সংক্ষিপ্ত
আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির প্রথম ম্যাচে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে খেলতে নামলেন তিনি।
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সাড়ে ৪০০ উইকেট নেওয়া মহম্মদ শামি রীতিমতো সংশয়ে ছিলেন। এমনকি, সংশয়ে ছিলেন যে, আদৌ সুস্থভাবে মাটিতে পা রেখে আগের মতো হাঁটতে পারবেন তো? গত ১৪ মাস মাঠের বাইরে কী দুঃসহ যন্ত্রণার মধ্যে দিয়ে কাটাতে হয়েছে, ভোলেননি তারকা মহম্মদ শামি।
ভারতীয় দলের এই পেসার জানিয়েছেন, “বিশ্বকাপে আমি দারুণ ছন্দে ছিলাম। কিন্তু হঠাৎ নিজেকে অপারেশন টেবিলে দেখতে পেলাম। সেই ফর্মের পর চোটটা মেনে নেওয়া সত্যিই খুব কঠিন ছিল।”
শামির কথায়, “প্রথম ২ মাস খালি মনে হত যে, আদৌ আর দেশের হয়ে নামতে পারব তো?” টানা ১৪ মাসের বিরতি যে একজনকে কীভাবে মানসিক দিক দিয়ে ভেঙে দিতে পারে, সেটা এই ১৪ মাসে উপলব্ধি করেছেন মহম্মদ শামি।
তিনি বলেছেন “আমি ভাবতামম কবে মাটিতে পা দিয়ে হাঁটতে পারব। একজন খেলোয়াড়ের পক্ষে হাঁটতে না পারা যে কতটা কষ্টকর, তা বলে বোঝানো যাবে না। মাঠে দৌড়তে থাকা একজন ক্রীড়াবিদের পক্ষে ক্রাচ নিয়ে হাঁটা অনেক বেশি কষ্টের। ভাবতে থাকতাম যে, আদৌ হাঁটতে পারব তো আমি? আদৌ খেলতে পারব তো?”
দুমাস পর প্রথমবার মাটিতে পা রাখার মুহূর্তে যথেষ্ট ভয় পেয়েছিলেন শামি। তাঁর কথায়, “বিশ্বাস করুন, আগে কোনওদিন এত ভয় পাইনি। মনে হচ্ছিল প্রথমবার হাঁটতে শিখছি।”
আর সেই শামি এদিন মাঠে নেমেই উইকেট নিলেন। এইভাবেই তো ফিরে আসতে হয়।
আরও খবরের আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।