সংক্ষিপ্ত
প্রথমবার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে আইসিসি ইভেন্ট আয়োজন করে বিশেষ লাভ হয়নি। বরং আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়েছে আইসিসি। ফলে ভবিষ্যতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে আর আইসিসি ইভেন্ট আয়োজন করা হবে কি না, সে বিষয়ে সংশয় তৈরি হয়েছে।
ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে টি-২০ বিশ্বকাপ কতটা সফল হল, পরিকাঠামো-সহ যাবতীয় ব্যবস্থাপনা কেমন ছিল খতিয়ে দেখতে ৩ সদস্যের কমিটি গঠন করল আইসিসি। এই কমিটিতে আছেন নিউজিল্যান্ডের প্রাক্তন ব্যাটার রজার টোস, আইসিসি ডিরেক্টর লসন নাইডু ও ইমরান খাজা। আইসিসি ডিরেক্টর পদে থাকার পাশাপাশি ডেপুটি চেয়ারম্যান হিসেবেও দায়িত্ব পালন করছেন ইমরান। নিউ ইয়র্ক, ফ্লোরিডা ও ডালাসে টি-২০ বিশ্বকাপের ম্যাচ আয়োজন করে ২০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার ক্ষতি হয়েছে আইসিসি-র। কোথায় সমস্যা হল, সেটা খতিয়ে দেখতেই কমিটি গঠন করা হয়েছে। আইসিসি-র পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, ‘টি-২০ বিশ্বকাপ কেমন হয়েছে, সেটা খতিয়ে দেখা হবে বলে জানিয়েছে আইসিসি বোর্ড। আইসিসি-র ৩ জন ডিরেক্টর রজার টোস, লসন নাইডু ও ইমরান খাজা এ বছরের শেষদিকে আইসিসি বোর্ডের কাছে রিপোর্ট জমা দেবেন।’
টি-২০ বিশ্বকাপে দুর্নীতি হয়েছে?
আইসিসি সূত্রে জানা গিয়েছে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে টি-২০ বিশ্বকাপের ম্যাচগুলি আয়োজন করা সংক্রান্ত খরচের জন্য ১৫০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার বরাদ্দ করা হয়েছিল। কিন্তু সেই বাজেট অনেক বেড়ে যায়। আইসিসি বোর্ডের কয়েকজন প্রভাবশালী সদস্য এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মাঠগুলিতে নিম্নমানের ড্রপ-ইন পিচ ব্যবহার করা হয়, টিকিট বিক্রি সংক্রান্ত ব্যবস্থা, লজিসটিকস সংক্রান্ত ব্যবস্থাপনাও ঠিক ছিল না। এসবের ফলে আইসিসি-র সমস্যা বেড়েছে। কোন পদ্ধতিতে বিভিন্ন সংস্থাকে বরাত দেওয়া হয়েছিল, সেটা খতিয়ে দেখছে আইসিসি। কয়েকজন শীর্ষস্থানীয় এগজিকিউটিভের ভূমিকাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
দুর্নীাতির দায়ে পদত্যাগ আইসিসি কর্তার?
টি-২০ বিশ্বকাপের পরেই পদত্যাগ করেছেন আইসিসি হেড অফ ইভেন্টস ক্রিস টেটলি। তিনি দুর্নীতির দায়ে পদত্যাগ করেছেন বলে মনে করছেন অনেকে। তবে এ বিষয়ে আইসিসি-র পক্ষ থেকে কিছু জানানো হয়নি।
আরও খবরের আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।
আরও পড়ুন-
T20 World Cup: টি-২০ বিশ্বকাপের সেরা একাদশ বাছল আইসিসি, কতজন ভারতীয় জায়গা পেলেন?