সংক্ষিপ্ত
নাগারের বৃষ্টির জেরে জলের তলায় পাকিস্তানের ৫০টিরও বেশি গ্রাম। ইতিমধ্যে বালোচিস্তানে মৃতের সংখ্যা ১০০ ছাড়িয়েছে। কী পরিস্থিতি সেখানে? কী ভাবে চলছে উদ্ধারকাজ? কী জানাচ্ছে প্রশাসন? পড়ুন বিস্তারিত।
বর্ষার শুরু থেকেই মেঘভাঙা বৃষ্টিতে নাজেহাল পাকিস্তান। নাগারে বৃষ্টি ও হড়পা বানের জেরে বিপর্যস্ত বিস্তৃর্ণ এলাকা। সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বালোচিস্তান প্রদেশ, বর্ষার শুরু থেকে বিভিন্ন দুর্ঘটনায় এখানে মৃতের সংখ্যা ১২৭। যা গোটা দেশে মৃতের সংখ্যার ৩৯.৬৮ শতাংশ। সিন্ধ প্রদেশে জলমগ্ন ৩০ টিরও বেশি গ্রাম। ক্রমেই বন্যার জল বালোচিস্তান পেরিয়ে পার্শ্ববর্তী কাম্বার, শাহদাদকোট জেলা এবং দাদু জেলার কাচোর পাহাড়ি অঞ্চলে প্রবেশ করে। কাচোর পাহাড়ি অঞলে আরও ৩০ গ্রাম জলের তলায় বলে জানা যাচ্ছে। ইতিমধ্যে বালোচিস্তানের নোশকি, লাসবেলা, ছাগি, ঝোব জেলার একাধিক এলাকায় উদ্ধারকার্য শুরু হয়েছে বলে জানান পাকিস্তানের বিপর্যয় মোকাবিলা সংস্থার ডিরেক্টর জেনারেল নাসির আহমেদ। ৪৬ জন শিশু সহ ৩২ জন মহিলাকে উদ্ধার করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন পাকিস্তানের প্রাধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ। রবিবার ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শনেও যান তিনি। মুখ্য সচিব আব্দুল আজিজ উকাইলি জানান ইতিমধ্যেই বালোচিস্তানে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। বাসিন্দাদের আগামী ১০ দিন অকারণে বাড়ি থেকে না বেরোনোরও পরামর্শ দেন তিনি। টানা বৃষ্টির জেরে প্রদেশের ১০,০০০ বাড়ি সহ ৫৬৫ কিলোমিটার রাস্তা এবং ১৯৭,৯৩০ একর চাষের জমি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলেও জানান উকাইলি।
অন্যদিকে বন্যাকবলিত এলাকার বাসিন্দাদের সঙ্গে দেখা করে কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ। মৃতদের পরিবারের জন্য বিশেষ প্যাকেজ ঘোষনার পাশাপাশি গৃহহীনদের পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করারও আশ্বাস দেন তিনি। ইতিমধ্যেই বন্যাকবলিত এলাকার প্রত্যেক পরিবারকে ১০ লক্ষ টাকা সাহায্যের কথা ঘোষণা করেছে পাকিস্তান সরকার।
বিগত পাঁচ বছরে অতি বৃষ্টির জেরে বিপুল ক্ষয়ক্ষতির সম্মুখীন হতে হয়েছে সিন্ধ প্রদেশকে। শুধু করাচিতেই মৃতের সংখ্যা প্রায় ৭০ জন। পঞ্জাব প্রদেশে মারা গিয়েছেন ৫০ জন। এছাড়াও খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশে মৃত্যু হয়েছে কমপক্ষে ৬০ জনের।
অপরদিকে বৃষ্টির দাপটে নাজেহাল অবস্থা ইরাকেরও। জলের তলায় বিস্তৃর্ণ এলাকা। সূত্রের খবর অনুযায়ী এখন পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা ৭০, প্রায় ২০ হাজারেরও বেশি মানুষ গৃহহীণ। নিখোঁজ ৪৫। দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার জেরে বিপাকে একাধিক পর্যটক। জানা যাচ্ছে বিগত কয়েক সপ্তাহ ধরে ব্যাহত রেল পরিষেবাও।
এখনও জলের তলায় পাকিস্তানের একাধিক গ্রাম। বাস্তুহারা হাজার হাজার মানুষ। একটি সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা যাচ্ছে বন্যাকবলিত এলাকায় চিকিৎসার অভাবে মারা গিয়েছেন এক ৭০ বছরের বৃদ্ধা। উদ্ধারকাজে নিযুক্ত হয়েছে পাকিস্তানের সেনাদলও।
আরও পড়ুনঃনেপালের কাঠমান্ডুতে বড়সড় ভূমিকম্প, কম্পন ছড়ালো বিহারের বহু জেলায়
আরও পড়ুনঃভারতের অবস্থা কি পাকিস্তান বা শ্রীলঙ্কার মত হবে? নিজের মত জানালেন রঘুরাম রাজন