সংক্ষিপ্ত
বিদেশের মাটিতে বাজিমাৎ করলেন তিনি।
টেস্ট ক্রিকেটে প্রথমবার হাফ সেঞ্চুরি। আর গ্যালারিতে বসে সেই দৃশ্যের সাক্ষী থাকলেন নিজের বাবা। নিজের ছেলের এহেন সাফল্য দেখার থেকে বেশি আনন্দের কি আর কিছু হতে পারে? যেকোনও অভিভাবকের কাছে যা অন্যতম সেরা একটি মুহূর্ত। ভারতের উদীয়মান তারকা নীতীশ কুমার রেড্ডি। আএ সেই ৫০ রান করতেই, সুপারহিট ছবি ‘পুষ্পা’-র স্টাইলে সেলিব্রেশন করলেন তিনি।
মেলবোর্ন টেস্টে অস্ট্রেলিয়ার পাহাড় প্রমাণ ৪৭৪ রানের বোঝা মাথায় নিয়ে যখন তৃতীয় দিনের শুরু থেকে ধুকতে শুরু করেছিল ভারত, তখনই যেন একেবারে ত্রাতার ভূমিকায় অবতীর্ণ হলেন নীতীশ। প্রথম একাদশে তাঁকে রাখা নিয়ে নানারকম মতামত সামনে এসেছিল। কিন্তু বর্ডার গাভাসকর সিরিজে নিজেকে প্রমাণ করতে কোনওরকম খামতি রাখলেননা এই তরুণ অলরাউন্ডার।
ঋষভ পন্থ এবং রবীন্দ্র জাদেজার মতো গুরুত্বপূর্ণ দুটি উইকেটের পতনের পর, মাঠে নেমে দলকে ক্রমাগত অক্সিজেন দিয়ে গেলেন নীতীশ এবং তাঁর সঙ্গী হলেন ওয়াশিংটন সুন্দর। নীতীশের ব্যাট থেকে ৮১ বলে এল হাফ সেঞ্চুরি। তবে যে কঠিন পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে এই দায়িত্ব নিয়ে রান করলেন নীতিশ, তা নিঃসন্দেহে প্রশংসার দাবি রাখে। শুধু তাই নয়, ভারতকে ফলো অন থেকেও বাঁচাও তিনি।
এদিকে প্রথমবার হাফ সেঞ্চুরি করেই একেবারে ‘পুষ্পা’আল্লু অর্জুনের সিগনেচর স্টাইলে করলেন সেলিব্রেশন। ব্যাট হাতে বুঝিয়ে দিলেন, ‘ঝুঁকেগা নহি’। আর গ্যালারিতে তখন উচ্ছ্বসিত নীতিশের বাবা। এই মুহূর্তে সোশ্যাল মিডিয়ার চর্চায় সেই সময়ের ভিডিও।
এই অর্ধ শতরানের সৌজন্যে কিংবদন্তী অনিল কুম্বলের মাইলস্টোনও স্পর্শ করে ফেলেন নীতীশ। কারণ, অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে আট নম্বরে ব্যাট করে হাফ সেঞ্চুরির রেকর্ড গড়লেন তিনি। চলতি সিরিজে ব্যাট হাতে রীতিমতো নজর কেড়েছেন দক্ষিণী এই ক্রিকেটার। পার্থ টেস্টে ৪১ এবং ৩৮ রানে নটআউট ছিলেন নীতিশ। অ্যাডিলেডে দটি ইনিংসেই ৪২ করে রান এসেছিল তাঁর ব্যাট থেকে। এছাড়া গাব্বায় ১৬ রানে আউট হলেও মেলবোর্নে আবারও ফর্মে ফিরলেন তিনি।
আরও খবরের আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।