সংক্ষিপ্ত


দুর্নীতি (Corruption) এবং যৌন অপরাধে (Sex crime) জর্জরিত মুসলিম বিশ্ব (Muslim World)। বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় মুসলিম পণ্ডিতদের এমনটাই বললেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান (Imran Khan)। 

দুর্নীতি (Corruption) এবং যৌন অপরাধ (Sex crime) - মুসলিম বিশ্ব (Muslim World) বর্তমানে এই দুই প্রধান শয়তানের (Evils) মুখোমুখি। সম্প্রতি বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় মুসলিম পণ্ডিতদের সঙ্গে এক আলোচনার সময়ে এমনটাই বলেছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান (Pakistan Prime Minister Imran Khan)। ওই বৈঠকে তিনি আরও বলেছেন, 'ইন্টারনেটে উপলব্ধ অশ্লীলতা এবং পর্নোগ্রাফিক সামগ্রীতে ডুবে যাওয়া থেকে মুসলিম যুবকদের বাঁচানো প্রয়োজন'।  আলোচনা সভাটির বিষয় ছিল, 'ইসলাম, সমাজ ও নৈতিক পুনরুজ্জীবন'।  

২০২১ সালের অক্টোবর মাসেই জাতীয় রাহমাতুল-লিল-আলামীন কর্তৃপক্ষ বা এনআরএএ (NRAA) গঠন করেছিলেন পাক প্রধানমন্ত্রী। এই সংস্থা গঠনের উদ্দেশ্য ছিল, ইসলাম ধর্মের নবি হজরত মহম্মদের (Hazrat Muhammad) জীবনের পাঠ'কে, কীভাবে জনসাধারণের কাছে সর্বোত্তমভাবে ছড়িয়ে দেওয়া যায়, সেই সম্পর্কে গবেষণা। এই এনআরএএ-র পক্ষ থেকেই বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় মুসলিম পণ্ডিতদের নিয়ে ওই ইন্টারেক্টিভ আলোচনাসভার আয়োজন করা হয়েছিল। সেখানে পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান বলেন, সমাজে দুই ধরনের অপরাধ আছে - একটি দুর্নীতি এবং অপরটি ধর্ষণ (Rape), শিশু নির্যাতনের (Child Abuse) মতো যৌন অপরাধ। 

আরও পড়ুন - প্রেমের টানে অনুপ্রবেশ, মুম্বইয়ে প্রেমিকার কাছে যেতে গিয়ে রাজস্থানে ধরা পড়ল পাক যুবক

আরও পড়ুন - Karachi Blast: অন্তত ১৪ জন নিহত, আহত বহু - করাচিতে জোরালো বিস্ফোরণে উড়ে গেল বাড়ি

আরও পড়ুন - প্রকাশ্য দিবালোকেই হিন্দু মহিলাকে অপহরণ পাকিস্তানে, ভয়ঙ্কর ভিডিও শেয়ার করলেন বিজেপি নেতা

ইমরান দাবি করেন, ইসলামি সমাজে যৌন অপরাধ অত্যন্ত দ্রুত হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। এর মাত্র ১ শতাংশ অপরাধের ঘটনা রিপোর্ট করা হয়েছে। পাক প্রধানমন্ত্রীর মতে, বাকি ৯৯ শতাংশ ক্ষেত্রে সমাজকে লড়াই করতে হবে এর বিরুদ্ধে। দুর্নীতির ক্ষেত্রেও সামাজিক লড়াইয়ের উপরই জোর দেন পাক প্রধানমন্ত্রী। তাঁর মতে সামাজে দুর্নীতিকে অগ্রহণযোগ্য করে তুলতে হবে। নাহলে দুর্নীতিকে রোখা যাবে না। এই প্রসঙ্গে তিনি তাঁর পূর্বসূরি, তথা পাকিস্তান মুসলিম লিগ-নওয়াজ বা পিএমএল-এন (PML-N) প্রধান  নওয়াজ শরিফকে (Nawaz Sharif) খোঁচা দিয়েও ছাড়েননি। ইমরান বলেন, দুর্ভাগ্যবশত, নেতারাই সময়ের সঙ্গে সঙ্গে দুর্নীতিগ্রস্ত হয়ে পড়েন, তখন তাঁরাই সমাজে দুর্নীতিকে গ্রহণযোগ্য করে তোলেন। পাক সংবাদপত্র ডন-এর রিপোর্ট অনুযায়ী, হজরত মহম্মদের শিক্ষাকে সমাজে ছড়িয়ে দেওয়ার বিষয়ে আন্তর্জাতিক দৃষ্টিভঙ্গির অন্বেষণে ইমরান খান, ভবিষ্যতেও এইসব বিশ্বখ্যাত পণ্ডিতদের সঙ্গে একইরকম আলোচনায় বসবেন।

ইমরান যখন, ইসলাম সমাজের শুদ্ধিকরণে ব্যস্ত, সেই সময় তাঁর দেশের অর্থনীতির অবস্থা ভয়ঙ্কর জায়গায় পৌঁছে গিয়েছে। সোমবার, প্রায় ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর (PM Narendra Modi) সুরেই পাক প্রধানমন্ত্রীও পাকিস্তানের অর্থনীতিকে শক্তিশালী এবং আত্মনির্ভর করার গুরুত্বের উপর জোর দিয়েছেন। তিনি বলেন, ১৯৬০-এর দশকে পাকিস্তানে যে জাতীয়করণ প্রক্রিয়া গৃহীত হয়েছিল, তা দেশের অগ্রগতির মারাত্মক ক্ষতি করেছে। তিনি আরও দাবি করেছেন, পাকিস্তানের চিরকালীন মিত্রশক্তি চিন (China), তাদের দেশকে সহায়তা করতে এবং পাকস্তানের অর্থনীতিকে পরবর্তী স্তরে উন্নিত করতে প্রস্তুত। কিন্তু, সমস্যা পাকিস্তান সেই সহায়তা নিতে ও অর্থনীতির পরের স্তরে উন্নিত হওয়ার জন্য প্রস্তুত নয়। এক জন্য তিনি জাতীয়করণ প্রক্রিয়াকেই দায়ী করেন।