সচিন তেন্ডুলকর, বিনোদ কাম্বলির মতো ক্রিকেটারের কোচ রমাকান্ত আচরেকর। ২০১৯ সালের ২ জানুয়ারি তিনি প্রয়াত হন।

প্রয়াত কোচ রমাকান্ত আচরেকরের চতুর্থ মৃত্যুবার্ষিকীতে তাঁর প্রতি শ্রদ্ধা জানালেন কিংবদন্তি সচিন তেন্ডুলকর। ট্যুইট করে প্রয়াত কোচের প্রতি গভীর শ্রদ্ধার কথা জানিয়েছেন সচিন। তিনি লিখেছেন, 'উনি আমাকে টেকনিক শিখিয়েছিলেন, শৃঙ্খলা শিখিয়েছিলেন এবং সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল, খেলার প্রতি সম্মানের বিষয়টি শিখিয়েছিলেন। আমি প্রতিদিন তাঁর কথা ভাবি। আজ তাঁর মৃত্যুবার্ষিকীতে আমার জীবনের দ্রোণাচার্যকে কুর্ণিশ করছি। তিনি না থাকলে আমি এরকম ক্রিকেটার হয়ে উঠতে পারতাম না।' ১৯৯০ সালে দ্রোণাচার্য সম্মান পান আচরেকর। ২০১০ সালে তিনি পদ্মশ্রী সম্মান পান। সচিন ছাড়াও বিনোদ কাম্বলির কোচ ছিলেন আচরেকর। তিনি ভারতীয় ক্রিকেট মহলে বিশেষ সম্মানীয় ব্যক্তি ছিলেন। সচিন বরাবরই তাঁর ছোটবেলার কোচের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। খেলার সময় তিনি যেমন সবসময় কোচের উপদেশ মেনে চলতেন, তেমনই অবসর নেওয়ার পরেও প্রতিবার জন্মদিনে তাঁর সঙ্গে দেখা করতেন। কোচ প্রয়াত হওয়ার পরেও তাঁর প্রতি একইরকম সম্মান রয়েছে সচিনের।

Scroll to load tweet…

২০১৯-এর ২ জানুয়ারি মুম্বইয়ের শিবাজি পার্কে নিজের বাড়িতে প্রয়াত হন আচরেকর। তাঁর বয়স হয়েছিল ৮৬ বছর। সচিনের জন্যই ক্রিকেট দুনিয়ায় খ্য়াতি অর্জন করেন আচরেকর।

Scroll to load tweet…

বিসিসিআই-এর পক্ষ থেকেও ট্যুইট করে আচরেকরের প্রতি শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করা হয়েছে। বিসিসিআই-এর ট্যুইটার হ্যান্ডলে লেখা হয়েছে. ‘দ্রোণাচার্য পুরস্কারপ্রাপ্ত গুরু শ্রী রমাকান্ত আচরেকরের প্রয়াণে গভীর সমবেদনা প্রকাশ করছে বিসিসিআই। তিনি শুধু মহান ক্রিকেটারদেরই তৈরি করেননি, তাঁদের ভাল মানুষ হয়ে ওঠার শিক্ষাও দেন। ভারতীয় ক্রিকেটে তাঁর অবদান অপরিসীম।’

১৯৩২ সালে জন্ম হয় আচরেকরের। তিনি মুম্বইয়ের শিবাজি পার্কে অসংখ্য ছেলেকে প্রশিক্ষণ দেন। তাঁদের মধ্যে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য নাম অবশ্যই সচিন। কাম্বলিও একসময় ভারতীয় দলের হয়ে ভাল পারফরম্যান্স দেখান। তবে তিনি পরবর্তীকালে হারিয়ে যান। সচিন কিন্তু শৃঙ্খলা ও নিষ্ঠার মাধ্যমে বিশ্বের অন্যতম সেরা ক্রিকেটার হয়ে ওঠেন। 

১৪ বছর বয়সে প্রথমবার মুম্বইয়ের রঞ্জি দলে সুযোগ পান সচিন। এরপর আর তাঁকে পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। ১৯৮৯ সালে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক হয় সচিনের। প্রথম ক্রিকেটার হিসেবে টেস্ট, ওডিআই মিলিয়ে ১০০ শতরান করার নজির গড়েন সচিন। তিনি ওডিআই ম্যাচে দ্বিশতরানও করেন। একমাত্র ক্রিকেটার হিসেবে ২০০ টেস্ট ম্যাচ খেলার রেকর্ডও গড়েন সচিন। তিনি করেন ৩৪,৩৫৭ রান। ২০১১ সালে ওডিআই বিশ্বকাপ জয়ী ভারতীয় দলের অন্য়তম সদস্য ছিলেন সচিন।

আরও পড়ুন-

সংক্রমণের আশঙ্কা, আইসিইউ থেকে প্রাইভেট স্যুইটে সরানো হল ঋষভ পন্থকে

ভারতীয় ক্রিকেটারদের ফিটনেস নিয়ে নতুন সিদ্ধান্ত বিসিসিআই-এর, কী এই ডেক্সা টেস্ট?

চালক রাখো, নিজে গাড়ি না চালানোই ভাল, ঋষভ পন্থকে বার্তা কপিল দেবের