Ranji Trophy 2025: চলতি রঞ্জি ট্রফিতে আবারও দুরন্ত ক্রিকেট উপহার দিল বাংলা। সেইসঙ্গে, দাপট দেখালেন তারকা পেসার মহম্মদ শামি। দ্বিতীয় ইনিংসে নিলেন ৫ টি উইকেট। আর সেই সুবাদেই, গুজরাতকে ১৪১ রানে হারিয়ে বড় জয় পেল বাংলা।

Ranji Trophy 2025: রঞ্জি ট্রফিতে দ্বিতীয় জয় বাংলার। চলতি রঞ্জি ট্রফিতে আবারও দুরন্ত ক্রিকেট উপহার দিল বাংলা (bengal vs gujarat ranji trophy 2025)। সেইসঙ্গে, দাপট দেখালেন তারকা পেসার মহম্মদ শামি। দ্বিতীয় ইনিংসে নিলেন ৫ টি উইকেট। আর সেই সুবাদেই, গুজরাতকে ১৪১ রানে হারিয়ে বড় জয় পেল বাংলা (bengal vs gujarat ranji trophy live score)।

দুরন্ত জয় বাংলার 

Scroll to load tweet…

গত শনিবার থেকে কলকাতার ইডেন গার্ডেন্সে শুরু হয় বাংলা বনাম গুজরাত এলিট গ্রুপ সি-র ম্যাচে। এই ম্যাচে টসে জিতে বোলিং নেয় গুজরাত। আর প্রথমে ব্যাট করে বাংলা করে ২৭৯ রান। ওপেনার সুদীপ চ্যাটার্জী ৩ রানে ফিরে গেলেও অধিনায়ক অভিমুন্য ঈশ্বরণ করেন ২০ রান। কিন্তু আবারও সুদীপ ঘরামির কথা বলতেই হয়।

মিডল অর্ডারে নেমে দায়িত্বপূর্ণ ইনিংস খেলেন এই বঙ্গ ক্রিকেটার। তাঁর ঝুলিতে ৫৬ রান। তবে অনুষ্টুপ মজুমদার খালি হাতে ফেরেন। অন্যদিকে, অভিষেক পোড়েল ৫১ রানের ইনিংস উপহার দেন। সুমন্ত গুপ্ত ৬৩ রান যোগ করেন স্কোরবোর্ডে। এছাড়া শাহবাহ আহমেদ ২, সুরজ সিন্ধু জয়সওয়াল ২১, আকাশ দীপ ২৯ এবং মহম্মদ শামি ৮ রান করেন।

অন্যদিকে, গুজরাতের হয়ে ৪ উইকেট নেন সিদ্ধার্থ দেশাই, ২টি করে উইকেট পেয়েছেন চিন্তন গাজা এবং প্রিয়জিতসিং জাদেজা। এছাড়া ১টি করে উইকেট নাগওয়াসওয়ালা এবং বিশাল জয়সওয়ালের দখলে।

জবাবে ব্যাট করতে নেমে, চূড়ান্ত বিপাকে গুজরাত। অভিষেক দেশাই ফিরে যান শূন্য রানে। অপরদিকে, আর্য দেশাইয়ের ঝুলিতে ৮ রান, সিদ্ধার্থ দেশাই করেন ১৯ রান, উর্ভিল প্যাটেলের সংগ্রহে ১৫ রান এবং উমাং কুমার ১৮ রান যোগ করেছেন স্কোরবোর্ডে।

বিধ্বংসী বোলিং করেন শাহবাজ আহমেদ

তবে অধিনায়ক মানন হিংরাজিয়া বেশভালো লড়াই করেন। তিনি ৮০ রানের ইনিংস উপহার দেন। ওদিকে চিন্তন গাজা করেন ৪ রান এবং নাগওয়াসওয়ালার সংগ্রহে মাত্র ১২ রান। মাত্র ১৬৭ রানেই শেষ হয়ে যায় গুজরাতের ইনিংস।

বাংলার হয়ে বিধ্বংসী বোলিং করেন শাহবাজ আহমেদ। তিনি একাই নেন ৬ উইকেট। ৩টি উইকেট পান মহম্মদ শামি এবং ১টি উইকেট আকাশ দীপের ঝুলিতে। এরপর দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নামে বাংলা। অধিনায়ক অভিমুন্য ঈশ্বরণ ৫৪ রানের গুরুত্বপূর্ণ ইনিংস খেলেন এবং আরেক ওপেনার সুদীপ ঘরামি করেন ২৫ রান। 

তবে কাজি সাইফি খুব একটা সুবিধা করতে পারলেন না। মাত্র ১ রানেই প্যাভিলিয়নে ফিরে যান। অভিষেক পোড়েল করেন মাত্র ১ রান, সুমন্ত গুপ্ত ১১ এবং শাহবাজ আহমেদের ঝুলিতে ২০ রান। তবে অনুষ্টুপ মজুমদার প্রথম ইনিংসে হতাশ করলেও, দ্বিতীয় ইনিংসে বেশ ভালো খেলেন। তাঁর সংগ্রহে ৫৮ রান। 

ইনিংস ডিক্লেয়ার করেন দলের অধিনায়ক অভিমুন্য ঈশ্বরণ

অপরদিকে, সুরজ সিন্ধু জয়সওয়ালের ঝুলিতে ৭ রান, আকাশ দীপ করেন ২৫ রান এবং মহম্মদ সগামি ৪ রান করে প্যাভিলিয়নে ফিরে যান। বাংলার স্কোর যখন ৮ উইকেট হারিয়ে ২১৪ রান, তখন ইনিংস ডিক্লেয়ার করেন দলের অধিনায়ক অভিমুন্য ঈশ্বরণ। 

জবাবে ব্যাট করতে নেমে, শুরু থেকেই বেকায়দায় পড়ে গুজরাত। ওপেনার অভিষেক দেশাই খালি হাতে ফিরে যান। অন্যদিকে, আর্য দেশাই করেন ১৩ রান। তবে উর্ভিল প্যাটেলের ১০৯ রান কিছুটা লড়াইতে ফিরিয়ে আনে গুজরাতকে। কিন্তু জয়ের জন্য তা যথেষ্ট ছিল না। অধিনায়ক মানন হিংরাজিয়া শূন্য রানে আউট হন। জয়মিত প্যাটেলের ৪৫ রান বাদ দিলে আর কেউ সেইভাবে বড় রান পাননি। উমাং কুমার এবং চিন্তন গাজা দুজনেই শূন্য রানে প্যাভিলিয়নে পথে হাঁটা লাগান। 

আগুনে বোলিং করেন মহম্মদ শামি

বিশাল জয়সওয়াল করেন ১ রান, সিদ্ধার্থ দেশাই এবং নাগওয়াসওয়ালা কোনও রানই করতে পারেননি। প্রিয়জিতসিং জাদেজার সংগ্রহে মাত্র ৪ রান। নিজেদের দ্বিতীয় ইনিংসে গুজরাতের ৬ জন ক্রিকেটার শূন্য রানে আউট হন। তার মধ্যে দলের অধিনায়ক নিজেও আছেন। 

বাংলার হয়ে আগুনে বোলিং করেন মহম্মদ শামি। তিনি একাই নেন ৫ উইকেট। ৩টি উইকেট পান শাহবাজ আহমেদ এবং ১টি উইকেট আকাশ দীপের ঝুলিতে। বাংলা জয়ী ১৪১ রানে এবং ম্যাচের সেরা শাহবাজ আহমেদ। 

আরও খবরের আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।