সংক্ষিপ্ত
ভারতের সঙ্গে আলোচনায় রাজি পাকিস্তান
জম্মু ও কাশ্মীর-সহ বিভিন্ন বিরোধেরই সমাধান চায় তারা
তবে সেই আলোচনা শুরুর জন্য পাঁচটি শর্ত দিল তারা
কী বললেন ইমরানের বিশেষ সহযোগী
জম্মু ও কাশ্মীর-সহ দীর্ঘদিনের বিভিন্ন বিরোধের সমাধানের জন্য ভারতের সঙ্গে ফের 'অর্থবহ আলোচনা' শুরু করার কথা বলল পাকিস্তান। তবে তার জন্য তারা পাঁচটি পূর্ব-শর্ত দিয়েছে। মঙ্গলবার 'দ্য ওয়্যার' চ্যানেলে পাক প্রধানমন্ত্রীর জাতীয় সুরক্ষা বিষয়ক বিশেষ সহকারী (এসএপিএম) মইদ ইউসুফ এক একান্ত সাক্ষাতকারে দাবি করলেন ছয় বছর পর সম্প্রতি ভারত, পাকিস্তানের সঙ্গে আলোচনায় বসার ইচ্ছা প্রকাশ করেছে। পাকিস্তান-ও ভারতের সঙ্গে শান্তিপূর্ণ সম্পর্ক চায় এবং সব দ্বন্দ্ব আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করতে চায়। কিন্তু পূর্ণ করতে হবে পূর্ব-শর্তগুলি।
কী কী সেই পূর্ব-শর্ত? ইউসুফ বলেছেন -
১. ভারতকে কাশ্মীরে সমস্ত রাজনৈতিক বন্দীদের মুক্তি দিতে হবে
২. অমানবিক অবরোধ ও বিধিনিষেধের অবসান ঘটাতে হবে
৩. অকাশ্মীরিদের বিতর্কিত অঞ্চলে বসতি স্থাপন করার অধিকার দেয় এমন আধিপত্য বিধি নিষিদ্ধ করতে হবে
৪. মানবাধিকার লঙ্ঘন বন্ধ করতে হবে
এবং ৫. পাকিস্তানে সন্ত্রাসবাদে মদত দেওয়ার অবসান ঘটাতে হবে
ইউসুফ বলেছেন, মোদী সরকার এই শর্তগুলি মেনে নিলেই পাকিস্তান, ভারতের সঙ্গে আলোচনায় বসার জন্য প্রস্তুত থাকবে। মজার বিষয় হল, ভারতের ৩৭০ ধারা বাতিল করা নিয়ে এতদিন ধরে পাকিস্তান বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ফোরামে সোরগোল তৈরি করার চেষ্টা চালিযে গেলেও, ভারতের সঙ্গে আলোচনা শুরুর পূর্ব-শর্ত হিসাবে জম্মু ও কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা পুনরুদ্ধারের কথা উল্লেখ করতে পারেনি তারা। কারণ, ইউসুফ জানিয়েছেন, ৩৭০ ধারাকেই সরকারিভাবে মানে না পাকিস্তান। কাজেই তা পুনরুদ্ধারের শর্ত দেওয়াও তাদের পক্ষে অসম্ভব।
ইউসুফ বলেঝছেন, এই অবস্থায় পাকিস্তানের মূল আপত্তি মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ একটি এলাকার চরিত্র পরিবর্তন করার জন্য ভারত যে আধিপত্য আইন চাপিয়ে দিচ্ছে জম্মু ও কাশ্মীরের উপর, তাই নিয়ে। তাঁর দাবি, 'কাশ্মীরিরা নিজেদের ভারতীয় ভাবার কথাও সহ্য করতে পারে না'। রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের প্রস্তাবসমূহ এবং দ্বিপক্ষিক সিমলা চুক্তি এড়িয়ে গিয়ে ভারত 'একতরফা' সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন তিনি। তাঁর আরও দাবি, উপত্যকায় ১,৮০,০০০ সেনা এনে বিশ্বকে সন্ত্রাসবাদী হুমকির মিথ্যা বলে ভারত সরকার ২০১৯ সালের ৫ আগস্ট ওই কাজ করেছিল। এক বছর পরও কাশ্মীরে কারফিউ জারি নিয়েও ভারতকে কটাক্ষ করেন তিনি।
শুধু তাই নয়, ভারত, পাকিস্তানে সন্ত্রাসবাদী হামলা চালিয়েছেন বলেও অভিযোগ করেন তিনি। তাঁর দাবি, করাচিতে অবস্থিত চীনা কনস্যুলেট, পাকিস্তান স্টক এক্সচেঞ্জ এবং গদরের একটি পাঁচতারা হোটেলে সন্ত্রাসবাদী হামলার পিছনে ভারতই অর্থ ঢেলেছিল। তিনি আরও বলেন, আফগানিস্তানে বিভিন্ন তালিবানি দলগুলিকে সংহত করতে ভারত ১ মিলিয়ন মার্কিন ডলার ব্যয় করেছে।