওয়ার পর থেকেই জোরদার প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে মজিবুর। আশা একটাই, শারীরিক প্রতিবন্ধকতা কাটিয়ে লড়াই চালিয়ে যাওয়া।
আরও পড়ুন- গরু-ছাগলের সঙ্গে পড়াশোনা, ৩২ বছরেও ছাদ পায়নি গোঘাটের স্কুল
স্কুলের প্রধান শিক্ষক আশিস হাটুই বলেন, বোর্ডে চিঠি দিয়েছি ওই ছাত্র যাতে অতিরিক্ত কিছু সময় পায় । আর্থিক অনটনের জেরে এবং শারীরিক প্রতিবন্ধকতার কারণে প্রাইভেট টিউশন নিতে না পারলেও স্কুলের তরফে সমস্ত রকম সহযোগিতা করা হয়। সেকারণে স্কুলের আশা,মাধ্যমিকে ভালো ফল করবে মজিবুর। আপাতত চলছে তারই প্রস্তুতি।