সংক্ষিপ্ত
সোমবার ভারতীয় ক্রিকেটের কিংবদন্তি সচিন তেন্ডুলকরের জন্মদিন। ৫০ বছর পূর্ণ করছেন মাস্টার ব্লাস্টার। এই বিশেষ দিনটির আগে সচিনকে নিয়ে স্মৃতিচারণায় প্রাক্তন সতীর্থ হরভজন সিং।
১৯৮৫ সালের পর ভারতীয় দল দ্বিতীয়বার ওডিআই বিশ্বকাপের ফাইনালে পৌঁছে গিয়েছিল ২০০৩ সালে। দক্ষিণ আফ্রিকায় সেবার সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে অসাধারণ পারফরম্যান্স দেখিয়েছিল ভারত। এই সাফল্যের পিছনে অন্যতম অবদান ছিল সচিন তেন্ডুলকরের। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সচিনের অসাধারণ ইনিংস ভারতীয় ক্রিকেটের ইতিহাসে অন্যতম সেরা। সচিনের এই সাফল্যের কারণ ছিল বিশেষ প্রস্তুতি। বিশ্বকাপ চলাকালীন নেটে একদিনও অনুশীলন করেননি তিনি। শুধু ঘণ্টার পর ঘণ্টা থ্রো-ডাউনে ব্যাটিং অনুশীলন করে গিয়েছেন। বিপক্ষের বোলারদের নিয়ে চিন্তাও করেছেন বিস্তর। এরই ফলে সাফল্য পান মাস্টার ব্লাস্টার। এমনই জানালেন সেই বিশ্বকাপে ভারতীয় দলের অন্যতম সদস্য হরভজন সিং।
সচিনকে নিয়ে স্মৃতিচারণায় হরভজন বলেছেন, 'সচিন তেন্ডুলকরের মহত্ব কোথায়, সেটা বোঝার জন্য ছোট একটি গল্পই যথেষ্ট। ২০০৩ সালে দক্ষিণ আফ্রিকায় বিশ্বকাপ চলাকালীন পাজি একদিনও নেটে অনুশীলন করেননি। সেবারের বিশ্বকাপে ভারতীয় দলের বোলিং বিভাগ ভালো পারফরম্যান্স দেখাচ্ছিল। কিন্তু জাভাগল শ্রীনাথ, আশিস নেহরা, জাহির খান, অনিল কুম্বলে বা আমি নেটে একবারও সচিনকে বল করিনি। ২০০৩ সালে আমাদের কাছে এখনকার মতো থ্রো-ডাউনের জন্য কোনও যন্ত্রপাতি (রোবো-আর্ম) ছিল না। কিন্তু আমাদের দলে শ্যামল নামে একজন ভদ্রলোক ছিলেন। তিনি ১৮ গজ দূর থেকে পাজিকে থ্রো-ডাউন দিতেন। মাঝেমধ্যে ১৬ গজ দূর থেকেও থ্রো-ডাউনে ব্যাটিং অনুশীলন করতেন পাজি। তিনি ঘণ্টার পর ঘণ্টা ধরে থ্রো-ডাউনে অনুশীলন করে যেতেন। তাঁর প্রস্তুতি ছিল অসাধারণ। বিপক্ষের বোলাররা কীভাবে বোলিং করবে, সেটা কল্পনা করতেন তিনি। বিপক্ষের প্রতিটি বোলারকে কীভাবে সামাল দিতে হবে, সেটা জানতেন পাজি।'
২০০৩ বিশ্বকাপে ৬০০-রও বেশি রান করেন সচিন। সেঞ্চুরিয়নে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ৯৮ রানই তাঁর সেরা ইনিংস। সেই ম্যাচে শোয়েব আখতারের একটি শর্ট বল থার্ড ম্যানের মাথার উপর দিয়ে গ্যালারিতে পাঠিয়ে দেন সচিন। সেই অবিশ্বাস্য শট এখনও ক্রিকেটপ্রেমীদের স্মৃতিতে উজ্জ্বল। নেটে অনুশীলন না করেই এই ইনিংস খেলা শুধু সচিনের পক্ষেই সম্ভব।
হরভজন বলেছেন, ‘পাজি প্রায় নিখুঁত ক্রিকেটার ছিলেন। একজন ব্যক্তি হিসেবে তিনি সবার কাছেই আদর্শ। কীভাবে মর্যাদা বজায় রেখে নম্রভাবে জীবনযাপন করা যায়, সেটা তাঁকে দেখে শেখা যায়। ভারতে তিনি ঈশ্বরতুল্য। সারা দেশেই তাঁর অনুরাগীর সংখ্যা বিশাল। পাজির সঙ্গে আমার অনেক স্মৃতি আছে। তিনি আমার জীবনে আলোর মতো। তাঁর সঙ্গে অনেক ব্যক্তিগত ও আবেগের স্মৃতি আছে। সেসব কারও কাছে প্রকাশ করার মতো নয়।’
আরও পড়ুন-
IPL 2023: শেষ ওভারে কামাল মোহিত শর্মার, উত্তেজক ম্যাচে জয় গুজরাট টাইটানসের
IPL 2023: রবিবারই কি ইডেনে শেষবার খেলতে নামছেন ধোনি? দর্শকদের উন্মাদনা তুঙ্গে
চুনী গোস্বামীর নামাঙ্কিত গেট উদ্বোধন, সুনীল গাভাসকরের মুখে জয় মোহনবাগান