সংক্ষিপ্ত

  • মেদিনীপুর হাসপাতাল থেকে শিশু চুরি
  • কয়েক ঘণ্টার মধ্যে শিশুকে উদ্ধার পুলিশ
  • গ্রেফতার করা হয় অভিযুক্ত মহিলাকে
  • জেরায় অপরাধ স্বীকার করেছে সে  

দিন কয়েক আগেই ঠাকুমা হয়েছে সে। কিন্তু বউমা যে যমজ কন্যাসন্তানের জন্ম দিয়েছে! নাতির মুখ দেখার জন্যই হাসপাতাল থেকে শিশু চুরি করেছিল সুলতানা বিবি। পুলিশি জেরায় তেমনটাই জানিয়েছে মেদিনীপুর শিশু চুরিকাণ্ডে অভিযুক্ত।

ঘটনার সূত্রপাত শনিবার। সকালে প্রসব যন্ত্রণা নিয়ে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে ভর্তি হন সুমিত্রা খামরুই নামে এক মহিলা। সন্ধ্যায় শিশুপুত্রের জন্ম দেন তিনি। শ্বাশুড়ি তখন বাইরে ছিলেন তিনি। রবিবার সকালে হাসপাতালে বেডে ঘুমোচ্ছিলেন সুমিত্রা। ঘুম ভাঙার পর ওই গৃহবধূ দেখেন, তাঁর পাশে শিশুটি নেই!  কে নিয়ে গেল তাকে? সন্তানকে দেখতে না পেয়ে রীতিমতো চিৎকার-চেঁচামিচি করতে শুরু করে দেন সুমিত্রা। ক্ষোভে ফেটে পড়েন তাঁর পরিবারের লোকেরা। বিক্ষোভে শামিল হন অন্য রোগীদের পরিজনেরাও। 

আরও পড়ুন: খড়গপুর শহরে একাধিক শ্যুট আউটের ঘটনা, অস্ত্রসহ গ্রেফতার দুই সন্দেহভাজন

ঘটনার তদন্তে নেমে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখে পুলিশ। ফুটেজে স্পষ্ট দেখা যায়, শিশুটিকে কোলে হাসপাতালের মাতৃমা ভবন থেকে দ্রুত পায়ে বেরিয়ে যাচ্ছে এক মহিলা। শেষপর্যন্ত রবিবার  সন্ধ্যায় মেদিনীপুর শহরের মোমিন মহল্লা এলাকা থেকে শিশুটিকে উদ্ধার করে পুলিশ।  সিসিটিভি ফুটেজে যে মহিলাকে দেখা গিয়েছিল, সেই সুলতানা বিবিও ধরা পড়ে। গ্রেফতার করা হয় তাঁকে।  পুলিশ সূত্রে খবর, দিন তিনেক আগে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজের মাতৃমা ভবনেই যমজ কন্যাসন্তানের জন্ম দিয়েছেন সুলতানার পুত্রবধূ। কিন্তু তিনি ছাড়া পাওয়ার পরেও হাসপাতালে ঢোকার পাসটি নিজের কাছেই রেখে দিয়েছিল সুলতানা। সেই পাস ব্যবহার করেই রবিবার সকালে ফের মাতৃমা ভবনে ঢোকে ওই মহিলা এবং সুমিত্রা খামরুই-এর শিশুসন্তানকে তুলে নিয়ে চলে যায়। ধৃতকে চারদিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত।