সংক্ষিপ্ত
সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারের জন্য বাচ্চা মধ্যে বাচ্চার আচরণে পরিবর্তন ঘটে। যাকে ডাক্তারি পরিভাষায় সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাংজাইটি (Anxiety) বলা হয়।
গতবছর থেকে করোনার প্রভাবে বন্ধ স্কুল। পড়াশোনার (Education) মাধ্যম বলতে অনলাইন ক্লাস (Online Class)। স্কুল এখন খুললেও পুরোপুরি স্বাভাবিক হয়নি। ফলে, সারাদিন অনলাইনেই ক্লাস করে সময় কাটছে বাচ্চাদের। আর এই কারণেই সহজে মিলেছে মোবাইল (Mobile), ল্যাপটপ (Laptop)। অবাদে চলছে ইন্টারনেট অ্যাকসেস (Internet Access)। এই চিত্র আজ সব বাড়িতেই। বাচ্চাদের সারাদিনই দেখা যাচ্ছে মোবাইল হাতে। অজুহাতটা পড়াশোনার জন্য হলেও, বাস্তবটা আলাদা। মোবাইলে পড়াশোনার থেকে বেশি চলছে চ্যাটিং। সারাক্ষণ সোশ্যাল মিডিয়া (Social Media) ঘেঁটে চলেছে বাচ্চারা। এর জন্য গভীর প্রভাব পড়ছে বাচ্চার মনে। গবেষণা বলছে, অধিক সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারের জন্য খারাপ প্রভাব পড়ছে বাচ্চার মনে। জেনে নিন কী কী।
সারাক্ষণ সোশ্যাল মিডিয়া (Social Media) নিয়ে ভাবছে বাচ্চা। সেখানে কে ছবি দিন। তার ছবিতে কতগুলো লাইক পড়ল, কতগুলো কমেন্ট হল- এই সব নিয়ে সারাটাক্ষণ চলছে চিন্তা। বাচ্চার মধ্যে সারাক্ষণ একটা অস্থির ভাব দেখা যাচ্ছে। এটা মোটেও স্বাভাবিক নয়। এর থেকে পরে বড় সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই সময় থাকতে সতর্ক হন। কাজের বাইরে বাচ্চার হাতে ফোন দেবেন না। তার ইন্টারনেট (Internet) ব্যবহারের সময় বেঁধে দিন। এতে প্রথম প্রথম অশান্তি হবে ঠিকই। কিন্তু, পরে পরিস্থিতি ঠিক হয়ে যাবে।
সারাদিন ইন্টারনেট ব্যবহারের আরও একটা কুফল হল একটুতেই হতাশ হয়ে পড়া। একটু কিছু বললেই মেজাজ হারিয়ে ফেলা। এমন পরিবর্তন দেখলে বুঝবেন ইন্টারনেটের অধিক ব্যবহারের জন্য তা হচ্ছে। সারাদিন সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারের জন্য সেটাই তার মনে চলতে থাকে। তারই প্রভাব পড়ে বাচ্চার আচরণে (Attitude)।
সারাদিন ভার্চুয়াল (Virtual) দুনিয়ায় থাকার জন্য আনসোশ্যাল হয়ে পড়ে বাচ্চা। কোনও অনুষ্ঠানে যেতে চায় না। কারও সঙ্গে সাক্ষাত করতে চায় না। সারাদিন শুধু ভার্চুয়াল দুনিয়ায় সময় কাটায়। অধিক সময় সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারের জন্য বাচ্চা মধ্যে এমন পরিবর্তন ঘটে। যাকে ডাক্তারি পরিভাষায় সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাংজাইটি (Anxiety) বলা হয়।
পড়াশোনায় অমনোযোগীতা, পরীক্ষায় খারাপ রেজাল্টের (Result) কারণ অধিক সময় সোশ্যাল মিডিয়া ঘাঁটা। সারাদিন ইন্টারনেটে যা দেখে, তা তাদের মাথায় চলতে থাকে। এতে পড়াশোনার প্রতি আগ্রহ হারিয়ে ফেলে। পড়তে বসলেও সেই সোশ্যাল মিডিয়ার (Social Media) কথাই চিন্তা করে। এমনকী, মিথ্যা কথা বলার প্রবণতাও দেখা যায় এই অধিক সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারের জন্য।