সংক্ষিপ্ত

  • গৃহস্থের গোয়ালঘরে অগ্নিকাণ্ড
  • ঝলসে মারা গেল চারটি গরু
  • পশ্চিম মেদিনীপুরের কেশপুরের ঘটনা
  • তদন্তে পুলিশ

শাহাজাহান আলি, মেদিনীপুর: নেহাতই দুর্ঘটনা না শক্রতা? গৃহস্থের গোয়ালঘরে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে প্রাণ গেল চারটি গরুর। আগুনের তীব্রতা এতটাই ছিল, পরিবারের লোক ও প্রতিবেশীরা অবলা প্রাণীগুলিকে বাঁচানোর সুযোগই পাননি। ঘটনাটি ঘটেছে পশ্চিম মেদিনীপুরের কেশপুরে। 

আরও পড়ুন: মদ্যপানের সময় বচসা, ভাইকে 'খুন' করে থানায় আত্মসমপর্ণ দাদার

ঘড়িতে তখন রাত প্রায় বারোটা। রোজকার মতোই খাওয়া দাওয়া সেরে শুয়ে পড়েছিলেন কেশপুরের জমিরা গ্রামে বাসিন্দা সন্তোষ রানা ও তাঁর পরিবারের লোকেরা। বাড়ি চৌহদ্দিতেই গোয়ালঘর। সেখানে ছিল চারটি গরু। বাড়ির মালিক সন্তোষ রানা জানিয়েছেন, আচমকাই গরুদের আওয়াজে ঘুম ভেঙে যায়। বাইরে বেরোতে দেখেন, গোয়ালঘরে দাউদাউ করে আগুন জ্বলছে! আগুনের তীব্রতা এতটাই ছিল যে, গোয়ালঘরের দিকে যেতেই পারেননি কেউই। খবর পেয়ে রাতে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় কেশপুর থানার পুলিশ। শেষপর্যন্ত যখন আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে, ততক্ষণে  সব শেষ। আগুনে ঝলসে গিয়ে মারা গিয়েছে চারটি গরুই। গোয়ালঘরে আগুন লাগল কী করে? পরিবারের লোকের দাবি, দুর্ঘটনা নয়, কেউ শক্রতা করে পেট্রল ঢেলে গোয়ালঘরে আগুন লাগিয়েছে দিয়ে। না হলে ভেজা ছাউনি-সহ সবকিছু এভাবে ভষ্মীভূত হয়ে যেত না। ঘটনার তদন্তে নেমেছে পুলিশ।

আরও পড়ুন: জঙ্গলে খাবারে আকাল, গ্রামে ঢুকে রেশন দোকানে হানা দিল হাতি

উল্লেখ্য, এর আগে লকডাউনের মাঝে এমনই মর্মান্তিক ঘটনা ঘটেছিল ঝাড়গ্রামে। শালবনি মাঠে ঘাস খাওয়ার সময়ে বজ্রপাতে মারা গিয়েছিল তেইশটি ছাগল।