সংক্ষিপ্ত
ওডিআই বিশ্বকাপে ভারতীয় দল দুর্দান্ত পারফরম্যান্স দেখাচ্ছে। কিন্তু এরই মধ্যে ভারতীয় ক্রিকেট মহলে খারাপ খবর। প্রয়াত হলেন কিংবদন্তি স্পিনার বিষেণ সিং বেদী।
নবমীর দিন প্রয়াত হলেন ভারতীয় ক্রিকেট দলের কিংবদন্তি স্পিনার বিষেণ সিং বেদী। তাঁর বয়স হয়েছিল ৭৭ বছর। এই কিংবদন্তির প্রয়াণে ভারতীয় ক্রিকেট মহলে শোকের ছায়া। ভারতের হয়ে ১৯৬৭ থেকে ১৯৭৯ পর্যন্ত ৬৭টি টেস্ট ম্যাচ খেলেন বেদী। তিনি টেস্টে ২৬৬ উইকেট নেন। ওডিআই ফর্ম্যাটে খুব বেশি ম্যাচ খেলার সুযোগ পাননি এই স্পিনার। তিনি ১০টি ওডিআই ম্যাচ খেলে ৭ উইকেট নেন। তবে ওডিআই ফর্ম্যাটে ভারতীয় দল যে ম্যাচে প্রথম জয় পায়, সেই ম্যাচে ভালো পারফরম্যান্স দেখান বেদী। ১৯৭৫ সালের ওডিআই বিশ্বকাপে একটি ম্যাচেই জয় পায় ভারত। সেই জয় এসেছিল পূর্ব আফ্রিকার বিরুদ্ধে। সেই ম্যাচে ১২ ওভার বল করে ৮টি মেডেন-সহ ৬ রান দিয়ে ১ উইকেট নেন বেদী।
ছয় ও সাতের দশকে ভারতীয় ক্রিকেট দলের স্পিন বোলিং বিভাগের চার অস্ত্র ছিলেন বেদী, এরাপল্লি প্রসন্ন, বি এস চন্দ্রশেখর ও এস ভেঙ্কটরাঘবন। সেই সময় দেশে হোক বা বিদেশে, ভারতের স্পিন বোলিং আক্রমণ সামলাতে গিয়ে সব দলের ব্যাটাররাই সমস্যায় পড়তেন। বেদী, প্রসন্ন, চন্দ্রশেখর ও ভেঙ্কটরাঘবন অসাধারণ সাফল্য পেয়েছেন।
১৯৪৬ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর অবিভক্ত পাঞ্জাবের অমৃতসরে জন্ম হয় বেদীর। তাঁর ছেলে অভিনেতা ও মডেল অঙ্গদ বেদী এবং পুত্রবধূ অভিনেত্রী নেহা ধূপিয়া।
বাঁ হাতি স্পিনার ছিলেন বেদী। তিনি ২২টি টেস্ট ম্যাচে ভারতীয় দলকে নেতৃত্ব দেন। বরাবরই ডাকাবুকো ছিলেন এই ক্রিকেটার। মাঠে যেমন অসাধারণ পারফরম্যান্স ছিল, তেমনই যে কোনও বিষয়েই অকপট ছিলেন তিনি। সেই কারণে বারবার বিতর্কেও জড়ান। সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের কট্টর সমালোচক ছিলেন বেদী। সেই কারণে তিনি বাংলার ক্রিকেটপ্রেমীদের রোষে পড়েন। তবে তাতে নিজের মতামত বদলাননি বেদী।
১৯৭০ সালে এই কিংবদন্তি ক্রিকেটারকে পদ্মশ্রী সম্মানে ভূষিত করা হয়। ২০০৪ সালে সি কে নাইডু লাইফটাইম অ্যাচিভমেন্ট অ্যাওয়ার্ড পান বেদী। তিনি আরও অনেক সম্মান পেয়েছেন। আজীবন ক্রিকেট মহলে শ্রদ্ধার পাত্র ছিলেন তিনি।
ঘরোয়া ক্রিকেটে নর্দার্ন পাঞ্জাব ও দিল্লির হয়ে খেলেন বেদী। তিনি ১৫ বছর বয়স থেকে নর্দার্ন পাঞ্জাবের হয়ে খেলা শুরু করেন। ১৯৬১ থেকে ১৯৬৭ মরসুম পর্যন্ত নর্দার্ন পাঞ্জাবের হয়ে খেলেন এই স্পিনার। এরপর ১৯৬৮ থেকে ১৯৮১ মরসুম পর্যন্ত দিল্লির হয়ে খেলেন। দিল্লির হয়েই ঘরোয়া ক্রিকেটে সবচেয়ে ভালো পারফরম্যান্স দেখান বেদী। তিনি ৩৭০টি ম্যাচ খেলে ১,৫৬০ উইকেট নেন। দিল্লির হয়ে ১৯৭৮-৭৯ এবং ১৯৭৯-৮০ মরসুমে রঞ্জি ট্রফি চ্যাম্পিয়ন হন বেদী। তাঁর সময়ে ২ বার রঞ্জি ট্রফিতে রানার্স হয় দিল্লি। ৫ বছরের মধ্যে ৪ বার রঞ্জি ট্রফি ফাইনাল খেলে দিল্লি।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে। জয়েন করুন- https://www.whatsapp.com/channel/0029Va9a73wK0IBjbT91jj2D
আরও পড়ুন-
নবরাত্রি পালনে অংশ নিয়ে বিতর্কে প্রাক্তন পাক ক্রিকেটার, গরবা নাচে পা মিলিয়ে আরতি করতেই ভিডিও ভাইরাল
দর্শকের রেকর্ড Disney+Hotstar-এ, বিশ্বকাপ ক্রিকেটে দর্শক সংখ্যা ছাড়াল ৪ কোটি