IND vs SA 5th T20: হার্দিক ঝড়। মাত্র ১৬ বলে হাফ সেঞ্চুরি করলেন এই তারকা অলরাউন্ডার। বলা যেতেই পারে, সত্যিই যেন পিকচার পারফেক্ট মুভি। অনবদ্য ব্যাটিং। নিঃসন্দেহে ২২ গজে ঝড় তুললেন ভারতের অন্যতম তারকা হার্দিক পান্ডিয়া (ind vs sa)।
IND vs SA 5th T20: হার্দিক ঝড়ের পরেই মাঠের বাইরে মুডে মিস্টার পান্ডিয়া। দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে পঞ্চম তথা শেষ টি-২০ ম্যাচে জয়ের পিছনে অন্যতম বড় অবদান তাঁর। রীতিমতো বিধ্বংসী ব্যাটিং। শুরুটাই করলেন ছয় মেরে।তাঁকে থামাতেই পারছিলেন না দক্ষিণ আফ্রিকার বোলাররা। একটা সময়, প্রোটিয়া বোলাররা বুঝতেই পারছিলেন না যে, কোথায় বল করা ঠিক হবে! এটাকেই বলে হার্দিক ঝড়। আহমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদী স্টেডিয়ামে, দক্ষিণ আফ্রিকাকে কার্যত, একাই তছনছ করে দিলেন হার্দিক পান্ডিয়া (fastest t20i fifty)।
জীবনের অন্যতম সেরা ইনিংস খেলেই প্রিয়তমার কাছে পাঠিয়ে দিলেন চুম্বন
সেই হার্দিক ম্যাচ জিতে যেন পুরো মুডে। নিজে মুখেই বললেন সেই কথা। প্রসঙ্গত, আহমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদী স্টেডিয়ামে শুক্রবার, চলতি টি-২০ সিরিজের পঞ্চম তথা শেষ ম্যাচে মুখোমুখি হয় ভারত বনাম দক্ষিণ আফ্রিকা।
আর সেই ম্যাচেই, শুরু হয় হার্দিক ঝড়। মাত্র ১৬ বলে হাফ সেঞ্চুরি করলেন এই তারকা অলরাউন্ডার। বলা যেতেই পারে, সত্যিই যেন পিকচার পারফেক্ট মুভি। অনবদ্য ব্যাটিং। নিঃসন্দেহে ২২ গজে ঝড় তুললেন ভারতের অন্যতম তারকা হার্দিক পান্ডিয়া (ind vs sa)। একের পর এক চার-ছয়ের বন্যা বইয়ে দিলেন আহমেদাবাদে। উপহার দিলেন ২৫ বলে ৬৩ রানের বিধ্বংসী ইনিংস। স্ট্রাইক রেট ২৫২.০০। ৫টি চার এবং ৫টি ছয় ছিল তাঁর ইনিংসে। আর হাফ সেঞ্চুরি করেই সোজা গ্যালারির দিকে ফ্লাইং কিস।
কারণ, সেখানে তখন বসে হার্দিকের বান্ধবী মাহিকা শর্মা। জীবনের অন্যতম সেরা ইনিংস খেলেই প্রিয়তমার কাছে পাঠিয়ে দিলেন চুম্বন। গোটা গ্যালারি তখন হার্দিকের অবিস্মরণীয় ইনিংসে মুগ্ধ।
কী বলছেন হার্দিক?
ম্যাচ শেষে হার্দিক জানালেন, “এই মাঠে বহু ম্যাচ খেলেছি। এখানকার পিচ হাতের তালুর মতো চিনি আমি। ঠিক জানতাম যে, ব্যাটে-বলে ভালো কানেক্ট হবে। তাই প্রথম বলেই ছক্কা মারব ঠিক করে রেখেছিলাম। খেলতে নামার আগে আমার বান্ধবীকে সেই কথা বলেওছিলাম।"
উল্লেখ্য, ভারতের জার্সিতে হার্দিকের এই ইনিংস আন্তর্জাতিক টি-২০ ক্রিকেটের ইতিহাসে দ্বিতীয় দ্রুততম অর্ধ শতরান। এই প্রসঙ্গে তারকা অলরাউন্ডারের কথায়, “আমি সত্যিই জানতাম না এই বিষয়টা। আউট হয়ে ফেরার পর, আমাকে একজন জানাল। তারপর ভাবলাম, একটুর জন্য যুবি ভাইয়ের রেকর্ডটা ভাঙতে পারলাম না।” তবে হার্দিক মজা করে বলেন এই কথাটি। তিনি নিজেও খুব খুশি যে, এই রেকর্ডটি এখনও যুবরাজ সিং-এর দখলেই রয়েছে বলে।
হার্দিক বলছেন, “জীবনে কঠিন সময় আসবেই। কিন্তু সেখান থেকে আপনি ঠিক কীভাবে ফিরে আসছেন সেটাই হল আসল বিষয়। আমি নিজেকে সেইভাবেই তৈরি করেছি এবং প্রস্তুতি নিয়েছি। অবশ্যই অনেক পরিশ্রম করেছি। আজ তার ফসল পেয়েছি। এই ইনিংসটা খুবই জরুরি ছিল আমার জন্য। আমি ম্যাচের সেরা হওয়ার জন্য কখনোই খেলতে নামি না। আমি মাঠে নামি দেশকে জেতাতে। আর এই ম্যাচে সেটাই করে দেখাতে পেরেছি। আমি ভীষণ খুশি।"
আরও খবরের আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।