উত্তর কলকাতার অন্যতম বড় পুজো সিমলা ব্যায়াম সমিতির দুর্গা পূজো। একসময় নেতাজী সুভাষচন্দ্র বসু ছিলেন এই ক্লাবের পুজো কমিটির প্রেসিডেন্ট। আর স্বামী বিবেকানন্দের মেজোভাই-এর তত্ত্বাবধানে তৈরি হয়েছিল প্রতিমা। আজও সেই একই শৈলির প্রতিমা গড়ে সিমলা ব্যায়াম সমিতি। এমন যাদের ঐতিহ্য, তাদের থিমের স্রোতে গা ভাসানোর প্রয়োজন পড়ে না।
চারিদিকে যখন থিমের নতুনত্বে একে অপরকে ছাপিয়ে যাওয়ার প্রতিযোগিতা, সেখানে আজও সাবেকিয়ানাতেই ভরসা রেখেছে বাগবাজার সর্বজনীন দুর্গোৎসব। সেই সঙ্গে রয়েছে স্বদেশী মেলার ঐতিহ্য। আর অন্যতম আকর্ষণ বীরাষ্টমীর দিনের ছুড়ি খেলা, লাঠি খেলা। দশমীর দিনের সিঁদুর খেলার টানও কম নয়।
মধ্য কলকাতার বড় পুজোগুলির মধ্যে অন্যতম সেজে উঠছে সন্তোষ মিত্র স্কোয়ার। প্রতি বছরই কোনও না কোনও চমক থাকে এখানকার পুজোয়। এবারের থিম 'কাঞ্চনকন্যা রূপে সোনার দুর্গা'। প্রায় ৫০ কিলোগ্রাম সোনা ব্যবহার করে গড়ে উঠছে প্রতিমা। শুধু তাই নয়, মণ্ডপ সেজে উঠছে আগ্রার শিশ মহলের আদলে। যার জন্য খোদ আগ্রা থেকেই এসেছেন শিল্পীরা।
প্রথার শুরুটা হয়েছিল সেই দূরদর্শন থেকে। বীরেন্দ্র কিশোর ভদ্রের কণ্ঠে এক দিকে যখন শেষ হত চণ্ডিপাঠ তখনই ঠিক একই ছন্দে টেলিভিশনের পর্দায় শুরু হয়ে যেত মহালয়ার অনুষ্ঠান। তবে বেশ কয়েকবছর ধরে রেডিওতে মহালয়া বাজার সঙ্গে সঙ্গেই শুরু হয়ে যায় মহিষাসুরমর্দিনী অনুষ্ঠান। এবার জি বাংলার চমকে থাকছে দেবী দুর্গার ১২ মাসে বারো রূপ। ২৮ সেপ্টেম্বর ভোর পাঁচটায় শুরু হয়ে এই অনুষ্ঠান। দেবী দূর্গারূপে থাকছেন শুভশ্রী গঙ্গোপাধ্যায়।
চেনা ছকেই এবার মহালয়ার অনুষ্ঠান
ভোর পাঁচটায় শুরু হবে অনুষ্ঠান
মহালয়ার ভোরে মহিষাসুরমন্দিনীর গল্প বলবেন মধুমিতা-ইন্দ্রানী
শিবের ভূমিকায় জিতু কমল
রাত পোহালেই মহালয়া। তার আগে বাংলা জুড়ে ছড়িয়েছে এনআরসি নিয়ে চিন্তা। চলছে রাজনৈতিক চাপান-উতোর। পিছিয়ে নেই রসিকরাও।
আবাসনের পুজোয় একটা বাড়ির পুজোর গন্ধ থাকে। গড়িয়া প্রতাপগড়ের সানি ব্লিস অ্য়াপার্টমেন্ট-ও তার ব্যতিক্রম নয়। সবচেয়ে বড় কথা কোনও বাইরের শিল্পী নয়, একেবারে বাসিন্দাদের নিজস্ব নৌলিক ভাবনাতেই এই বছর সেজে উঠছে এই অ্য়াপার্মেন্টের পুজো। এমনকী বয়জ্য়েষ্ঠরাও রাত জেগে মণ্ডপ সজ্জায় হাত লাগিয়েছেন। আর পুজোর চারদিন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের ভার নিয়েছে অ্যাপার্টমেন্টে ক্ষুদেরা। তারাই নাচ-গান-নাটকে মাতিয়ে রাখবে পুজোর চারটে দিন। আর এই চারটে দিন রান্না-বান্নার পাটও নেই কোনও বাড়িতে। খাওয়া দাওয়ার বন্দোবস্ত সব প্যান্ডেলেই।