এই দুর্গাপুজোয় মাতেন হিন্দু-মুসলমান উভয়েই। এই পুজোয় কোন জাত-পাত নেই। পূর্ব বর্ধমানের আউশগ্রামের গোয়ালআড়া গ্রামের দুর্গাপুজো আগে ছিল মণ্ডল পরিবারের পারিবারিক পুজো। আর্থিক সমস্যার কারণে মণ্ডল পরিবার আর পুজো চালাতে পারেনি। তখন থেকেই পুজোর দায়িত্ব নেয় গ্রামবাসীরা। কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে হিন্দুদের পাশাপাশি এগিয়ে আসেন গ্রামের মুসলিম ধর্মালম্বী মানুষজনও। ফলে গোয়ালআড়া গ্রামের দুর্গাপুজো সর্বধর্মের সম্প্রীতির পুজো হয়ে উঠেছে।দুর্গামন্দির পরিস্কার রাখতে ঝাঁটপাট দেওয়া থেকে পুজোর বাজারহাট সব কাজেই সমানভাবে গ্রামের মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষজন অংশ নেন।
আজ মহা তৃতীয়া, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সকাল থেকেই ব্যাস্ত ছিলেন কলকাতার বিভিন্ন দুর্গোৎসবের উদ্বোধনে, সন্ধার পর ভবানীপুরের একধিক পূজা উদ্বোধন করলেন তিনি
বুধবার নিউ আলিপুরের সুরুচি সঙ্ঘের পুজো উদ্বোধন করতে যান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে ঢাক বাজাতে দেখা যায় তৃণমূল সুপ্রিমোকে। চিরাচরিত রীতি অনুযায়ী কাঁচি দিয়ে ফিতে কেটে পুজোর উদ্বোধন নয়, বরং ঢাকের তালে মণ্ডপে ঢুকলেন তিনি।
সুরুচি সংঘের পুজো উদ্বোধনে তুমুল ঢাক বাজালেন মমতা। মুখ্যমন্ত্রী মমতাকে সঙ্গ দিলেন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। এদিন ভার্চুয়াল মাধ্যমের সাহায্যে একাধিক পুজোর উদ্বোধন সারেন মমতা। পরে কলকাতার বেশ কিছু পুজোর উদ্বোধন স্বয়ং নিজের হাতেই করলেন। কলকাতার সুরুচি সংঘের পুজোর উদ্বোধন করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন উদ্বোধন করেই থেমে থাকেননি মমতা, তিনি ও ফিরহাদ ঢাক বাজালেন।
আগেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় উদ্বোধন করেছেন বাবুল সুপ্রিয়র গান, আজ প্রেসক্লাবে প্রকাশ্যে এল 'জয় মা দুগ্গা'
চালতাবাগান লোহাপট্টির মণ্ডপের উদ্বোধন করলেন বাংলার মন্ত্রী সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় এবং শশী পাঁজা। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কবি শ্রীজাত বন্দ্যোপাধ্যায়।
উত্তর কলকাতার ঐতিহ্য ফিরল পল্লীর যুবকবৃন্দ ক্লাবের হাত ধরে, মশাল জ্বালিয়ে হল দেবীর আগমণ, শঙ্খ, উলুধ্বনি দিয়ে দেবীকে বরণ করে নেন ক্লাবের মহিলারা, সঙ্গে ছিল ধুনুচি নাচ
বিশ্বায়নের হাত ধরে কুঁদঘাটের প্রগতি সঙ্ঘ যে চমক দিয়েছে, তা সত্যিই অভিনব। মহালয়ায় এই কমিটি মন্ডপে ব্যবস্থা করেছিল চণ্ডীপাঠের। এখানে অবশ্য নতুনত্ব নেই। চমক হল চণ্ডীপাঠের ভাষায়। এখানে প্রশ্ন উঠতে পারে, ভাষা তো একটাই...সংস্কৃত। তাতে চমক কি।
শোভাবাজার রাজবাড়ি-'৩৫০০ টাকার পুজো আজ ৫ লক্ষ টাকা'। বনেদি বাড়ির পুজোয় শোভাবাজার রাজবাড়ি । ২৬৫ তম বর্ষে পড়েছে এই পুজো। রাজা নবকৃষ্ণ দেব এই পুজো চালু করেন । পলাশি যুদ্ধে ইংরাজদের জয়ের উৎসবে পুজোর প্রচলন । লর্ড ক্লাইভ এই পুজোর অন্যতম একজন উৎসাহদাতা ছিলেন। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বহু রাজকীয় প্রথার অবলুপ্তি ঘটেছে। পুজোর বাজেট নিরন্তর বেড়ে চলায় চিন্তিত দেব পরিবার। এই পুজো এখন দুটো ভাগে বিভক্ত-বড় তরফ এবং ছোট তরফ। বড় তরফে পুজোকেই রাজা নবকৃষ্ণের পুজো বলা হয়। শোভাবাজার রাজবাড়ির পুজো দেখতে ভিড় করেন মানুষ
বাঙালির পুজো মানে ভুঁড়িভোজ। এই সময় জলখাবার থেকে রাতের খাবার সর্বত্র থাকা চাই চমক। পুজোর সময় স্ন্যাক্সে নতুন কোনও পদ খাওয়ার ইচ্ছে থাকলে বানাতে পারেন চিকেন ও চিংড়ির দুই পদ। রইল ক্রিস্পি নারকেল চিকেন ও চিংড়ি পকোড়া-র রেসিপি।