সংক্ষিপ্ত

নদিয়ার হরিণঘাটা দাসপোল ডাঙ্গা প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সরস্বতী পুজোর প্রস্তুতি নিয়ে অশান্তির সূত্রপাত। স্থানীয় এক যুবক প্রধান শিক্ষককে পুজো না করার হুমকি দিয়েছেন। এই ঘটনায় রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন।

হাতেগোনা কদিন পরই সরস্বতী পুজো। তার প্রস্তুতি শুরু হয়ে গিয়েছে ইতিমধ্যে। এবার এই সরস্বতী পুজোর আবহে ফের অশান্তি সৃষ্টি হল রাজ্যে। ঘটনাটি নদিয়া জেলার। নদিয়ার হরিণঘাটা দাসপোল ডাঙ্গা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কাশীরাম বর্মনও স্কুলে পুজোর প্রস্তুতি নিয়েছিলেন। কিন্তু, স্থানীয় জিহাদী যুবক আলিমুদ্দিন মণ্ডল স্কুলের প্রধান শিক্ষকের ওপর চড়াও হন। প্রধান শিক্ষকে হুমকি দিয়ে বলে, কোনওদিন সরস্বতী পুজো হয়নি এবং আজও হবে না। মিডিয়ার ক্যামেরার সামনে এই আলিমুদ্দিনকে তৃণমূলের বুথ সভাপতিকে হুমকি দিতে শোনা গিয়েছে। সে নাকি ২৪ ঘন্টার মধ্যে বদলি করে দেবে শিক্ষককে। প্রধান শিক্ষককে হুমকি দেওযা খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে হরিণঘাটা থানার পুলিশ। পুলিশ সতর্ক করলে অভিযুক্ত ভ্রুক্ষেপহীন আচরণ করেন।

এই ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ করেছেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। তিনি এই ঘটনাকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মৌলবাদী তোষণসর্বস্ব হিসেবে তুলে ধরেছেন। পাশাপাশি তিনি অভিযোগ করেছেন, পশ্চিমবঙ্গকে গ্রেটার বাংলাদেশে পরিণত করার জন্য সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা চালাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী।

YouTube video player

জানা গিয়েছে, এই প্রথম হরিণঘাটা দাসপোল ডাঙ্গা প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সরস্বকী পুজোর উদ্যোগ নিয়েছেন প্রধান শিক্ষক কাশীরাম বর্মন। তিনি জানান, স্কুলে সরস্বতী পুজো করার জন্য কোনও কমিটির দরকার নেই। হিন্দু মুসলিম যে সমস্ত বাচ্চাদের বই পত্র আছে উভয় সম্প্রদায়ের পড়ুয়ারাই চাইছে স্কুলে সরস্বতী পুজো হোক। আর শুরুতেই বাধা চলে এল। জিহাদি যুবক আলিমুদ্দিন মণ্ডল শিক্ষককে বলেছেন, কোনও দিন পুজো হয়নি আজও হবে না। আপনাকে সরাতে ২৪ ঘন্টা লাগবে না। এখানে হিন্দুদের কোনও অনুষ্ঠান হতে পারে না। মুসলমানদের কোনও অনুষ্ঠান হতে পারে না। আপনি কি এখানে সাধু সাজতে এসেছেন।

ঘটনার পর প্রধান শিক্ষক বলেন, এবার তো আমার স্কুলে আসতে ভয় লাগছে। আতঙ্ক কাজ করছে। ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার। তিনি ঘটনার ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করে নিন্দা করেন।