সংক্ষিপ্ত
- পুলিশকর্মীর স্ত্রীর রহস্যমৃত্যু
- বাঁধের জলে ভেসে উঠল দেহ
- পশ্চিম মেদিনীপুরের শালবনীর ঘটনা
- তদন্তে নেমেছে পুলিশ
শাজাহান আলি, মেদিনীপুর: খুন নাকি আত্মহত্যা? সাতসকালে বাঁধের জলে ভেসে উঠল দেহ। পুলিশকর্মীর স্ত্রীর অস্বাভাবিক মৃত্যুতে ঘনাচ্ছে রহস্য। ঘটনাটি ঘটেছে পশ্চিম মেদিনীপুরের শালবনিতে।
আরও পড়ুন: সাপে কাটার পর দম্পতিকে ঝাড়ফুঁক ওঝার, বসিরহাটে কুংস্কারের বলি হলেন প্রৌঢ়
শালবনী থানার রঘুনাথপুর গ্রামে থাকেন রাজ্যে পুলিশের এএসআই জয়ন্ত মাইতি। মেদিনীপুরের কোতুয়ালি থানায় কর্মরত তিনি। স্থানীয় সূত্রে খবর, বছর চারেক আগে বাঁকুড়ার সারেঙ্গা গ্রামের তরুণী মোনালিসার সঙ্গে বিয়ে হয় জয়ন্তের। ওই দম্পতির একমাত্র সন্তানের বয়স ২ বছর। স্বামী ও সন্তানকে নিয়ে মেদিনীপুরে পুলিশ আবাসনে থাকতেন মোনাসিলা। লকডাউনের কারণে কয়েক মাস ধরে থাকছিলেন শালবনীতেই। বুধবার আমচকাই শ্বশুরবাড়ি থেকে নিখোঁজ হয়ে যান ওই গৃহবধূ। বৃহস্পতিবার সকালে স্থানীয় বাসিন্দারা যখন প্রাতঃকৃত্য করতে যান, রঘুনাথ গ্রাম লাগোয়া বড় বাঁধের জলে মোনালিসার দেহ ভাসতে দেখেন। ঘটনাটি জানাজানি হতে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়। মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছে পুলিশ।
আরও পড়ুন: গ্রামজুড়ে শোকের আবহ, বন্ধুকে বাঁচাতে গিয়ে পরপর মৃত্যু ৫ খুদের
কীভাবে মারা গেলেন মোনালিসা মাইতি? বাপের লোকদের অভিযোগ, শ্বশুরবাড়িতে তাঁর উপর নিয়মিত শারীরিক ও মানসিক অত্যাচার চলত। পরিকল্পামাফিক খুন করে দেহ বাঁধের জলে ভাসিয়ে দেওয়া হয়েছে। আর শ্বশুরবাড়ি লোকেদের পাল্টা দাবি, মোনালিসা মানসিকভাবে সুস্থ ছিলেন না। ওষুধ খেতেন নিয়মিত। বুধবার সন্ধ্যায় ওষুধ খাওয়ানোর পর নিখোঁজ হয়ে যান তিনি। ঘটনার তদন্তে নেমেছে পুলিশ।