সংক্ষিপ্ত
এবারের আইপিএল-এর প্রথম ম্যাচে চোট পেয়ে ছিটকে গিয়েছেন নিউজিল্যান্ডের তারকা কেন উইলিয়ামসন। এই চোট তাঁকে বেশ কিছুদিন ভোগাতে পারে বলে আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।
ডান হাঁটুর চোটের জন্য ওডিআই বিশ্বকাপ থেকেও ছিটকে যেতে পারেন নিউজিল্যান্ডের অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন। তাঁর ডান হাঁটুতে অস্ত্রোপচার করাতে হবে। ফলে আগামী কয়েক মাস তাঁকে মাঠের বাইরে থাকতে হবে। রিহ্যাবের পর প্রতিযোগিতামূলক ম্যাচ খেলার জন্য তৈরি হতে যে সময় লাগবে, তাতে বিশ্বকাপে খেলা কার্যত সম্ভব নয়। ক্রিকেট নিউজিল্যন্ডের পক্ষ থেকে উইলিয়ামসনকে উদ্ধৃত করে জানানো হয়েছে, 'আমি গত কয়েকদিন ধরে সবার কাছ থেকে সবরকমভাবে সাহায্য পেয়েছি। এর জন্য গুজরাট টাইটানস ও নিউজিল্যান্ড ক্রিকেটকে ধন্যবাদ জানাতে চাই। এভাবে চোট পাওয়ায় আমি স্বাভাবিকভাবেই হতাশ। তবে আমি এখন যত দ্রুত সম্ভব অস্ত্রোপচার করিয়ে নিতে চাইছি। তারপর রিহ্যাব শুরু করব। দ্রুত মাঠে ফেরাই আমার লক্ষ্য। আমার মাঠে ফিরতে কিছুটা সময় লাগবে। তবে যত দ্রুত সম্ভব মাঠে ফেরার জন্য যা করা দরকার সেটা আমি করব। আগামী কয়েক মাস ধরে আমাকে ফিট হয়ে ওঠার জন্য লড়াই চালিয়ে যেতে হবে।'
এবারের আইপিএল-এর উদ্বোধনী ম্যাচে গুজরাট টাইটানসের হয়ে চেন্নাই সুপার কিংসের বিরুদ্ধে ফিল্ডিং করার সময় বাউন্ডারি লাইনে লাফিয়ে উঠে ক্যাচ নিতে গিয়ে হাঁটুতে চোট পান উইলিয়ামসন। তাঁকে স্ক্যান করানোর জন্য নিয়ে যাওয়া হয়। এরপর তাঁকে দেশে ফেরত পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেয় গুজরাট টাইটানস ম্যানেজমেন্ট। দেশে ফেরার পর নিউজিল্যান্ড ক্রিকেটের মেডিক্যাল টিম উইলিয়ামসনের চোট পরীক্ষা করে। ফিট হয়ে ওঠার জন্য এই ক্রিকেটারকে অস্ত্রোপচার করাতে হবে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। আগামী ৩ সপ্তাহের মধ্যেই অস্ত্রোপচার করা হবে বলে জানা গিয়েছে। এরপর অন্তত ৬ মাস মাঠের বাইরে থাকতে হবে উইলিয়ামসনকে। সেই কারণেই বিশ্বকাপে হয়তো খেলতে পারবেন না এই ব্যাটার। কারণ, ভারতের মাটিতে বিশ্বকাপ শুরু হচ্ছে অক্টোবরে। এখন উইলিয়ামসনের হাঁটু ফুলে আছে। এই অবস্থায় অস্ত্রোপচার করা সম্ভব নয়। ফোলা ভাব কমলে তারপর অস্ত্রোপচারের দিন ঠিক করবেন চিকিৎসকরা।
নিউজিল্যান্ডের প্রধান কোচ গ্যারি স্টিড অবশ্য এখনই অধিনায়ককে বাদ দিয়ে বিশ্বকাপ খেলার কথা ভাবছেন না। তাঁর বক্তব্য, ‘আমাদের দৃষ্টিকোণ থেকে আমরা এখনও কেনের বিশ্বকাপে খেলার আশা ছাড়তে নারাজ। আগামী ৬ মাসে অনেককিছুই হতে পারে। কেন বিশ্বকাপের আগে ফিট হয়ে উঠতেই পারে। কেনকে অনেকে শুধু একজন খেলোয়াড় হিসেবে দেখতে পারেন। কিন্তু অধিনায়ক হিসেবে ওর আলাদা গুরুত্ব আছে। ব্যক্তি হিসেবেও দলের সবার কাছে ও বিশেষ সম্মানের। ওর দলে থাকা বিশাল পার্থক্য গড়ে দেয়। আমরা সবাই এই সময়ে কেনের পাশে আছি। ও কঠিন সময়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে। ও যে এভাবে চোট পাবে, সেটা কেউই ভাবেনি। অভাবনীয়ভাবে ও চোট পেল। এই ধরনের চোট দীর্ঘদিন ভোগায়।’
আরও পড়ুন-
ঝাড়খণ্ডের বাসিন্দাদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি আয়কর দেওয়ার নজির ধোনির