সংক্ষিপ্ত

 

  •  দুর্নীতি প্রধান দেশগুলির মধ্যে প্রথম সারিতে রয়েছে পাকিস্তান
  • প্রশাসনিক আধিকারিকরা অধিকাংশই দুর্নীতিগ্রস্ত
  • সম্প্রতি সামনে এসেছে আরও এক দুর্নীতি
  • পাক সোশ্যাল সাইটগুলিতে ভাইরাল সেই কাহিনি

বিশ্বে দুর্নীতি প্রধান দেশগুলির মধ্যে প্রথম সারিতে রয়েছে পাকিস্তান। দেশের সংখ্যা গরিষ্ঠ মানুষ খেতে না পেলে কী হবে, প্রশাসনিক আধিকারিকরা একের পর এক দুর্নীতিতে নজির গড়েছেন। সম্প্রতি এমনি এক দুর্নীতি নিয়ে এখন সরগরম পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম। সোশ্যাল সাইটগুলিতে ভাইরাল প্রাক্তন রাষ্টদূত তথা অবসরপ্রাপ্ত সেনা আধিকারিক সৈয়দ মুস্তাফা আনোয়ারের দুর্নীতির কাহিনি।

আরও পড়ুন: পাকিস্তান থেকে স্বাধীনতা চাইছে অধিকৃত কাশ্মীর, জানুন এখানকার ইতিহাস ও অজানা কিছু তথ্য

জানা যাচ্ছে, ২০০১-২০০২ সালে ইন্দোনেশিয়ায় পাকিস্তানের রাষ্ট্রদূত ছিলেন মেজর জেনারেল সৈয়দ মুস্তাফা আনোয়ার। আর দায়িত্বে থাকাকালীন  আনোয়ার জাকার্তায় পাক দূতাবাস ভবনটি বিক্রি করে দেন। বলাই বাহুল্য সেই  বিক্রি আইনসিদ্ধ ছিল না, দরও ছিল না বাস্তবসম্মত। বেআইনি ভাবে এই বিক্রির ফলে ১৩ লাখ ২০ হাজার মার্কিন ডলার ক্ষতি হয় পাক সরকারের।

আরও পড়ুন: পুলওয়ামা নিয়ে 'মনগড়া' চার্জশিট বানিয়েছে এনআইএ, তেলে বেগুনে জ্বলে বিজেপিকে নিশানা ইমরান সরকারের

পাকিস্তানি গণমাধ্যমগুলি জানাচ্ছে, ইন্দোনেশিয়ার রাজধানী জাকার্তায় রাষ্টদূত নিযুক্ত পরেই পাক দূতাবাস ভবনটি বিক্রি করার তোড়জোড় শুরু করে দেন আনোয়ার। এই জন্য পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রকের অনুমতির পর্যন্ত পরোয়া না করে তিনি সংবাদমাধ্যমে বিক্রির বিজ্ঞাপন দিয়ে দেন। বিক্রির প্রক্রিয়া শুরু করে তারপর আনোয়ার খবর দেন পররাষ্ট্র মন্ত্রকে।

এই ঘটনায় গত সপ্তাহে অভিযুক্ত প্রাক্তন পাক রাষ্ট্রদূত মেজর জেনারেল সৈয়দ মুস্তাফা আনোয়ারের নামে আদালতে মামলা দায়ের করে পাকিস্তান ন্যাশনাল অ্যাকাউন্টেবিলিটি ব্যুরো । সম্প্রতি সেই মামলায় অভিযুক্তকে দোষী সাব্যস্ত করেছে আদালত। পাশাপাশি দীর্ঘদিন ধরে এই মামলার তদন্ত করার জন্য ন্যাবের আধিকারিকদের ভর্ৎসনাও করেছে পাক সুপ্রিম কোর্ট।  শীর্ষ আদালত বলে, দীর্ঘ সময় পার হয়ে যাচ্ছে, কিন্তু প্রতিষ্ঠানটি মুস্তাফার বিরুদ্ধে তদন্ত শেষ করে অভিযোগ আনছে না। এরপরেই অভিযোগ দায়ের করে এনএবি।