Spritiual News

ইয়ং বয়েজ ক্লাবের পুজোর থিম হল 'দূর্গা-করোনা ধ্বংসকারী'। মধ্য কলকাতার প্রথম সারির পুজোগুলির মধ্যে এটিও একটি। 

সাড়ে চারশো বছরের মুর্শিদকুলি খাঁর সময়ের এক মন্দিরে ৩ দুর্গা। মহিষ বলি উঠে গেলেও ষষ্ঠী থেকে পাঁঠা এবং মেষ বলির প্রচলন আছে এখনও মুর্শিদাবাদের গুড়া পাশলা রায়চৌধুরী পরিবারের এই দুর্গা পুজোয়।  

মহাসপ্তমীর উসা লগ্নে সিংহ বাহিনী পৌঁছলেন পাহাড়পুরের চণ্ডী মন্দিরে। রাজকীয় শোভাযাত্রার আয়োজনে দেবী চণ্ডী চললেন, সঙ্গে পুরোহিতের মন্ত্র উচ্চারন ঢাকের বাদ্যির ধ্বনিতে মুখরিত হলো গোটা শহর।  

 সপ্তমীর ভোর থেকেই  শুরু হয়ে গিয়েছে বাংলার ঘাটে ঘাটে নবপত্রিকা স্নান ।  মঙ্গলবার ভোর পৌনে পাঁচটা নাগাদ নবপত্রিকা স্নানের মধ্য দিয়েই শুরু হয়েছে পুজো বেলুড় মঠেও, এদিন নিয়ম মেনেই কলাবউ এর উপর ছাতা ধরে গঙ্গার ঘাটে নিয়ে গেলেন মহারাজরা।  

 নানান থিমের সাজে সেজে উঠেছে লালমাটির পুজো মন্ডপ।  কোথাও থিমের ভাবনায়  সোনারস্বর্গ আবার কোথাও  সুরের ভুবনে আলোর রসনায়, বাদ যায়নি অলিম্পিকে ভারতের সাফল্যও।

পুজো মানেই পুজোর গান (Puja song)। পুজোর গান ছাড়া পুজো যেন অস্পূর্ণ থেকে যায়। প্রতি বছরই পুজোর সময় নতুন নতুন গান শোনা যায়। এবছর পুজোয় (Durga puja 2021) একাধিক গান বেরিয়েছে শুভমিতার (Subhamita)। পুজোর গানে রয়েছে নতুনের গন্ধ, জানালেন শুভমিতা। দু'কলি গেয়ে পুজোর শুভেচ্ছা জানালেন শুভমিতা। তাঁর পছন্দের পুজোর গান খালি গলায় গেয়ে শোনালেন তিনি।

দুর্গা পুজোয় (Durga puja 2021) মেতেছে এখন গোটা বাংলা। হরিদেবপুর নিউ স্পোর্টিং ক্লাব এবার ১৬ তম বর্ষে পদার্পণ করেছে। হরিদেবপুর নিউ স্পোর্টিং ক্লাবে এবারের থিম 'বল্মীক'। সেখানে পুজো মন্ডপের (Pandal hopping) মধ্যে দিয়ে উইয়ের ঢিপি ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। দেবী দুর্গাকেও এখানে এবার একেবারে অন্যভাবে দেখা গিয়েছে। করোনা বিধি (Covid rules) মেনেই এবার সেখানে পুজো হচ্ছে।

বেহালা (Behala) আদর্শ পল্লী এবার ৬৪ তম বর্ষে পা দিয়েছে। এবছর আদর্শ পল্লীর থিম 'আনন্দ ধারা' (Ananda Dhara)। বর্তমান পরিস্থিতিতে মানুষের মনে আনন্দ নেই। এই পরিস্থিতিতে মা দুর্গার সঙ্গে আনন্দের আগমণ। এই ভাবনাই ফুটে উঠেছে এবার তাদের মন্ডপের মধ্যে দিয়ে। দেবী দুর্গাকে এখানে অন্নপূর্ণা রূপে দেখা যাবে। করোনার বিধি মেনেই এবার সেখানে পুজো হচ্ছে (Durga Puja)।

মহাসপ্তমীর সকালে নবপত্রিকা স্নানের রীতে এখন প্রচলিত। কলাগাছের সঙ্গে আরও আটটি গাছ বা গাছের ডাল একত্রিত করে নবপত্রিকা তৈরি করা হয়।

পুজোর মূল বৈশিষ্ট্য হল সারাবছর অব্রাহ্মণ সম্প্রদায়ের কর্মকার পুরোহিতের কাছ থেকে পুজো নেন মা। কিন্তু, পুজোর পাঁচ দিন মা দুর্গা ব্রাহ্মণ পুরোহিতের কাছ থেকে পুজো নেন। বছর ভর সপ্তাহের প্রতি মঙ্গলবার ঝালদা মুচি গড়িয়ায় শিলা রুপি মা দুর্গার এই পুজো করেন কর্মকার সম্প্রদায়ের পুরোহিত দুলাল কর্মকার।