সংক্ষিপ্ত
- খুন নাকি আত্মহত্যা?
- কবর খুঁড়ে যুবকের দেহ তুলল পুলিশ
- আড়াই বছর আগে মারা যান তিনি
- সুবিচার চেয়ে পুলিশের দ্বারস্থ মৃতের মা
খুন নাকি আত্মহত্যা? মৃত্যুর আড়াই বছর পর কবর থেকে এক যুবকের মৃতদেহ তুলে আনল পুলিশ। শুধু তাই নয়, একমাস ধরে কবরটি ঘিরেও রেখেছিলেন তদন্তকারীরা। পশ্চিম মেদিনীপুরের কেশপুরের ঘটনা।
আরও পড়ুন: সম্পত্তি নিয়ে বিবাদে ছেলের হাতে 'খুন' বৃদ্ধা, বাড়ি থেকে উদ্ধার দেহ
কী ব্যাপার? ২০১৭ সালের সেপ্টেম্বর মাসে মারা যান কেশপুরের মাজুরিয়া গ্রামে বাসিন্দা শেখ লোকমান। স্ত্রী তো বটেই, তাঁর মৃত্যুর জন্য বাবা-মাকেই দায়ী করেছিলেন গ্রামবাসীরা। অভিযোগ, গাছে বেঁধে ওই দম্পতি বেধড়ক মারধর করেন গ্রামের মাতব্বররা। জমি-জমা যা কিছু ছিল, সবই বউমা ও নাতি-নাতনিদের নামে লিখে দিতে বাধ্য করা হয়। কেন? মৃতের স্ত্রী বক্তব্য, তিন মেয়ে ও এক ছেলেকে নিয়ে খুবই কষ্টে সংসার চলত। তাঁর স্বামীকে একেবারেই দেখতে পারতেন না শ্বশুর ও শ্বাশুড়ি। সম্পত্তি ভাগ দিতে না চাওয়ায় বাবা-মায়ের সঙ্গে লোকমানের অশান্তিও হত। সেই অশান্তি সহ্য করতে না পেরেই বিষ খেয়ে আত্মহত্য়া করেছেন তিনি।
আরও পড়ুন: জলদাপাড়া অভয়ারণ্যে ভয়াবহ দাবানল, ভষ্মীভূত 'তোর্সার ঘাসবন'
এদিকে এই ঘটনার পর বাড়ি ছাড়েন শেখ লোকমানের বৃদ্ধ বাবা-মা। যখন যে আশ্রয় পান, তখন সেখানেই থাকেন তাঁরা। এভাবেই কেটে গিয়েছে আড়াই বছর। সুবিচারের আশায় এখন পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছেন মৃতের মা। তাঁর অভিযোগ, ছেলেকে বিষ খাইয়ে মেরে ফেলেছে তাঁর স্ত্রী ও তুতো ভাইয়েরাই। কিন্তু শেখ লোকমানের দেহটি তো কবর দেওয়া হয়েছে। তাহলে ময়নাতদন্ত হবে কী করে? পুলিশকে কবর খুঁড়ে দেহ তুলে আনার নির্দেশ দেয় আদালত। কী বলছেন গ্রামবাসীরা? শেখ লোকমানকে খুনের অভিযোগ মানতে নারাজ তাঁরা। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, জমি-জমা নিয়ে মায়ের সঙ্গে বিবাদের কারণেই আত্মহত্যা করেছেন ওই যুবক। তাঁর স্ত্রী-সহ অন্যদের মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোর চেষ্টা চলছে।