সংক্ষিপ্ত
ভারতীয় কুস্তি ফেডারেশনের অপসারিত সভাপতি ব্রিজভূষণ শরণ সিংয়ের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ উঠেছে, সর্বভারতীয় ফুটবল ফেডারেশনের এক কর্তার বিরুদ্ধেও একই অভিযোগ উঠেছে।
দুই মহিলা ফুটবলারের উপর নির্যাতনের অভিযোগে গ্রেফতার হলেন সর্বভারতীয় ফুটবল ফেডারেশনের কর্তা দীপক শর্মা। শনিবার তাঁকে গ্রেফতার করেছে গোয়া পুলিশ। এআইএফএফ-এর এগজিকিউটিভ কমিটির সদস্য দীপকের বিরুদ্ধে অভিযোগ, গোয়ায় যখন মহিলা ফুটবলাররা ছিলেন, তখন তাঁদের নির্যাতন করেন। এই দুই মহিলা ফুটবলার খাড় এফসি দলের সদস্য। তাঁরা ইন্ডিয়ান উইমেনস লিগের ম্যাচ খেলতে গোয়ায় গিয়েছিলেন। এই ক্লাবের কর্ণধার দীপক। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ, ২৮ মার্চ জোর করে এই দুই মহিলা ফুটবলারের ঘরে ঢুকে পড়ে তাঁদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করেন এবং শারীরিক নির্যাতন চালান। এই অভিযোগের ভিত্তিতেই দীপককে গ্রেফতার করা হল।
রবিবার দীপককে আদালতে পেশ
ডেপুটি পুলিশ সুপার (মাপুসা) সন্দেশ চোদনকর জানিয়েছেন, 'এআইএফএফ এগজিকিউটিভ কমিটির সদস্য দীপক শর্মাকে শনিবার জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডাকা হয়েছিল। শুক্রবার তাঁর বিরুদ্ধে সরকারিভাবে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছিল। তাঁর বিরুদ্ধে আঘাত করা, মহিলাদের উপর জোর খাটানো-সহ ভারতীয় দণ্ডবিধির বিভিন্ন ধারায় অভিযোগ রয়েছে। তাঁকে গ্রেফতার করেছে মাপুসা পুলিশ।' চোদনকর আরও জানিয়েছেন, এআইএফএফ কর্তা হওয়া ছাড়াও হিমাচল প্রদেশ ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের সচিব দীপক। তিনি শনিবার রাতে পুলিশের হেফাজতেই থাকছেন। রবিবার তাঁকে আদালতে পেশ করা হবে।
মহিলা ফুটবলারদের পাশে গোয়া ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন
গোয়া ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট কেটানো ফার্নান্ডেজ জানিয়েছেন, তাঁরা আক্রান্ত মহিলা ফুটবলারদের মাপুসা থানায় অভিযোগ দায়ের করতে সাহায্য করেন। এআইএফএফ কর্তারা এই ঘটনায় যথেষ্ট বিড়ম্বনায় পড়েছেন। এআইএফএফ সভাপতি কল্যাণ চৌবের বিরুদ্ধে আর্থিক নয়ছয়, বেআইনি কার্যকলাপের অভিযোগ উঠেছে। এবার এআইএফএফ এগজিকিউটিভ কমিটির সদস্য গ্রেফতার হলেন। ফলে ভারতীয় ফুটবলের প্রশাসনে বিস্তর গণ্ডগোল রয়েছে। অনেককিছুই ঠিকঠাক চলছে না। ফলে এআইএফএফ-এ অনেক বদল দরকার বলেই মনে করছে ফুটবল মহল।
আরও খবরের আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।