সংক্ষিপ্ত
দুর্নীতি ও পাকিস্তান সমার্থক। হাত ধরাধরি করে চলছে দুর্নীতি ও ক্রিকেট। গত কয়েক দশকে পাকিস্তানে এই ব্যবস্থায় কোনও বদল হয়নি। ২০২৪ সালের দোরগোড়ায় এসেও সেটাই দেখা যাচ্ছে।
২০১০ সালে স্পট-ফিক্সিংয়ের ন্যাক্কারজনক ঘটনার সময় পাকিস্তান দলের অধিনায়ক সলমন বাটকে এবার জাতীয় নির্বাচক করে দেওয়া হল। সম্প্রতি পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের প্রধান নির্বাচক করা হয়েছে প্রাক্তন পেসার ওয়াহাব রিয়াজকে। তাঁরই সহকর্মী হিসেবে নির্বাচক কমিটিতে থাকছেন স্পট-ফিক্সিংয়ে সাজাপ্রাপ্ত সলমন। স্পট-ফিক্সিংয়ের ঘটনার সঙ্গে যুক্ত থাকার দায়ে জেলে যেতে হয় পাকিস্তানের প্রাক্তন অধিনায়ককে। তাঁকে ৫ বছরের জন্য নির্বাসিতও করা হয়। কিন্তু জেল থেকে মুক্তি এবং নির্বাসনের মেয়াদ শেষ হওয়ার পরেই ক্রিকেটের মূলস্রোতে ফিরিয়ে আনা হয়েছে সলমনকে। পাকিস্তানেই এটা সম্ভব। ভারতের প্রাক্তন অধিনায়ক মহম্মদ আজহারউদ্দিন গড়াপেটার সঙ্গে যুক্ত বলে সন্দেহ প্রকাশ করেছিল বিভিন্ন মহল। তাঁর বিরুদ্ধে সরাসরি গড়াপেটার সঙ্গে যুক্ত থাকার প্রমাণ পাওয়া যায়নি। তাতেই আজহারকে আর ভারতীয় ক্রিকেটের মূলস্রোতে ফেরানো হয়নি। শততম টেস্ট ম্যাচ খেলার সুযোগ পাননি আজহার। তাঁকে এখনও এড়িয়ে চলেন সচিন তেন্ডুলকর, সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়রা। বিসিসিআই-তেও ঠাঁই হয়নি আজহারের। অথচ পাকিস্তানে গড়াপেটার দায়ে জেল খাটা প্রাক্তন অধিনায়ককে জাতীয় দল বাছাই করার মতো গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব দেওয়া হল। এটাই ভারত ও পাকিস্তানের পার্থক্য। ক্রিকেটকে দুর্নীতিমুক্ত রাখতে ব্যর্থ বলেই উন্নতি করতে পারছে না পাকিস্তান।
পিসিবি-র পদক্ষেপ নিয়ে প্রশ্ন
২০১০ সালের অগাস্টে ইংল্যান্ড সফরে টেস্ট ম্যাচে পাকিস্তানের অধিনায়ক সমলন, পেসার মহম্মদ আমির ও মহম্মদ আসিফের বিরুদ্ধে স্পট-ফিক্সিংয়ের সঙ্গে যুক্ত থাকার অভিযোগ ওঠে। শুরু হয় তদন্ত। সলমনকে পাকিস্তানের অধিনায়কত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়। তাঁকে ওডিআই সিরিজের দল থেকেও বাদ দেওয়া হয় সলমনকে। তাঁকে ১০ বছরের জন্য ক্রিকেট থেকে নির্বাসিত করা হয়। যদিও ৫ বছরের নির্বাসন স্থগিত রাখা হয়। ২০১১ সালের নভেম্বরে দোষী প্রমাণিত হওয়ায় ৩০ মাসের কারাদণ্ড হয় সলমনের। তাঁকে জেলে যেতে হয়। ২০১২ সালের জুনে অবশ্য মুক্তি পান তিনি। ২০১৫ সালের অগাস্টে সলমন, আমির ও আসিফের নির্বাসনের মেয়াদ শেষ হয়। তাঁদের সব ধরনের ক্রিকেটে ফেরার অনুমতি দেয় আইসিসি। এরপর সলমন ও আসিফের পক্ষে পাকিস্তান দলে ফেরা সম্ভব হয়নি। তবে ফের পাকিস্তানের হয়ে খেলার সুযোগ পান আমির। দুর্নীতির সঙ্গে সরাসরি যুক্ত ক্রিকেটারদের কীভাবে ফের সুযোগ দেওয়া হল, সেটা নিয়ে প্রশ্নের মুখে পিসিবি।
অস্ট্রেলিয়া সফরের দল বাছবেন সলমন
পিসিবি-র পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, নতুন বছরের শুরুতেই নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে ৫ ম্যাচের টি-২০ সিরিজ, তারপর অস্ট্রেলিয়া সফরে টেস্ট সিরিজের দল বাছাই করবেন নতুন নির্বাচকরা। তাঁরা ক্রিকেটারদের প্রস্তুতির ব্যাপারেও সাহায্য করবেন।
আরও খবরের আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।
আরও পড়ুন-
Pakistan Cricket: ব্যাটে প্যালেস্টাইনের পতাকা, আজম খানের জরিমানার সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার পিসিবি-র
Mohammed Shami: 'পাকিস্তানের কয়েকজন খেলোয়াড় আমার সাফল্য হজম করতে পারেনি,' খোঁচা শামির