মন্দিরে প্রবেশের আগে কেন আমরা জুতো খুলি কেন জানেন? জানুন এর কারণ
মন্দিরে ঢোকার আগে জুতো খোলা একটা পুরনো রীতি, বিশেষ করে ভারতে। এটা শুধু অভ্যাস নয়, এর আধ্যাত্মিক, স্বাস্থ্যকর ও সাংস্কৃতিক মানেও আছে।
- FB
- TW
- Linkdin
)
মন্দিরে যাওয়া অন্য কোথাও যাওয়ার মতো নয়। এটা পবিত্র জায়গা, যেখানে আমরা গভীর কিছু খুঁজি। আমরা যখন কোনো মন্ত্রীর কাছে যাই, তখন মন স্বাভাবিকভাবেই বদলে যায়। তাদের ঘরে বা বাড়িতে ঢোকার আগে, আমরা জুতো বা পা বাইরে মেঝের সাথে ঘষে পরিষ্কার করি। এটা স্বাস্থ্যকর এবং এর একটা মানেও আছে, যা বোঝায় পরিচ্ছন্নতা কতটা জরুরি।
জুতো নানা রকমের জায়গায় লাগে, যা পরিষ্কার বা নোংরা হতে পারে। মন্দিরকে ঈশ্বরের পবিত্র স্থান হিসেবে মানা হয়, তাই এর পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখা দরকার।
আমরা যখন মন্দিরে যাই বা বাড়ির পবিত্র বেদীর কাছে যাই, তখন আমাদের মন ভালো রাখা উচিত। জুতো খোলা শুধু বাইরের পরিচ্ছন্নতা নয়, ভেতরের অহংকার, খারাপ চিন্তা ও দুনিয়ার ঝামেলা থেকেও মুক্তি দেয়। এগুলো বাইরে ফেলে আমরা যখন পরিষ্কার মনে ঢুকি, তখন আমাদের আধ্যাত্মিক উন্নতি হয়। এতে আমরা ভালোভাবে ধ্যান করতে পারি এবং ঈশ্বরের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক আরও গভীর হয়।
জুতো নানা রকমের জায়গায় লাগে, যা পরিষ্কার বা নোংরা হতে পারে। মন্দিরকে ঈশ্বরের পবিত্র স্থান হিসেবে মানা হয়, তাই এর পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখা দরকার।
আমরা যখন মন্দিরে যাই বা বাড়ির পবিত্র বেদীর কাছে যাই, তখন আমাদের মন ভালো রাখা উচিত। জুতো খোলা শুধু বাইরের পরিচ্ছন্নতা নয়, ভেতরের অহংকার, খারাপ চিন্তা ও দুনিয়ার ঝামেলা থেকেও মুক্তি দেয়। এগুলো বাইরে ফেলে আমরা যখন পরিষ্কার মনে ঢুকি, তখন আমাদের আধ্যাত্মিক উন্নতি হয়। এতে আমরা ভালোভাবে ধ্যান করতে পারি এবং ঈশ্বরের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক আরও গভীর হয়।
এটা ভালোভাবে বুঝিয়ে দেয় কেন মন্দিরে ঢোকার আগে জুতো খুলতে হয়। এটা শুধু একটা কাজ নয়, এটা অহংকার আর দুনিয়ার মায়া ত্যাগ করাও।
আধ্যাত্মিক জীবনে ঈশ্বরের কাছে নিজেকে সঁপে দিতে হলে অহংকার, সামাজিক অবস্থান ও বাইরের বিচার ছেড়ে দিতে হয়। জুতো আমাদের বাইরের দুনিয়ার সঙ্গে জুড়ে রাখে—যেমন সামাজিক মর্যাদা, পছন্দ, এমনকি অহংকার। এগুলো বাইরে রেখে আমরা মন্দিরে ঢুকি সমান হয়ে, এটা বুঝে যে ঈশ্বরের কাছে সবাই সমান।
আরও, দুনিয়ার চিন্তা ভুলে গিয়ে ভক্তি ভরে জীবন কাটানো উচিত। মন্দিরে যাওয়া মনে করায় যে আমাদের আসল পরিচয় বাইরের জিনিসের থেকে অনেক বেশি—আমরা সবাই ঈশ্বরের সন্তান, শান্তি ও আধ্যাত্মিক উন্নতি খুঁজি।