সংক্ষিপ্ত

ফুটবল খেলা দেখতে গিয়ে বিপাকে। 

কাউকে কিছু না বলে, সেই সোজা চলে গেছিল স্টেডিয়ামে। কিন্তু সেই খেলা দেখতে যাওয়াই যেন ভুল হয়ে গেল তাঁর। স্টেডিয়ামে বসে প্রিয় দলের জন্য গলা ফাটাতে গিয়েই কার্যত, ভাইরাল হয়ে গেল সেই খুদে ভক্তর ভিডিও। আর সেই ভিডিওর সূত্রে ধরাও পড়ে গেল স্কুল পালিয়ে ফুটবল দেখার প্ল্যান।

প্রসঙ্গত, দুদিন আগে কারাবাও কাপের সেমিফাইনালে মুখোমুখি হয় আর্সেনাল বনাম নিউক্যাসল ইউনাইটেড। আর সেই ম্যাচ দেখতে এমিরেটস স্টেডিয়ামে হাজির হয়ে যায় নিউক্যাসলের এক খুদে ভক্ত, যার নাম স্যামি। সেই ম্যাচে নিউক্যাসল ইউনাইটেড ২-০ গোলে জয়ও পায়।

তাছাড়া গত ২০১০ সালের পর, এমিরেটস স্টেডিয়ামে এই প্রথমবার আর্সেনালের বিরুদ্ধে ম্যাচ জিতল নিউক্যাসল। তাই লাফিয়ে উঠে এবং চিৎকার করে দলের জয় সেলিব্রেট করছিল খুদে স্যামি। আপাদমস্তক একজন ফুটবলপ্রেমী।

তবে সেই সেলিব্রেশনের ভিডিও ভাইরাল হতেই বিপত্তি। ঐ ভিডিও থেকেই স্যামির স্কুলের কর্তৃপক্ষ জানতে পারেন যে, কাউকে কিছু না বলে ক্লাস পালিয়ে ফুটবল খেলা দেখতে চলে গেছে ওই খুদে। তাই শাস্তিমূলক পদক্ষেপ গ্রহণ করল স্কুল। এরপরই স্যামির বাবা-মাকে জানিয়ে দেওয়া হয়, স্কুল কামাই করেছে স্যামি। আর তারপর গার্জিয়ান কল। এমনকি, এই বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করতে স্যামির বাবা-মাকেও ডেকে পাঠানো হয়েছে স্কুলে।

গোটা বিষয়টি প্রকাশ করা হয়েছে নিউক্যাসল ফুটবল দলের এক্স হ্যান্ডেলে। তারপর থেকেই ফুটবলপ্রেমীরা সবাই স্যামির পাশেই এসে দাঁড়িয়েছেন। অনেকেই বলছেন, ‘একদিন প্রিয় দলের খেলা দেখতে যাওয়ার জন্য ছোট্ট স্যামিকে মোটেই শাস্তি দেওয়া উচিত নয়।’

আবার কেউ কেউ বলছেন, ‘স্কুলের খাতায় দারুণ অ্যাটেনডেন্স থাকার চেয়ে ঢের গুরুত্বপূর্ণ হল এমন দারুণ একটি ম্যাচের সাক্ষী থাকা।’ ফলে, ওইসব নিয়মকানুনকে উড়িয়ে দিয়ে, খুদে ভক্তের এমন কাণ্ডে রীতিমতো আপ্লুত নিউক্যাসল শিবির।

আরও খবরের আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।