সংক্ষিপ্ত
৫ অক্টোবর শুরু হচ্ছে এবারের ওডিআই বিশ্বকাপ। শেষমুহূর্তের প্রস্তুতিতে ব্যস্ত আইসিসি ও বিসিসিআই। যে ১০টি স্টেডিয়ামে ম্যাচ হবে, সেখানে এখন কাজ চলছে।
আধুনিক ক্রিকেটে ব্যাট, প্যাড, গ্লাভস, হেলমেট, বিভিন্ন ধরনের গার্ড, জার্সির দাম অনেকটাই বেশি। তবে তার চেয়ে অনেক বেশি দাম স্টাম্পের। বিশেষ করে ওডিআই, টি-২০ ফর্ম্যাটে যে এলইডি স্টাম্প ব্যবহার করা হয়, সেগুলির দাম আকাশছোঁয়া। এবারের ওডিআই বিশ্বকাপে যে এলইডি স্টাম্প ব্যবহার করা হবে, তার প্রতিটির দাম ৪০,০০০ থেকে ৫০,০০০ মার্কিন ডলারের মধ্যে যা ভারতীয় মুদ্রায় ৩২ থেকে ৪১ লক্ষ টাকার মতো। বিভিন্ন দেশ ও সংস্থা বিশেষে অবশ্য দামের হেরফের হয়। জিং, স্টাম্পভিশন ও ইন্টেলিকন সংস্থা এলইডি স্টাম্প তৈরি করে। ওডিআই বিশ্বকাপে জিং সংস্থার তৈরি এলইডি স্টাম্প ব্যবহার করবে আইসিসি। ফলে শুধু স্টাম্পের জন্যই বিপুল অর্থ বরাদ্দ করতে হচ্ছে। বিশাল দামের জন্য ম্যাচ শেষ হওয়ার পর ক্রিকেটারদের স্টাম্প তুলে নেওয়া নিষিদ্ধ করা হচ্ছে।
ক্রিকেট ম্যাচে অনেকবারই বোলিংয়ে বা ফিল্ডারদের থ্রোয়ে স্টাম্প ভেঙে গিয়েছে। তবে সেগুলি বেশিরভাগই ছিল সাধারণ কাঠের স্টাম্প। এলইডি স্টাম্পও ভেঙে যেতে দেখা গিয়েছে। এই স্টাম্প ভেঙে গেলে সারানো যায়। তবে তার খরচও অনেক। এলইডি স্টাম্পের পাশাপাশি এলইডি স্টাম্পের ব্যবহারও শুরু করেছে আইসিসি। স্টাম্প ও বেলে বল লাগলেই আলো জ্বলে ওঠে। ফলে আম্পায়ারদের সুবিধা হয়। সেই কারণেই এই ধরনের স্টাম্প ও বেল ব্যবহার করা হচ্ছে। স্টাম্পে মাইক্রোফোন ও ক্যামেরা থাকে। সেই কারণেই খরচ বেড়ে গিয়েছে। তবে ক্রিকেটে স্পনসরের অভাব নেই। ফলে সহজেই খরচ সামাল দিতে পারছে আইসিসি।
ক্রিকেটে তৃতীয় আম্পায়ারের ব্যবহার শুরু হওয়ার পর থেকে ক্যামেরার ব্যবহার বেড়ে গিয়েছে। তবে অনেক ম্যাচেই তৃতীয় আম্পায়ারের সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সেই কারণে ডিআরএস চালু করেছে আইসিসি। আম্পায়ারদের সিদ্ধান্ত নিয়ে যাতে কোনওরকম প্রশ্ন না ওঠে, তার জন্যই অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করা হচ্ছে। এর ফলে খরচও বেড়ে গিয়েছে। এই খরচ সামাল দিতে হচ্ছে আইসিসি-কে।
এবারের ওডিআই বিশ্বকাপের জন্য ইডেন গার্ডেন্স-সহ বিভিন্ন স্টেডিয়ামের আধুনিকীকরণের কাজ চলছে। বিশ্বকাপ শুরু হতে দেড় মাসের মতো বাকি। ফলে সেপ্টেম্বরের মধ্যেই স্টেডিয়ামগুলির কাজ শেষ করতে হবে। কয়েকদিন আগেই ইডেন পরিদর্শনে এসেছিলেন আইসিসি ও বিসিসিআই কর্তারা। তাঁরা ইডেনে শৌচাগার উন্নত করতে বলেছেন। সেপ্টেম্বরে ফের পরিদর্শন হবে। তার মধ্যেই যাবতীয় কাজ শেষ করার লক্ষ্যে সিএবি।
আরও পড়ুন-
টি-২০ ফর্ম্যাটে ভারতের বোলারদের মধ্যে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে সবচেয়ে বেশি উইকেট কুলদীপের
সৌরভ-সচিন জুটির মতোই হয়ে উঠতে পারেন শুবমান-যশস্বী, আশাবাদী রবিন উথাপ্পা
Rohit Sharma : লক্ষ্য ওডিআই বিশ্বকাপ, জিমে গা ঘামাচ্ছেন ভারতের অধিনায়ক রোহিত শর্মা