সংক্ষিপ্ত

ঠিক কী হয়েছিল? পিভি বিষ্ণুর শট পেনাল্টি বক্সের মধ্যে মোহনবাগানের ডিফেন্ডার আপুইয়ার হাতে লাগা সত্ত্বেও রেফারি পেনাল্টি দেননি বলে অভিযোগ। 

ডার্বি নিয়ে যেন বিতর্ক থামছেই না। শনিবার, কলকাতা ডার্বিতে বিতর্ক তৈরি হয়েছে একটি হ্যান্ডবলকে ঘিরে।

ঠিক কী হয়েছিল? পিভি বিষ্ণুর শট পেনাল্টি বক্সের মধ্যে মোহনবাগানের ডিফেন্ডার আপুইয়ার হাতে লাগা সত্ত্বেও রেফারি পেনাল্টি দেননি বলে অভিযোগ। ধারাভাষ্যকার থেকে বিশেষজ্ঞেরা প্রত্যেকেই জানিয়েছিলেন, সেটি নিশ্চিত পেনাল্টি ছিল।

যদিও তেমনটা একদমই মনে করেন না ট্রেভর কেটল। সর্বভারতীয় ফুটবল ফেডারশনের প্রধান রেফারিং আধিকারিকের মতে, সেটি একেবারেই পেনাল্টি ছিল না।

সেই ম্যাচের রেফারি রামচন্দ্রন বেঙ্কটেশ কোনওভাবেই ইস্টবেঙ্গল ফুটবলারদের আবেদন শোনেননি। যদিও ম্যাচের পর, ওই ঘটনার ভিডিও ক্লিপিংস ফেডারেশনে পাঠিয়েছে ইস্টবেঙ্গল। শুধু তাই নয়, রেফারিং নিয়ে সরব হয়ে তারা একটি চিঠিও লিখেছে। তবে একটি সাংবাদিক বৈঠকে এসে যাবতীয় বিতর্ক উড়িয়ে দিয়েছেন কেটল।

তাঁর মতে, “ওভাবে হ্যান্ডবল পরিষ্কার বোঝা যায় না। কারণ, বল হাতে লাগলেই সেটা অপরাধ নয়। আমি রেফারিদের পরিষ্কার বলে দিয়েছি, কোন কোন ক্ষেত্রে হ্যান্ডবল দিতে হবে। বল হাতে লাগলে দেখতে হবে, হাত ন্যায্য জায়গায় ছিল কি না। যদি ন্যায্য জায়গায় থাকে, তাহলে হ্যান্ডবল নয়। ন্যায্য জায়গায় না থাকলে তখন হ্যান্ডবল দিতে হবে। আপুইয়ার ক্ষেত্রে ওটা হ্যান্ডবল ছিল না। ওর হাত ন্যায্য জায়গাতেই ছিল। ও চেয়েছিল হাত সরিয়ে নিতে। এক্ষেত্রে হাত দিয়ে ইচ্ছে করে বল আটকায়নি আপুইয়া।”

কেটল আরও যোগ করেছেন, “আমাদের রেফারিরা অত‍্যন্ত সৎ। কোনও দলকেই ওরা টেনে খেলায় না। আমরা চাই যে, রেফারিরা ৮৫ শতাংশ নির্ভুল সিদ্ধান্ত নিক। এখনও পর্যন্ত ওরা ৮২.৫ শতাংশ নির্ভুল সিদ্ধান্ত নিতে পেরেছে।”

আরও খবরের আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।