Ranji Trophy 2025: উত্তরাখণ্ডের দ্বিতীয় ইনিংস শেষ হয় ২৬৫ রানে। ফলে, বাংলার সামনে লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১৫৬ রানের। 

Ranji Trophy 2025: দুরন্ত জয় এবং অনবদ্য বোলিং মহম্মদ শামির ((ranji trophy 2025-26 schedule)। তাঁর স্পেলের উপর নির্ভর করেই কার্যত, অসম্ভবকে সম্ভব করে দেখাল বাংলা। উত্তরাখণ্ডকে ৮ উইকেটে হারিয়ে রঞ্জি অভিযান শুরু করলেন অভিমুন্যরা (bengal vs uttarakhand ranji live score)। 

দুরন্ত জয় বাংলার

এই ম্যাচে টসে জিতে বল বল করার সিদ্ধান্ত নেন বাংলার অধিনায়ক অভিমুন্য ঈশ্বরণ। আর ব্যাট করতে নেমে বেজায় বিপাকে পড়ে উত্তরাখণ্ড। মাত্র ১২ রানে ফিরে যান ওপেনার অবনীশ সুধা এবং ২৩ রান করেন দলের উইকেটরক্ষক-ব্যাটার প্রশান্ত চোপড়া। অন্যদিকে, অধিনায়ক কুনাল চান্ডেলার সংগ্রহে মাত্র ৭ রান। নিঃসন্দেহে মিডল অর্ডারে নেমে অধিনায়কোচিত ইনিংস একেবারেই খেলতে পারেননি তিনি।

তবে ভূপেন লালওয়ানি বেশ ভালো লড়াই করেন। গুরুত্বপূর্ণ ৭১ রান যোগ করেন তিনি স্কোরবোর্ডে। সেইসঙ্গে, ১৭ রান করেন শাশ্বত ডাঙ্গওয়াল, যুবরাজ চৌধুরীর ঝুলিতে ১৯ রান এবং জগদীশা সুচিতের সংগ্রহে ২৫ রান। অন্যদিকে, অভয় নেগি ২৮ রান এবং জনমেজয় জোশী ৫ রান যোগ করেন। রাজন কুমার এবং দেবেন্দ্র সিং বোরা খালি হাতে প্যাভিলিয়নে ফেরেন।

শেষপর্যন্ত, ২১৩ রানে শেষ হয়ে যায় উত্তরাখণ্ডের ইনিংস। বাংলার হয়ে ম্যাচের প্রথম দিন আগুনে বোলিং করেন সুরজ সিন্ধু জয়সওয়াল। অন্যদিকে, ৩টি করে উইকেট পেয়েছেন মহম্মদ শামি এবং ঈশান পোড়েল।

শামি ধামাকা

জবাবে ব্যাট করতে নেমে, প্রথম ইনিংসে বাংলার স্কোর দাঁড়ায় ৩২৩ রান। অধিনায়ক অভিমুন্য ঈশ্বরণকে খালি হাতে ফেরান দেবেন্দ্র সিং বোরা। তবে দুর্দান্ত লড়াই করেন সুদীপ চ্যাটার্জী। তিনি ৯৮ রানের অসাধারণ ইনিংস উপহার দেন। অপরদিকে, সুদীপ কুমার ঘরামি করেন ১৫ রান, অনুষ্টুপ মজুমদারের ঝুলিতে ৩৫ রান এবং উইকেটরক্ষক-ব্যাটার অভিষেক পোড়েলের সংগ্রহে ২১ রান।

তবে বাংলার হয়ে আরেকজন হাল ধরেন। তিনি হলেন সুমন্ত গুপ্ত। তাঁর ব্যাট থেকে আসে গুরুত্বপূর্ণ ৮২ রান। এছাড়া বিশাল ভাটি করেন ১৫, সুরজ সিন্ধু জয়সওয়াল ২০, আকাশ দীপ ১৯ এবং মহম্মদ শামি ১০ রান যোগ করেন স্কোরবোর্ডে। তবে ঈশান পোড়েল খালি হাতে ফেরেন।

শেষপর্যন্ত, ৩২৩ রানে শেষ হয় বাংলার ইনিংস। তবে উত্তরাখণ্ডের হয়ে দেবেন্দ্র সিং বোরা অনবদ্য বোলিং করেন। একাই নেন ৬ উইকেট। এছাড়া ১টি করে উইকেট পেয়েছেন রাজন কুমার, জনমেজয় জোশী, অবনীশ সুধা এবং জগদীশা সুচিত।

এরপর দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নামে উত্তরাখণ্ড। ওপেনার অবনীশ সুধা ১ রানে ফিরে গেলেও হাল ধরেন প্রশান্ত চোপড়া। তাঁর সংগ্রহে ৮২ রান। অন্যদিকে, অধিনায়ক কুনাল চান্ডেলা ৭২ রানের অসাধারণ ইনিংস উপহার দেন।

বাংলার টিম কম্বিনেশন

এছাড়া ভূপেন লালওয়ানি ২২ রান, শাশ্বত ডাঙ্গওয়াল ৬ রান এবং যুবরাজ চৌধুরী স্কোরবোর্ডে ৩৫ রান যোগ করেন। সেইসঙ্গে, জগদীশা সুচিত ১ এবং অভয় নেগি ২৮ রান করেন। এছাড়া জনমেজয় জোশী ৪ রান এবং দেবেন্দ্র সিং বোরা ৭ রান করেন। তবে রাজন কুমার খালি হাতে ফেরেন। 

কারণ, মহম্মদ শামির দাপট। এই তারকা বোলারের দুরন্ত স্পেলে কার্যত, খড়কুটোর মতো উড়ে গেল উত্তরাখণ্ড। শামি একাই নেন ৪ উইকেট। অন্যদিকে, আকাশ দীপ এবং ঈশান পোড়েল ২টি করে উইকেট পান। এছাড়া ১টি করে উইকেট নিয়েছেন সুরজ সিন্ধু জয়সওয়াল ও বিশাল ভাটি। 

প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে ৮,০০০ রান অভিমন্যুর

উত্তরাখণ্ডের দ্বিতীয় ইনিংস শেষ হয় ২৬৫ রানে। ফলে, বাংলার সামনে লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১৫৬ রানের। জবাবে ব্যাট করতে নেমে, মাত্র ২ উইকেট হারিয়ে সহজেই ১৫৬ রান তুলে নেয় বাংলা। সুদীপ চ্যাটার্জি ১৬ রানে ফিরে যান। কিন্তু সুদীপ ঘরামির ৪৬ রান এবং অধিনায়ক অভিমন্যু ঈশ্বরণের অপরাজিত ৭১ রানের সুবাদে সহজেই জয় ছিনিয়ে নেয় বাংলা। সেইসঙ্গে, বিশাল ভাটিও ১৬ রানে অপরাজিত ছিলেন। 

বাংলা জিতল ৮ উইকেটে। প্রথম ইনিংসে ৩টি এবং দ্বিতীয় ইনিংসে ৪ উইকেট নিয়ে ম্যাচের সেরা মহম্মদ শামি। অন্যদিকে, প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে ৮,০০০ রান পূর্ণ করলেন বাংলার অধিনায়ক অভিমন্যু ঈশ্বরণ।

আরও খবরের আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।